আওয়ামীলীগের রাজাকারেরা

লিখেছেন লিখেছেন সূর্যদীঘল ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫২:২০ দুপুর

এই মাত্র বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির টক শো দেখলাম। রাজাকার,রাজাকার শব্দে পুরো দেশ যখন কাঁপছে তখন বাংলার এই বীরমুক্তি যোদ্ধা যথার্থ বিবেকবান মানুষের মতোই কথা বলছেন। আওয়ামীলীগে কতজন যুদ্ধ অপরাধী ছিল তার হিসাব এই নতুন প্রজন্ম রাখেনা। ফেস বুক, ইন্টারনেট এ যা দেখে তাই পড়ে এবং তাই সত্যি মনে করে। কখনই ঘটনার গভীর অতলে সন্ধান করার ইচ্ছা কিংবা সময় কোনটাই তাদের নেই। তাই তো লীগ ও বামদের সুরে সুর মিলিয়ে তোতা পাখির মতো শপথ করলো তারা রাজাকারদের বিচার করেই ছাড়বে! রাজাকারদের বিচার তারা করবে,কিন্তু এই রাজাকারদের যারা তৈরি করেছে তাদের বিচার কে করবে? তাদের মধ্যে বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও একজন, যিনি তৎকালীন ডি সি ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিং জেলায়। একজন ডি সি এমনি এমনি যুদ্ধকালীন অবস্থায় ডি সি থাকতে পারেনা এটা পাগলেও বুঝে ।অবশ্যই তাকে সরকারের তাবেদারি করেই সেই পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে হয়।তিনি যদি পাকিস্তান বিরোধী ই হতেন তাহলে তিনি তখনই চাকরী ছেড়ে দেওয়ার কথা।কিন্তু তিনি ঠিকই তাবেদারি করেছিলেন, এবং সে এলাকায় রাজাকার সৃষ্টিতে তার বহু অবদান রয়েছে। মাওলানা সাইদির বিরুদ্ধে জাফর ইকবালের বাবাকে খুন করার অভিযোগ উথেছে,অথচ জাতির এই মহান প্রেম শিক্ষক সেই মামলায় সাক্ষ্য দিতে যাননি । সরকার তো শুরু থেকেই তাদের ফাঁসি দিতে মরিয়া। কিন্তু ভবিষ্যৎ নির্বাচনের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য নতুন প্রজন্মকে লেলিয়ে দিয়েছে রাজপথে। বিশ্বজিতের খুনি ছাত্রলীগের গদফাদার মখা আলমগির সাহেব যে রাজাকার তা কে না জানে? তবুও তার অনুসারী ছাত্রলিগের দখলেই প্রজন্ম চত্বর । জনতার কি বিবেকে বাধেনা,মখা রাজাকার এর অনুসারীদের নেতা মানতে? একজন রাজাকার কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দাবী জানানো হয় আরেকজন রাজাকার মখা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়ে হুকুম চালায় এটা কেমন বিচার?আসুন। আমরা ন্যায় বিচার চাই। ন্যায় বিচার চাইলে সব দলের দেশদ্রোহী রাজাকারের ফাঁসি চাইতে হবে, শুধু জামাত ইসলামেই রাজাকার আছে এই সঙ্কীর্ণ চেতনা থেকে বের হয়ে এসে আওয়ামীলীগের এসব নেতা নেত্রী সহ সবার বিচার চাইতে:

১) খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবারমিনিষ্টার এবং হাসিনার বিয়াই, ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। এই মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।

২) স্বরাষ্ট্রমন্ত্ ¬রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর… ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল)ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন (বলেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি বীর উত্তম)।

৩) এইচ এন আশিকুর রহমান…… আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপিএবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি.. ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশেরমধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।

৪) সাজেদা চৌধুরী …সংসদ উপনেতা ওশেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।

৫) এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্মপ্রতিমন্ত্র ¬ী বানিয়েছিলো হাসিনা।

৬) দিলিপ বড়ুয়া ৭১ এ পাকিস্থানের পক্ষে ছিল, তিনি বলেছিলেন ৭১এর যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুত্তার কামড়-কামড়ি।

এসব রাজাকারেরও বিচার হওয়া উচিত । আওয়ামীলিগ করে বলে এদের বিচার না করার যৌক্তিকতা কি ?

বিষয়: রাজনীতি

১৭৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File