রসুন সমাচার এবং এসি তৌফিকসহ ৮ পুলিশের গুন্ডামি।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২২ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫২:২৮ সকাল

আরএমপির অভিযুক্ত সেই এসি তৌফিকসহ ৮ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

---------------

মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চিকিৎসক দম্পতিকে জিম্মি করে এক লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের অভিযুক্ত আলোচিত সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) তৌফিকুল ইসলাম তৌফিকসহ আট পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ।

সোমবার সকালে গ্রেফতারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো এসি তৌফিকুল ইসলাম, রাজপাড়া থানার দুই উপ-পরিদর্শক (দারোগা) মতিউর রহমান ও মাসুদ রানা, পুলিশ কন্সটেবল গোলাম মুর্তুজা, আতিকুর রহমান, এসি তৌফিকের গাড়ির ড্রাইভার আখতার হোসেন, বডিগার্ড সুজন ও ইসলাম আলী। এর আগে একই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এসি তৌফিককে নিজের চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং অন্যদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।

দুপুরের পর যে কোন সময় এ রিমান্ডের আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা ও মহানগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা ও মহানগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মোকাররম হোসেন জানান, ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে তদনত্ম করা জন্য পুলিশের তিন সদস্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রশিক্ষণ) খালিদ বিন নূর, সহকারি কমিশনার (মতিহার) মাসুদ আলম ও রিজার্ভ পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এরই মধ্যে বাদী পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে তদনত্ম কমিটি ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ ওবাইদুল্লাহর নির্দেশে বাদীর সেই অভিযোগটিই গতকাল মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। ওসি জানান, ওই মামলাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

আগের কাহিনি --

এদিকে চিকিৎসক দম্পতিকে জিম্মি করে এক লাখ টাকা পুলিশের চাঁদাবাজির ঘটনার তদন- রিপোর্ট পুলিশ কমিশনারের কাছে দাখিল করা হয় গত শনিবার বিকেলে। তদন- প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশির নামে তাদের জিম্মি করে ডা. আব্দুর রফিক বাসুনিয়ার কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে এসি তৌফিকুল ইসলাম ও দুই দারোগা ও ৫ পুলিশ সদস্য এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ যে, গত ১৭ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় তল্ল্লাশীর নামে আরএমপির সহকারি কমিশনার (সদর) তৌফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে নগরীর ঝাউতলা মিঠুর মোড় এলাকায় ডা. আবুদর রফিক বসুনিয়ার বাড়িতে যান। তার বাড়িতে অবৈধ রসুন মজুদ রয়েছে বলে তল্ল্লাশির নামে তারা বাসায় ঢুকেন। সে সময় ওই বাসায় ডা. বাসুনিয়া এবং তার সহধর্মীনি ডা. ফাতেমা জাহানারা ছিলেন। অভিযুক্তরা বাড়ীর সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নেয়। ডাক্তারের বাড়ীতে থাকা কিছু রসুনকে ভারতীয় দাবী করে ১ লাখ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে ডাক্তার বসুনিয়ার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ক্রসফায়ারের ভয়ভীতি দেখানো হয়। ওই তিন অফিসারের ভয়ভীতিতে বাধ্য হয়ে ডাক্তার বসুনিয়া দুই দফায় ১ লাখ টাকা বের করে দেন। অভিযুক্তরা ডাক্তারকে শাসিয়ে দেয় যে, এই টাকা দেয়ার কথা কাউকে বললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলে দেয়া হবে। ঘটনাটি ডা. বসুনিয়া তার শ্যালক ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ অফিসের স্টাফ অফিসার (সহকারী পুলিশ কমিশনার) আব্দুস সবুরকে জানালে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উব্বর্তন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর স্টাফ অফিসার আব্দুস সবুর বিষয়টি আর.এম.পি কমিশনার, উপ-কমিশনারসহ উপর মহলে জানান। রাত ৯ টার দিকে তিনি রাজপাড়া থানায়ও আসেন স্টাফ অফিসার আব্দুস সবুর। তিনি থানার ওসি মোকাররমকে ঘটনার বিবরণ জানান। এ ঘটনায় ওসি মোকাররম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জিডি করেন।

Star সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশির নামে তাদের জিম্মি করার কারণে অবশ্যই এই সব পুলিশ নামের অসামাজিক জীবদের বিচার করা দরকার। কিন্তু একটা কথা , বাংলাদেশের আজ প্রতিটি এলাকায় সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশির নামে পুলিশ খুন , গণ গ্রেফতার করছে। এই সব কি ?

ও , কারণ সবার তো আর পুলিশ আত্তীয় নাই , তাই বিচার পাবেন না তাই নয় কি ?

Skull আরেকটা কথা - নিজের চলতি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা নামক নাটক আর কত ? এর পর তো এরাই পদোন্নতি পায়। বিচার হয় না।

বিষয়: বিবিধ

১৭৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File