ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫২:০৭ দুপুর

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

ক্ষমা প্রার্থনার পর রোববার ট্রাইব্যুনাল-২এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে দুপুর ২টায় আদেশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন।

রোববার ট্রাইব্যুনালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান এই ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা আদালতকে জানান।

আইনজীবী বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ফলে যদি বিচারের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে অথবা বিচারের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনাল মনে করেন আমি মন্ত্রীর পক্ষে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।”

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-২এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আদালত অবমাননার শোকজ নোটিশ জারি করে ১০ দিন সময় বেঁধে এই আদেশ দেন।

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে তার আইনজীবী কয়েক দফা সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন।

আজ ধার্য তারিখ অনুযায়ী মন্ত্রীর আইনজীবী ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিতে বলেন। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে দুপুর ২টায় আদেশ দেবেন বলে জানিয়ে দেন।

ওই ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, “এ রকম মন্তব্য ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপের সমান।”

আদালত আরো বলেন, “ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে পারেন, তবে ট্রাইব্যুনালের মান ক্ষুণ্ন হয় এমন মন্তব্য থেকে সবাই বিরত থাকবেন।”

গত ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রকাশিত দৈকিন সংগ্রাম ও নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও ৩ ফেব্রুয়ারি রোববার আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম।

গত ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মিশরে গিয়ে রাষ্ট্রীয় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে মন্তব্য করেন। মিশরের কায়রোতে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, “চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর রায় চূড়ান্ত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি মামলায় ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায় হবে এবং ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৪ তারিখ যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মামলার রায় হবে।”

Click this link

বিষয়: বিবিধ

৮০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File