আওয়ামী লীগ জামাত নিষিদ্ধ করবে না বলেই মনে হচ্ছে।
লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ২৮ মার্চ, ২০১৩, ১০:০৯:১২ রাত
জামাত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক তুরুপের তাস। আওয়ামী লীগ, বিএনপি যখন যে পারছে- জামাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করেছে। বিএনপির অবদান একটু বেশিই। আওয়ামী লীগ করেছিল প্রেম আর বিএনপি এখন জামাতের সাথে ঘর করতেছে। এদের সুযোগে জামাত আজ অনেক বেশি সুসংগঠিত এবং অর্থনেতিকভাবে শক্তিশালী। কিন্তু রাজনৈতিক আচরণে একাত্তরে ছিল দেশবিরোধী। তাই দাবী উঠেছে জামাত নিষিদ্ধের। গনজাগরণ মঞ্চের দেয়া, জামাত নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া শুরু করার আলটিমেটামও শেষ হয়েছে। এখন চলছে শহীদ রূমি স্কোয়াডের আমারণ অনশন। কিন্তু সরকার নির্বিকার। তারা জনগনকে হাইকোর্টের রিটের মুলো দেখাচ্ছে। আসল কথা সরকার নিষিদ্ধ করবে না। করার কারনও নেই। কারন জামাতকে তারা রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যে সব কারনে সরকার এটা করবে না -
১) জামাতকে নিষিদ্ধ করলে তারা দেশে চরম অরাজকতা সৃস্টি করবে। যা সরকারকে মোকাবেলা করতে কষ্টই হবে। সামনে নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে সামনে আরও অনেক সহিংসতা বাড়তে পারে। তার মাঝে জামাত ইস্যু যোগ হলে সরকার আরও বেকায়দায় পড়ে যাবে, যা এ মুহুর্তে মনেহয় সরকার চাইছে না।
২) জামাতের সংসদে আসন সংখ্যা দুটি হলেও তাদের যে নির্দিষ্ট ভোট ব্যাংক আছে যা অস্বীকার করার উপায় নেই। যা মোট ভোটের সাত/আট ভাগ। তাই এই বিপুল ভোটগুলো আওয়ামী লীগের পক্ষে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। মাঝখান থেকে বিএনপিরই লাভ।
৩) আওয়ামী লীগ কথায় কথায় যুদ্ধাপরাধীর দোসর হিসেবে দোষারোপ করে। কিন্ত নিষিদ্ধ করলে বিএনপি অনেকটাই যুদ্ধাপরাধীর সংশ্লিস্টতার প্রশ্নে অনেকটাই বিতর্ক মুক্ত হবে। যা বিএনপির ইমেজ বাড়াবে।
৪) জামাত নিষিদ্ধ হলে গনজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন এক কথায় স্তিমিত হয়ে যাবে। তখন মিডিয়াও অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিবে এই সুযোগে বিএনপি সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে সর্বাত্বক চেস্টা করবে। যা নির্বাচনে তাদের সহায়ক হবে।
এতগুলো বিষয় চিন্তা করে সরকার জামাত নিষিদ্ধ করবে না বলেই মনে হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন