আওয়ামী লীগের ভিতরে থাকা রাজাকার ও যুদ্বাপরাধী (লিংকও দেয়া হল)
লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০১:৫১:৪০ রাত
নিম্নে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্বাপরাধীর নাম ও তাদের কর্মকান্ডের কিছু তথ্য দেয়া হল:
নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া:
ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কৃখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই খন্দকার মোহতেশা হোসেন বাররের বিরুদ্বে নানা অপকর্মের অভিযোদ তুলে ধরে বলেন, তা বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্বের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ খবরটি প্রকাশিত হয় । এ খবর প্রকাশের পর একজন কুখ্যাত রাজারের পক্ষে ছাফাই গাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামীলীগের নেতারা। নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাফটে ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
লে.কর্ণেল অবঃ ফারুক খান:
বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ব শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালন এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা ও নিরীহ নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ব” বই।
মির্জা গোলাম কাশেম:
জামালপুর – ৩ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদদের গঠিত করে মুক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্বে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপরের মুক্তিযুদ্ব ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের এই নেতা নিজের নাম থেকে গোলাম শব্দটি বাদ দেন।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন:
ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরে রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম আছে।
মুসা বিন শমসের:
গত ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাম করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলের জন্য ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেই বলছেনা কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের শ্বশুর। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যুদ্বাপরাধীর তালিকার ক্রমিক নম্বরে ৫৯৫ তে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুর“ত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম:
ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগীতা ও মুক্তিযোদ্বাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই য়াকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয় । একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদ ও আশাসম বাহিনীকে সর্বাতœক সহযোগীতা করেছেন। । অ্যাডভোকেট কামর“ল ইসলাম মুক্তিযুদ্বের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগীতা করেন। মুক্তিযুদ্বের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মুজিবর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ প্রতিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্বে ইসলামী দল শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন:
ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্বাপরাধের তালিকায় (ত্রমিক নংং ৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈকি ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে যুদ্বাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের র্মত ওয়াহেদ আরী মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্বা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোসলেম উদ্দিন স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দালাল, যুদ্বাপরাধী, জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও আইন অমান্য কারী লোক। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ও তার বাহিনী ১৯৭১ বালের ২৭ জুন দুপুর ২টায় জালাল উদ্দিনের বাড়ি লুন্ঠন করে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় মুক্তিযুদ্বা আব্দুর রাজ্জাক , আবদুস সালাম, আবদুস মান্নানের বাড়িসহ ৪/৫টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর পুড়িয়ে দেয়। ৭১ সালের ২০ জুন এ বাহিনী ফুলবাড়িয়া কুশমাইল এলাকার বসু উদ্দিন, ১২ জুর ফুলবাড়িয়ার আ:মজিদ এবং ২৯ নভেম্বর ভালুকজান এলাকার তালেব আলী, সেকান্দার আলী ও আলতাফ আলীকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিবাদীরা ২১ নভেম্বর শহীদুল্লাহ মাস্টার ও ছবেদ আলীকে হত্যা করে।
এইচ এন আশিকুর রহমান:
রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য , আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মাছ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্বের বিরোধী কর্মকার্ন্ডে সহযোগীতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাসিক ‘সহজকথা’ আয়োজিত “যুদ্বাপরাধের বিচার: বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহামান যুদ্বের সময় টাঙ্গালের এ ডি সি ছিলেন। আমি যে দিন টাঙ্গাইল দখল করি তার পরদিন টাঙ্গাইল মাঠে আমাদের একটা জনসভা ছিল। আমার মঞ্চের সামনে এ ডি সি হিসেবে বলেছিলেন। তার ছবি এখনো আমার কাছে আছে।
মহিউদ্দিন খান আলমগীর:
চাদপুর ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্বায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকুরি করে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। এ এসম এ আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টার মুক্তিযুদ্বের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মাওলানা নুরুল ইসলাম :
জামালপুরের সাবেক সংস ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সসিষাবাড়ী এলাকার রাজাকর কমান্ডার ছিলেন। তার নিতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিয্দ্বু বিরোধী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ ” গ্রস্তের ৪৫ পৃষ্টায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এছাড়া দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত গত ২৮ এগ্রিলের একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী:
আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপতো ফরিদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ব চলাকালে পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠেীর কাচে একজন আস্থাভজান নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আাসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেখে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে। জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্বদের বিরুদ্বে ভুমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে।
সৈয়দ জাফরউল্লাহ:
আওয়ামীলীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্বেদর সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন । মাসিক “ সহজকথা” আয়োজিত যুদ্বাপরাধের বিচার : বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বকত্ব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামীল লীগের বর্তশান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। “ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবন্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
মজিবর রহামান হাওলাদার:
কাটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্বে এলাকার বসতবাড়ীদে অগ্নিকান্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে।
আবদুল বারেক হাওলাদার:
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারের হাওলাদার দালাল ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে । এ তালিখা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিখা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্বের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
আজিজুল হক:
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার প্রকাশিত হয়েছে।
মালেক দাড়িয়া:
আওয়ামীলীগ নতা ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক যেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল-বদরের একনিষ্ট সহযোগী । গনহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি । গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০৮৮ সালের ১ আগষ্ট।
মোহন মিয়া:
গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেরনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্বাদের বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে।
মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া:
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুস্তি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌছে দিতেন।
রেজাইল হাওলাদারঃ
কোটাললপাড়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল-বদর , আলশামসতহ সহ গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিক্য়া রয়েছে। তিনি আলবদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে নান কর্মকান্ড পরিচালনা করেতেন।
বাহাদুর হাজরাঃ
কোটারীপাড়া স্তানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও পেীর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালীপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন।
আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ
গোপালগঞ্জের এ পি পি ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল বদর সহযোগী ছিলেন। আলবদর সহযোগী ছিলেন। আলবদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করতেন।
হাসেম সরদার:
অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছ্ তিনি একজন রাজাকার ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে অনেক সাধারন বাঙ্গালীর বাড়ি ঘরে অগ্সিংযোগ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
আবদুল কাইয়ুম মুন্সি:
জামালপুর বকশিগঞ্চ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা সহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বে আবদু কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল-বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর সাথে থেক অনেক মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা করেন। এ ছাড়া বহু লোকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেন। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর মামলার বাদীর বাড়িতে গিয়ে তার চাচাকে গুলি করে হত্যা করেন।
এদিকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় জনপ্রতিনিধী হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্বের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম পি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্বে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগীতা করেছেন। দেশের মুক্তিযুদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষন, লুটতরাজ এবং বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধি অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্বাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
৪০৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন