নরসিংদিতে পরিবারকে না বলে ছাত্রদের সমাবেশে আনা হয়। গুলিতে একজন নিহত। স্থানীয় হেফাজত নেতারা পালিয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন লাল সবুজ পতাকা ০৬ মে, ২০১৩, ০৬:০২:০৯ সন্ধ্যা
সোমবার ভোরে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক ছাত্র মাহমুদুল হাসান জুবায়েরের (২০) লাশ শহরের সাটিরপাড়ার বকুলতলার বাসায় আনার পরই পরিবারের লোকজন তার ঢাকা যাওয়া এবং সেখানে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।
জুবায়ের সাটিরপাড়া বকুলতলার ট্রাকচালক আব্দুল বাসেতের ছেলে। সে মাধবদী খিলগাঁও দরগাবাড়ি মাদ্রাসার কাফিয়া হাফিজিয়া শ্রেণির ছাত্র।
আব্দুল বাসেত অভিযোগ করেন, হেফাজতের অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য জুবায়ের ঢাকা গেছে এটা তিনি জানতেন না।
“ভোরে মাদ্রাসার জিলানী হুজুর ও আব্দুল কাদির হুজুর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে আনার পরই জানতে পারি সে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে,” বলেন বাসেত।
এ সময় জুবায়েরের বড় ভাই জাহাঙ্গীরও (৩০) পাশে ছিলেন।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসার হুজুররা পরিবারকে না জানিয়েই জুবায়েরকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
সকাল ১০টায় স্থানীয় নূরীয়া হাফিজিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জুবায়েরের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তবে হেফাজতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না।
পরে জুবায়েরকে শহরের কাউরিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে অ্যাম্বুলেন্স বাসায় পৌঁছে দিয়েই দুই হুজুর চলে যান।
নিহত জুবায়েরের সহপাঠীরাও জানান, মাদ্রাসার শিক্ষকদের নির্দেশেই তারা ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মাধবদী খিলগাঁও দরগাবাড়ি মাদ্রাসায় গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পালিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন