চাপ প্রয়োগে রায় সমাজের জন্য ভালো না: সুলতানা কামাল। (ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে?)
লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৫৪:৩৪ বিকাল
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, “বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কোনো রায় বের করে নিয়ে আসার প্রবণতা সমাজে ভালো ফল দেয় না।”
তিনি বলেন, “আমি শাহবাগের তরুণ সমাজকে স্বাগত জানাই। আজকে যাদের বিচার করা হচ্ছে তারা ৭১ সালে নারী নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জগণ্যতম অপরাধ করেছে। তাদের বিচারের জন্য তরুণরা নিজস্ব উদ্যোগে একটি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ডাক্তার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই জনমত থাকার কারণে শাহবাগ থেকে রায়ের উর্ধ্বে উঠে ফাঁসি দাবি করছে। যে কোনো বিচারে অসন্তুষ্ট হতে পারি তার মানে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। বিচারকদের বিচার করতে হবে কোনো রাগ-অনুরাগ ও নিজস্ব পছন্দের উর্ধ্বে থেকে।”
সুলতানা কামাল বলেন, “সবার মধ্যে একটা নীতি থাকা উচিত-যে কেউ যেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় হেলাল উদ্দীন ভদরী (ডিআইজি ক্রাইম) বলেন, “নারীদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে এটা সত্য আবার ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। তারপরেও তদন্তের ক্ষেত্রে কিছু সীমবদ্ধতা রয়েছে। এগুলো সমাধানের জন্য প্রসাশন যথেষ্টভাবে কাজ করছে।
নারীর প্রতি সহিংসতা পিছনে পর্ণোগ্রাফিকে দায়ি করে তিনি বলেন, “এ পর্ণো পুলিশ একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এক্ষেত্রে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তদন্তের ক্ষেত্রে যে বিষগুলি আছে তা কম্যুনিকেট করা হবে। তা কার্যকর করা হবে বলেও আশ্বাস দেন হেলাল উদ্দীন ভদরী।”
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইউম মুকুল বলেন, “প্রভাবশালী লোকদের কারণে অন্যায়ের প্রতিরোধ ব্যহত হয়। তাই মানুষের মধ্যে সততা বাড়াতে হবে এবং নারীদের প্রতি ভিন্নদৃষ্টি ভঙ্গিতে তাকানো পরিহার করতে হবে বলেও মত দেন।”
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১১৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন