ট্রাইব্যুনালে আমাদের বিবেক আসামী। আমাদের বিবেকের ফাসি চাই।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:০০:৩৮ রাত

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নজিরবিহীন এক রায়ে

লিখা শুরুর আগেই বলছি - যথা যত আইন মেনেই লিখছি। আইনের ধারা আমার ভালো করে জানা আছে



স্কাইপি কেলেঙ্কারির পর জাতি আবার দেখলো - আরেক মহা কেলেঙ্কারি

১৬ কোটি মানুষের কাছে এই খবর একটা ভয়াবহ খবর ছিল।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা রায় দিয়েছেন গতকাল। তবে সেই রায়ের কপি আগেই প্রকাশ হয়ে যায় বেলজিয়ামভিত্তিক টুডে ব্লগ নামের একটি ওয়েবসাইটে। বেলজিয়ামভিত্তিক টুডে ব্লগ ওয়েবসাইটে বলা হয়, রায়টি লেখা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। যে রায় দেয়া হয়েছে, তার কপি পাওয়া গেছে ভারপ্রাপ্ত আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হকের অফিসের একটি কম্পিউটারে।ফাইলের তথ্যে দেখা যায়, ২৩ মে২০১৩ রায় লেখা শুরু হয়েছে। অথচ তখনও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল।

কিন্তু জাতির কাছে বিষয় টি এখন পরিষ্কার - কারণ আগে ফাস হয়া রায়ে র সাথে ৯৮ % মিল আছে। আমার মনে হয় যখন রায়টি অনলাইনে প্রকাশিত হয় তার পর তাড়া হুড়ো করে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়। আর আলম নামের যে ব্যক্তির ফোল্ডারে ফাইলটি পাওয়া গেছে, সেই আলম হলেন আইন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের কম্পিউটার অপারেটর। কিন্তু এই কি তার বক্তব্য ?

তাহলে গায়েবী রায় কি করে এত মিল থাকে ?

?

আইন মন্ত্রণালয়ের যে ফাইলটিতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের কপি পাওয়া গেছে, সেই ফাইলটির প্রপার্টিস অপশনে দেখা যায় ফাইলটি তৈরি করা হয়েছে ২০১৩ সালের ২৩ মে ১২টা ১ মিনিটের সময়। ফাইলের সাইজ ১৬৭ কেবি। মোট পৃষ্ঠা ১৬৪।



চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর জনাকীর্ণ এজলাসে সূচনা বক্তব্য রাখেন। বেলা ১০টা ৪৪ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তিনি মূল রায়ের ১৭২ পৃষ্ঠার প্রথম অংশ পাঠ শুরু করেন। পরে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দ্বিতীয় অংশ এবং বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর রায়ের শেষ অংশ পড়েন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় পড়ে শোনাচ্ছিলেন, সেই রায়ের কপি আগেই প্রকাশ হয়ে যায় বেলজিয়ামভিত্তিক টুডে ব্লগ নামের একটি ওয়েবসাইটে। ফাঁস হওয়া সেই রায়ের সঙ্গে আদালতের ঘোষিত রায়ের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। আদালতে পড়া হলো মোট পৃষ্ঠা ১৭২। আর ফাঁস হওয়া সেই রায়ের মোট পৃষ্ঠা ১৬৪। যদিও সূচনা বক্তব্য বাদ দিলে মিলে যায়



হাইকোর্টের বিচারপতি হাসনাইন সহ অনেক গুরত্ব পূর্ণ সাক্ষীকে সরকার এবং প্রধান বিচার পতি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষী দিতে আসতে দেয়নি।

আরেকটি অবাক কান্ড - সরকারের আইনজীবিরা একটি টিভিতে লাইভ অনুষ্টানে বললেন

তারা জানেন না --হাইকোর্টের বিচারপতি হাসনাইন সহ অনেক গুরত্ব বিষয়।

রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫ জন সাক্ষীর বিপরীতে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন ৪ জন

অনুমতি না পাওয়ায় বিচারপতির সাক্ষ্য দেয়া হলো না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ৪৫ জন সাক্ষীর বিপরীতে আসামি পক্ষ থেকে ৫ সাফাই সাক্ষী নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। যদিও আসামি পক্ষ থেকে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ১১শ ৫৩ সাক্ষীর নামের তালিকা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল ৫ জনের বেশি অনুমতি দেয়নি।



ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিতে চারজন সাক্ষীর নামের তালিকা দাখিল করা হয়েছিল। এ তালিকায় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামীম হাসনাইন, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য কাইয়ুম রেজা চৌধুরী ও বৃটেন প্রবাসী নিজাম আহমেদের নাম ছিল। বিদেশ থাকার কারণে সালমান এফ রহমান সাক্ষ্য দিতে পারেননি। তবে তার পরিবর্তে সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল মমিন চৌধুরী সাফাই সাক্ষ্য দেন।

এই হলো আদালত। ...................... টিভি লিংক অনলাইন আছে , ৭১ টিভি ,

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে রায় পড়াকালীন পুরো সময় ধরে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

(১)রায় পড়াকালীন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী উচ্চস্বরে বলেন, “এই রায় বেলজিয়াম ও দিল্লি থেকে লেখে আনা হয়েছে। স্যার (বিচারপতি) এগুলো অনলাইনে চলে এসেছে। পড়ার দরকার নেই। গত দুই দিন আগেই তা প্রকাশ পেয়েছে। এখন খামাখা পড়ে লাভ কী? সময় নষ্ট।”

(২)সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রায় পড়ার শুরুতেই বিচারপতিদের উদ্দেশে বলেন, “কী রায় আর দেবেন। রায় তো কালই বেরিয়ে গেছে। যা পড়েছেন, পড়েছেন। বাকিটা ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে নিলেই হয়!”

(৩)রায়ের এক পর্যায়ে বিচারপতি আনোয়ারুল হক যখন পড়তে থাকেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঁচবারের সংসদ সদস্য- সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “জনগণ আমাকে ছয়বার সংসদে পাঠিয়েছে। তবে যেহেতু আপনারা রায়ে তা লেখেই ফেলেছেন, পাঁচবারই থাকুক।”

(৪)সালাহউদ্দিন কাদের হাসতে হাসতে বলেন, “এত দিন বলা হয়েছে দেশী আইনে বিচার হচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে বিদেশী আইন। আর আইনমন্ত্রী বলছেন দেশী আইনে বিচার হচ্ছে।”

(৫)বিচারপতি জাহাঙ্গীর আলমকে লক্ষ করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “আইন করেছি আমরা। তাই তোরা জজ হইছোছ। দুই দিন আগে প্রকাশিত রায়ও তোরা ঠিকমত রিডিং পড়তে পারছো না। দুঃখ লাগে তোদের কেন চাকরি দিলাম।”

(৬)সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। আর তারা জবরদস্তি করে রায় দিয়ে দিচ্ছে। যে সব জায়গায় আমি জীবনেও যাইনি, এমনকি ভোট চাইতেও না অথচ রায়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি সেখানে গিয়ে মানুষ হত্যা করেছি।”

(৭)আজানের সময় রায় পড়া বন্ধ রাখায় তিনি বলেন, “আজানের সময় নাস্তিকরা এভাবে মুখ বন্ধ কইরা দিল অথচ তারাই সংবিধান থেকে আল্লাহ ওপর আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে।”

(৮) এজলাসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডেইলি স্টারের প্রতিবেদককে বলেন, “তুমি যে পত্রিকায় কাজ কর, তা বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনায় চলে। তোমার সম্পাদককে বইলো আমি তাকে স্মরণ করেছি।” এ সময় তিনি ডেইলি স্টারকে দিল্লি স্টার বলেও মন্তব্য করেন।

(৯)সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “সাঈদী (আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) সাহেবের মতো লোককে যেখানে ফাঁসি দেয়া হয়, সেখানে আমি তো অনেক বড় গোনাহগার। কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বইলা ফাঁসি দিয়া দেয়া হয়েছে।”

(১০) বলেন, “আমাকে নির্বাচন করতে না দেয়ার জন্য বেচারারা এত কষ্ট করছে। ৯৬ সালে বিএনপি থেকে যখন বাদ পড়েছিলাম, তখন আমি ছিলাম দেশপ্রমিক। পরে আবার বিএনপিতে যোগ দেয়ায় কবীরা গোনাহ করে ফেলেছি।



হিন্দু সম্প্রদায়কে হত্যা ও নির্যাতনের জন্য এ দণ্ড :এটর্নি জেনারেল

এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হত্যা এবং নির্যাতনের দায়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রায় পড়ার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বেশ স্বাভাবিক ছিলেন। এমনকি ফাঁসির আদেশ শোনার পরেও তিনি বিচলিত হননি।

Good Luckআদালতের কাটগড়ায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই বক্তব্য গুলো সটিক। কথা গুলোর আসল রহস্য কি আমরা বুজতে পারিনি ?

বিষয়: বিবিধ

৩৯০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File