বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে মেননের মন্তব্যের প্রতিবাদ দর্শকদের

লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ০৯ মার্চ, ২০১৩, ১০:৩৪:৫৬ রাত

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে ‘তত্ত্বাবধায়ক ও যুদ্ধাপরাধ’ ইস্যু নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের একটি মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে উপস্থিত দর্শকরা।

শনিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ব্রিটিশ ব্রডকাস্ট কর্পোরেশনের (বিবিসি) আয়োজনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে রাশেদ খান মেনন বলেন, “বর্তমানে বিএনপি যে আন্দোলন করছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নয়, যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে।”

রাশেদ খান মেননের এমন মন্তব্যে মিলনায়তনে অংশগ্রহণকারী দর্শক ‘শেইম শেইম’ বলে প্রতিবাদ শুরু করে। এসময় বেশ কিছু দর্শক তাদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। এসময় দর্শকেরা হট্টগোল শুরু করে। পরে অনুষ্ঠান উপস্থাপক আকবর হোসেন সবাইকে বসে যেতে অনুরোধ করেন।

এর আগে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশ সংকটের দিকে যাচ্ছে কিনা দর্শকের এমন প্রশ্নে উত্তরে সংলাপের প্যানেলিস্ট পুলিশে সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও আলোচনা না হলে সংকট অনিবার্য। আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটা ব্যবস্থা ছিলো। এছাড়া দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব রয়েছে। নির্বাচনে সেসব ইনিস্টিটিউট দায়িত্ব পালন করে তাদের প্রতিও রাজনীতিকদের আস্থা নেই। তাই বর্তমান পরিস্থিতি যদি কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান না হয় তাহলে সংকট অনিবার্য।”

দর্শকের একই প্রশ্নের উত্তরে অপর আলোচক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের দোহাই দিয়ে সরকার একটি মীমাংসিত বিষয়কে সংবিধান থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এর মতো অসততা আর কিছু হতে পারে না।”

তিনি বলেন, “যখন তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আপিল ডিভিশনে শুনানি চলে তখন আদালত আটজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের পরামর্শদাতা) নিয়োগ দেন। আট জনের সাতজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন। শুধুমাত্র একজন বিপক্ষে মত দেন। একইভাবে সংবিধান সংশোধনের জন্য যে সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিলো সেখানেও আওয়ামীলীগসহ যারা মতামত দিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে মতামত দেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত উপেক্ষা করে সরকার আদালতের আংশিক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে নেয়।”

এম কে আনোয়ার বলেন “এই সংকট নিরসনে সরকারকেই আগে উদ্যোগ নিতে হবে কারণ সংকট সৃষ্টি করেছেন তারা।”

উপস্থাপকের এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতােএম কে আনোয়ার বলেন, “সরকারের শেষ বছরে এসে আমরা সরকার পতন আন্দোলনে যাচ্ছি কারণ আমরা আগে সরকারকে সময় ও সুযোগ দিয়েছি। যদি আগেই আমরা এই আন্দোলনে যেতাম তাহলে সংকট আরো আগেই সৃষ্টি হতো, যা আমরা চাই না।”

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন নিয়ে রাশেদ খান মেননের সংশয় না থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মোহাসিন বলেন, “বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে, তাতে সুষ্ঠু কোনো সমাধান না হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিবিসি’র কারেসপন্ডেন্ট ওয়ালী উর রহমান মেরাজ

Click this link

বিষয়: বিবিধ

৯৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File