সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে কি তাহলে আদালতে যাচ্ছে প্রবাসী ফোরাম ? মিথ্যা তথ্য প্রচারের কারণে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের কাছে অপমানিত হবে।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৩ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:২৫:১১ রাত
সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে কি তাহলে আদালতে যাচ্ছে প্রবাসী ফোরাম ?
সাউথ-সাউথ নিউজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে - ২০১৩ সালের সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড পাননি শেখ হাসিনা। এটি একটি রিকগনিশন ক্রেস্ট।
এবার সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড পাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অ্যাওয়ার্ড প্রদানকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাউথ-সাউথ নিউজ থেকে ‘রিকগনিশন ক্রেস্ট’ নিয়েছেন। অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, ২০১৩ সালের অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রাপ্ত ক্রেস্টের কোনো সম্পর্কই নেই।
গত ১২ ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুই দফায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়।
২০১৩ সালের সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের তালিকায় শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ নাই।
‘গ্লোবাল গভর্ন্যান্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ শিরোনামের এই সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবার দেয়া হয় কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট লরা শিলশিলা মিরান্ডা, বাইরাইনের প্রধানমন্ত্রী খলিফা বিন সালমান আল খলিফা এবং ফিজির প্রধানমন্ত্রী জোসাইয়া বরেক বাইনিমারামাকে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, তার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল এবং আমেরিকার সঙ্গীতশিল্পী ডেভিড পাইচকেও এই পুরস্কার দেয়া হয়।
অ্যাওয়ার্ড প্রদানকারী মূল প্রতিষ্ঠান সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট ম্যাথিউ ম্যাককালেবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৩ সালের সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের ওয়েবসাইটে তার নাম কোথাও উল্লেখ করেননি কেন?
ম্যাথিউ ম্যাককালেব জবাবে বললেন, ‘নো, শেখ হাসিনা ডিড নট গেট দ্য অ্যাওয়ার্ড দিস ইয়ার। সি হ্যাজ গট ইট অ্যাট ২০১১।’ (অর্থাত্ না, শেখ হাসিনা এ বছর অ্যাওয়ার্ড পাননি। তিনি ২০১১ সালে এটি পেয়েছিলেন।)
‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই অফিসেই শেখ হাসিনাকে সাউথ-সাউথ নিউজের প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিস লোরেনজো একটি ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করতেই ম্যাথিউ জবাব দিলেন—হ্যাঁ, সেটা ছিল একটি রিকগনিশন ক্রেস্ট। সেটা কোনো অ্যাওয়ার্ড নয়।’
শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরে তেমন কিছু না থাকায় তড়িঘড়ি করে রিকগনিশন ক্রেস্ট ম্যানেজ করতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছেন মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল মোমেন।
রিকগনিশন ক্রেস্ট প্রদানের বিষয়টি কোনো শিডিউলে ছিল না। এটা হঠাত্ করেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ক্রেস্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মিশন কে চিঠি দিয়ে মিথ্যা তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রবাসী ফোরাম ইতি মধ্যে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ক্রেস্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছে।
সাউথ-সাউথ নিউজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে - ২০১৩ সালের সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড পাননি শেখ হাসিনা। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান এই নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। যা সাউথ-সাউথ নিউজ কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করেছে।
এদিকে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড না পেয়েও দেশ-বিদেশে ব্যাপক মিথ্যা প্রচারণা চালানোয় নিউইয়র্কে বাংলাদেশী প্রবাসীরা লজ্জিত। তাই দেশের সম্মান রক্ষার্থে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আদালতে যাচ্ছে প্রবাসী ফোরাম। হয়ত এই কারণে শেখ হাসিনাকে দেয়া ২০১১ সালের অ্যাওয়ার্ড বাতিল হতে পারে।
এই সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে - হাসিনাকে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় আনতে মরিয়া ভারত ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা 'র'। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে ভারত কমপক্ষে ১০০০ ( একহাজার কোটি ) টাকা থেকে ৫,০০০ ( পাচ হাজার কোটি ) টাকা বরাদ্ধ রাখবে। অবাক হবার কিছু থাকবে না।
মিথ্যা সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এর পর ভারতের এই বানিজ্য দেখতে হবে আমাদের বাংলাদেশের জনগণ কে।
সাউথ-সাউথ নিউজের প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিস লোরেনজো কে লিখিত ভাবে জানিয়েছে প্রবাসী ফোরাম। সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রদানকারী ও অ্যাওয়ার্ড প্রদানকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাউথ-সাউথ নিউজ থেকে সন্তুষ্ট জনক জবাব না পেলে আদালতে যেতে পারেন প্রবাসী ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্যে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের কাছে অপমানিত হবে।
বিষয়: বিবিধ
৩২৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন