সাংস্কৃতিক কর্মী হলেই কি পরকিয়া বৈধ ? হত্যা মামলার থেকে মুক্তি ?
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৪ জুলাই, ২০১৩, ১০:১৭:৩৩ সকাল
সরকার কি পরকিয়া পক্রিয়া বৈধ করে দিল অভিনেতা , অভিনেত্রীদের জন্য ??
ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি নং-৯৫৭৭ আজম রেজার অবশিষ্ট সাজা মওকুফের আবেদন যে কোনো মুহূর্তে এটি স্বাক্ষর হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘুরে রাষ্ট্রপ্রতির কাছে যেতে পারে। আজম রেজা মুক্তি পাচ্ছে।আজম রেজা অভিনেত্রী শম্পা রেজার ভাই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দণ্ড মার্জনা, স্থগিত, বিলম্বন বা মওকুফের বিবেচনা ও নির্দেশনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নোট পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব মাইন উদ্দীন খন্দকার। এ অবস্থায় যে কোনো মুহূর্তে যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে মুক্তি পেতে পারেন আজম রেজা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৪ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আসামি আজম রেজার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় ২০০৫ সালের ১৭ জানুয়রি তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরবর্তীকালে আসামি পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করলে ২০০৮ সালের ২১ জুলাই আদালতের দেয়া রায় রহিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়
অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়েহত্যাকাণ্ডের হোতা আজম রেজার প্রথমে মৃত্যুদণ্ড, পরে যাবজ্জীবন আর এখন সেই সাজা মওকুফের প্রক্রিয়া চলছে ।
২০০৪ সালের ১০ জানুয়ারি গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১৮) দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আজম রেজার সঙ্গে অভিনেত্রী আফসানা মিমির অবৈধ সম্পর্ক ছিল। স্ত্রী জয়ন্তি মুন্সী এই অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আজম রেজা তাকে প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ১০টা থেকে পরদিন বেলা ১১টার পূর্বে যে কোনো সময় আসামির বনানীস্থ নিজস্ব ফ্ল্যাটে স্ত্রী জয়ন্তি মুন্সীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে জয়ন্তির মৃত্যু হয়। আসামি ঠাণ্ডা মাথায় এ হত্যা করে পররর্তী সময়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর লক্ষ্যে মৃত জয়ন্তির গলায় ফাঁস দিয়ে ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি এবং হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
আজম রেজার পরিবার ও স্বজনরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত সাংস্কৃতিক কর্মী। তার অবশিষ্ট সাজা মওকুফের বিষয়ে চলতি বছরের ১২ মে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও একমত পোষণ করে।
সাংস্কৃতিক কর্মী হলেই কি পরকিয়া বৈধ ?
হত্যা মামলার থেকে মুক্তি ?
বিষয়: বিবিধ
২৩৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন