প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও ১৮ দলের করনীয়

লিখেছেন লিখেছেন সান জোসেপ ২০ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:১১:৪৬ রাত



প্রধানমন্ত্রী এক সময় বলেছিলেন বিরুধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার দিবেন, বিরুধী দলকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করবেন না, ঘরে ঘরে চাকুরী দিবেন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবেন, ইসলামের বিপক্ষে কোন আইন করবেন না, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না----কত শত প্রতিশ্রুতি। তার কোনটা উনি বাস্তবায়ন করেছেন?

কাজেই যারা সর্ব্দলীয় সরকারের মন্ত্রী হওয়ার জন্য মুছে তা দিচ্ছেন, যেসব বুদ্ধি ফেরীওয়ালারা হাত তালি দিচ্ছেন তারা শেখ হাসিনার চরিত্রই বুঝেন না।উনার চোখ উল্টাতে সময় লাগে না। যে তত্ত্বাবধায়কের জন্য কয়েক সেঞ্চুরী হরতাল দিয়েছেন, সচিবকে রাজপথে দ্বিগম্বর করেছেন, এখন সে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কি বিষোদাগার—সংবিধান থেকেই তা বাদ দিয়ে ফেলেছেন, তাও আবার বিচার পতির রায় লিখার আগেই। যে জামাতের সাথে খালেদা-বিরুধী আন্দোলনে এক পাতে ভাত খেয়েছেন, কুলাকুলী করেছেন, যে গোলাম আযমকে কদম্বুচি করেছেন তাদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে শেখ হাসিনা বিন্দু মাত্র বিচলিত হননি।

কাজে কাজেই, উনার সর্বদলীয় প্রস্তাব হচ্ছে একটা কুটকৌশল, তার কর্মী বাহিনীকে ২৫ অক্টোবরের রোষানল থেকে বাঁচানোর কৌশল মাত্র। ১৮ দল একটু শক্ত অবস্থান নিয়েছে বলেই কিন্তু হাসিনা এতটুকু নমনীয় ভাব দেখাচ্ছে। মেরুদন্ডহীন বিএনপি যদি আন্দোলনের এ আবহটা আরও আগেই তৈরী করতে পারত তাহলে ত্তত্বাবধায়ক আরও আগেই আদায় করা যেত। আর জামায়াত তো আন্দোলন করছে তাদের লিডারদের বাঁচানোর জন্য, জাতিকে বাঁচানোর চিন্তা তারা কখনই করে না।

১৮ দল যদি এখন নমনীয় ভাব দেখায় তাহলে আওয়ামিলীগ তাদের পিসে ফেলবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুশীল সমাজের কথায় যদি ১৮দল গলে যায় তাহলে তাদের চরম মুল্য দিতে হবে। গত পাঁচটা বছর যে অগণতান্ত্রিক আচরণ আওয়ামী সরকার করেছে, শত সমালোচনার মুখেও কিন্তু শেখ হাসিনা বিন্দু মাত্র টলেনি। আর খালেদা জিয়া যদি দুই দিনের সুশীল-সমালোচনায় টলে যায়- আন্দোলন থেকে সরে আসে তাহলে এর পরিণতি কি হবে সেটা যেন ১০০ বার ভেবে দেখা হয়।

তবে একটা কথা খুব জোড়েসুড়ে শোনা যাচ্ছে- শেখ হাসিনা আবার ১/১১ টাইপের সরকার নিয়ে আসার পায়তারা করছেন। এবং এর সম্ভাবনাও অনেক বেশী এবং এটাই আওয়ামীলীগ কে মার খাওয়া থেকে বাচাতে পারবে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে- ২/৩ বছর এই বিশেষ সরকার ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামীলীগের কুকর্মগুলি মানুষ ভুলে যাবে, আওয়ামী মন্ত্রী-এমপি দের বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না, ১৮ দলের কর্মিদের রোষানলথেকে আওয়ামীলীগ কর্মীরা বেঁচে যাবে। এর পর যখন ইলেকশান হবে তখন আওয়ামীলীগের জিতে যাওয়ার একটা সুযোগও তৈরি হবে। শেখ হাসিনা ভাল করেই জানে ১৮ দল ক্ষমতায় আসলে দেশপ্রেমিক আবুলরা রক্ষা পাবে না, বটতলার উকিল কামরুলরা পালানোর পথ পাবে না, ঝাঁকুনি ত্বত্ত মখা আলমগীরদের বাঁচাতে পারবেনা। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া কোন ক্রমেই আন্দোলন থেকে সরে আসা যাবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৬২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File