এরা কেন তাকে রক্ষার নাটক করবে , পুলিশের মেয়ে তাই ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ১০:২৫:৪০ রাত
পেচ লাগাচ্ছে পুলিশ --
উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে বাধা দেওয়ায় নিজ বাবা-মাকে হত্যা করেছে ঐশী। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে এমন স্বীকারোক্তিই দিয়েছে সে।
(সংবাদ পত্রে প্রকাশিত: আগস্ট ১৮,২০১৩)
ঢাকা : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবা-মা হত্যার সঙ্গে ঐশীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ডিবি।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম জানান, ঐশী স্বীকার করেছে হত্যার আগে সে তার ছেলেবন্ধু রনি ওরফে জনির সহযোগিতায় বাবা মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমানকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। তারা চেতনা হারিয়ে ফেললে তাদেরকে হত্যা করা হয়।
আগস্ট ১৭,২০১৩
স্ত্রীসহ পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ঐশী শনিবার সকালে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে। এরপর সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় বাসার গৃহপরিচারিকা সুমি, ঐশীর বান্ধবী তৃষা ও তার ছেলেবন্ধু রনি ওরফে জনিকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ দম্পতি হত্যার সঙ্গে তাদের মেয়ে ঐশী জড়িত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের ছোট ভাই মশিউর রহমান।
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯,২০১৩
ঐশীর বেপরোয়া জীবনে সঙ্গী ১ ডজন বয়ফ্রেন্ড
লাশ থেকে গহনা খুলে নেয় ঐশী: গোয়েন্দারা জানান, নিজের পিতা-মাতাকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি ঐশী। নিথর ও রক্তাক্ত মায়ের শরীর থেকে গহনাও খুলে নিয়েছে। রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে স্বপ্না রহমানের কোমরে থাকা বাসার চাবির গোছা কেটে নেয়। এরপর একে একে কানের দুল, গলার চেইন, হাতের বালা ও নাকফুল খুলে নেয়। আলমারিতে রক্ষিত আরও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ব্যাগে ভরে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঐশী একাই তার পিতা-মাতাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বেপরোয়া জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত প্রেম ও মাদক সেবনে বাধা পেয়েই নিজের পিতা-মাতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ঐশী রহমান। ঠাণ্ডা মাথার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমেই মা স্বপ্না রহমানকে কুপিয়ে ও পরে পিতার গলায় খঞ্জর চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। গতকাল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই নৃশংসতার বর্ণনা করেছে ঐশী। হত্যা মামলায় ঐশী রহমান, তার বয়ফ্রেন্ড মিজানুর রহমান রনি ও বাসার কাজের মেয়ে সুমিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
অন্য দৃশ্য -আদালতে এটিএন বাংলা চ্যানেলের ফটো সাংবাদিকদের জুতা ছুড়ে মারলেন ডিবি কর্মকর্তা
: আদালতে কর্তব্যরত ফটো সাংবাদিকদের জুতা ছুড়ে মেরেছেন মেহেদি নামে এক গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জুতার আঘাতে একটি বেসরকারি চ্যানেলের একজন ভিডিও ক্যামেরাম্যান আহত হয়েছেন।
আগস্ট ১৮,২০১৩ রোববার দুপুর সোয়া ২টায় পুলিশ দম্পত্তি হত্যা মামলায় ঐশীকে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হলে এই ন্যক্কারজনক কা- ঘটায় ডিবি কর্মকর্তা মেহেদি।
প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিকরা জানান, আদালতে ঐশীকে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে নিয়ে যায় ডিবি। ফটো সাংবাদিকরা এ সময় ঐশীর ছবি তুলতে মুখের কাপড় খোলার জন্য ডিবি কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। এমন অনুরোধে ডিবি কর্মকর্তা মেহেদি ফটোসাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফটো সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে মেহেদি পা থেকে জুতা খুলে ছুড়ে মারেন। জুতার আঘাতে এটিএন বাংলা চ্যানেলের এক ভিডিও ক্যামেরাম্যান আহত হন
প্রথম দিনের বক্তব্য থেকে পুলিশ সরে যাচ্ছে। নিহতের পরিবার দিয়ে অন্য বক্তব্য দেয়ার পিছনের রহস্য কি ?
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন