ইসলামী আন্দোলনের আহত ভাইদের পাশে আমরা আছি আমরা থাকব

লিখেছেন লিখেছেন মায়াবিনী ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২৯:১৪ সন্ধ্যা

বিগত বেশ কিছু দিন ধরে একটা কথা আমাকে ভাবাচ্ছে,যে বছর খানেক সময় মধ্যে কিছু আল্লাহর প্রিয়বান্দাদের পাশে দাড়াবার জন্য আমাদের সাংগঠনিক ভাই ও বোনেরা ময়দানে নেমেছে।সেখানে সরকার বাহিনীর বিপুল প্রতিরোধ ও রণসজ্জার মাঝে নিরস্ত্র নির্ভীক ভাইয়েরা বলিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন।এই কর্ম তাত্‍পরতায় কিছু ভাই শহীদ হয়েছেন ,কিছু ভাই গুম ,অনেক ভাই জেলে,হাসপাতালের অসুস্থ গুলি বিদ্ধ হয়ে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় আছেন অনেকেই।যারা শাহাদাতে অমৃত সুধা পান করেছেন আল্লাহ তাদের সকলকেই জান্নাতুল ফেরদৌসে দাখিল করুন।[আমিন] আমাদেরকেও আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কবুল করে নিন।যে সব ভাই কারাবরণ করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের এই যুলুম সহ্য করে জন্য ধৈর্যধারণ করার তৌফিক দান করুন।

আমার ভাবনা মুলূত আহত যারা তাদের জন্য।বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের সূচনা লগ্ন থেকে অনেক ভাইয়েরা সত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আহত হয়ে পঙ্গু হয়েছেন আবার অনেক মস্তিষ্কে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন।তারা কি অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করে আমরা তাদের অধিকাংশদের কোন খোঁজ জানিনা।আমি এমন একজনকে খুব কাছ থেকে দেখেছি।আমার কলেজের অধ্যাক্ষ জনাব রউফ মন্ডল যিনি তার সমস্ত সম্পদ ব্যায় করে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।আদর্শবাহী কলেজ তৈরি করাই ছিল তার একমাত্র স্বপ্ন।

আমরা কলেজে পড়ার সময় হঠাত্‍ স্যার অসুস্থ হয়ে পড়েন।জানতে পারলাম মস্তিষ্কের নার্ভ শুকে যাচ্ছে।রোগটির নাম ঠিক কি তা আমার মনে পড়ছেনা।এই অসুস্থতা কারণে মাত্র ৪২ বছর বয়সে তার প্রিয় কলেজ অবসর নিতে হয়।কিন্তু স্যারের অসুস্থ হওয়া মুল কারণ ছিল ছাত্র অবস্থায় ইসলামী আন্দোলনর করার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উচূ প্রাচীর থেকে খাড়াভাবে লাফ দেওয়ার ফলে তার মস্তিষ্কে আঘাত জনিত কারণ।

এখন যতটুকু যানি কলেজ থেকে স্যারকে অপসারণ করার পাশাপাশি স্যারের আর্দশবাহী কলেজটি আর্দশহীন হয়ে পড়ছে।

কলেজ থেকে বের হবার কয়েক বছর পর একবার স্যারের বাসায় যাই।তার সেই সময়ের পরিস্থিতি ছিল এ রকম ছোট ছোট তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে তিনি অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন চিকিত্‍সার খরচ,পরিবারের ভরণপোষণ,তার অসুস্থতা ঐ পরিবারটি যেন ভীষণ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।কষ্ট পেয়ে চলে আসি স্যার আমাদেরকে খুব স্নেহ করতেন।আজ আমার যে ভাইয়েরা আহত হয়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছেন, তখন আমি ভাবি আমরা কি শেষ পযর্ন্ত তাদের পাশে থাকব নাকি স্যারের মত তাদেরকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিব?

এ কথাটি মেনে নিতে আমরা পারি না যে একজন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ইসলামের পথে কাজ করতে গিয়ে পঙ্গুত্বের কারণে পরিবার বা সমাজের বোঝা হয়ে যাবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File