ভারতের বন্ধুতের বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৯ জুন, ২০১৩, ১০:১৮:২২ রাত

ভারত একতরফাভাবে একের পর এক বাংলাদেশের নিকট থেকে সুবিধা আদায় করছে।এই সাড়ে চার বছরে বাংলাদেশ শুধু দিয়েই চলেছে আর ভারত শুধু নিয়েই চলেছে। বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য !!!

যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ৪০ হাজার টন চাল পরিবহনের জন্য ভারত বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। বাংলাদেশ এই অনুমতি ভারতকে প্রদান করেছে। ছিট মহল সমস্যা, ভারতকে ট্রানজিট বা করিডোর প্রদান, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন সমস্যার সন্তোষজনক সমাধান এবং টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করা বা না করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু ভারত আমাদের পাত্তা দিচ্ছে না , বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নতজানু হয়ে ভারতের কাছে যেন বন্ধি !!!!

সিডর আক্রান্ত বাংলাদেশের সাথে প্রণব মুখার্জির অঙ্গীকার ভঙ্গের পর ও শেখ হাসিনা সরকার এর প্রতিবাদ করে নাই ।

সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলি বর্ষণের হার বেড়ে গেছে। ফেলানীর মত প্রতিদিন বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে পাখির মত মারা যাচ্ছে বাংলাদেশী ---- কিন্তু সরকার চুপ !!!

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। এর আগে গ্যাস লাইন বসানোর বিষয়ে তৎকালীন বাংলাদেশের চারদলীয় জোট সরকারকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে ২০০৪-০৫ সালে প্রকল্পটি বাদ দেয় ভারত।গত ৬ জুন ২০১৩ বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে গ্যাস পাইপলাইন বসানোর সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।

কিন্তু বাংলাদেশ হুমকির মুখে থাকবে এমন কি বর্তমান সরকার এই বিষয়ে মুখ খুলছে না !!!

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান। তার কাছে জানতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল যে, করিডোরের (ট্রানজিট) বিনিময়ে বাংলাদেশ কী বা কত রাজস্ব পাবে। জবাবে তিনি বলেন যে ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তার কাছ থেকে মাশুল চাওয়া অসভ্যতার কাজ। এটা চাওয়াটা শোভনীয় নয়।

তারা নারাণগঞ্জ বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে ভারতে দরপত্র প্রকাশের পর বিষয়টি জেনেছেন বাংলাদেশ সরকার । একটি স্বাধীন দেশের উপর ভারতের এত মাত্তব্বরী দেখে মনে হচ্ছে বর্তমান সরকার যেন ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী পদ মর্যাদার।

কুখ্যাত ফারাক্কা চুক্তি আমাদের ধ্বংস করেছে।ভারতের ত্রিপুরার পালাটোনায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত ভারী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পরিবহনের প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ঐ সব যন্ত্রপাতি পরিবহনের সুযোগ দেয়া হয়েছে ভারতকে। এর ফলে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, সেতুগুলো নষ্ট হয়েছে। তিতাসের মতো নদীকেও মেরে ফেলা হয়েছে। বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি।

বিষয়: বিবিধ

১৭২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File