হায়রে আমার দেশ পিতার পরিচয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান দিল ডি.এন.এ টেষ্ট
লিখেছেন লিখেছেন অরণ্য আনোয়ার স্বপন ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৩৪:২০ দুপুর
আমার এই লেখাটি যদিও সংবাদ নয় তবুও আমি লিখছি বিবেগের তারনায়। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুংঙ্গামারী উপজেলার ১নং পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুরুজ মিয়ার পিতার পরিচয় ও তার পৃত্রি অধিকার নিয়ে। একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন (জকিম) পিতা: মৃত; হাকিম উদ্দিন আনুমানিক ৩০ বছর পূর্বে সোনাভান নামের এক অসহায় মহিলাকে প্রলভোন দেখিয়ে গোপনে বিবাহ করে। এমাতাবস্থায় চলতে থাকে কয়েক মাস। সোনাভানের গর্ভে আসে সুরুজ মিয়া। বিষয়টি কনা ঘোষায় পরিনত হয়। পরবর্তিতে গ্রাম বাসী জানা জানী হয়ে গেলে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু তাদের এই বিবাহ বেশী দিন আর টিকল না, কারণ প্রথম পক্ষে স্ত্রী এবং তার সন্তানরা চলালো মানষিক ও শাররীক নির্যাতন। এরি মধ্যে ভুমিষ্ঠ হয় এক নবজাতক, যার নাম সুরুজ মিয়া। এই নির্যাতনে বেশী দিন টিকতে পারলো না সোনাভান। সোনাভান এবার তার নবজাতক সন্তানকে নিয়ে অন্যের দারে দারে। সন্তানকে লালন পালন করতে ভিক্ষা বৃত্তিতেও নামতে হয় তাকে। কিন্তু ঘটনা যাই হোক সুরুজ মিয়া আজ ২৯ বছরের যুবক। সুরুজ মিয়া জানতে চায তার পিতার পরিচয়, চায় পিতার অধিকার। তাই সে এলাকাবাসীর সহোযগিতায় গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তার বাবা নাজিম উদ্দিন জকিম এর কাছে পিতার অধিকার চাইলে সে সুরুজ মিয়াকে অস্বীকার করে। নিরুপায় আবারো সুরুজ মিয়া। এবার এলাকার ইউপি সদস্য মো: মকবুল হোসেরর সহায়তায় পারি জমালো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন (ভোলা) এর কাছে। ইউপি চেয়ারম্যান ভোলা নাজিম উদ্দিন (জকিম)কে নোটিশ দিয়ে গত ১২/০৯/২০১৪ইং শুক্রবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় ইউনিয়ন পরিষদে শালিশী বিচারের জন্য ডাকে। শালিশী শুরুতেই সোনাভান এবং সুরুজ মিয়া এর সাক্ষ্য কিন্তু আবারও অস্বীকার করে নাজিম উদ্দিন (জকিম) যদিও সেই শালিশী বৈঠকে উপস্থিত ছিল তাদের বিবাহের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী, তাদের কথা না শুনেই ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন ভোলা শিলশী বৈঠক শেষ করে সিদ্ধন্ত দিলেন সুরুজ মিয়া ও তার মা সোনাভান এবং নাজিম উদ্দিন (জকিম) এর ডিএনএ টেষ্ঠ।
হতদরিদ্র সুরুজ মিয়া আবারও নিরুপায়, পারবে কি সে এই ডিএনএ টেষ্ট করাতে? পারলেও কিসের ভিত্তিতে টেষ্ট করবে কর্তৃপক্ষ। এর উত্তর যেমন সুরুজ মিয়ার কাছে নেই। তেমনি আমার কাছেও নেই। হয়তো আপনাদের কাছেও নেই।
তবে কি সুরুজ মিয়া তার পিতার পরিচয় ও অধিকার পাবেনা। আর কত দিন কত সুরুজ মিয়াকে তাদের পিতার পরিচয় না দিয়ে বা না পেয়ে মানুষের দারে দারে ঘুরে বেড়াতে হবে। বেড়াতে তো হবেই, তাই না। কারন যদি ইউপি চেয়ারম্যান দেয় ডিএনএ টেষ্ট।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন