হেফাতের লংমার্চকারীদের তাড়া খেয়ে গনজাগরণ মন্ঞ ছেড়ে ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে সেলুনে লুকিয়ে রক্ষা পেল ৭১ এর পাকিস্তানী আর্মির মুরগী সাপ্লাইয়ার শাহরিয়ার কবির
লিখেছেন লিখেছেন আমার পথ চলা ০৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০৫:৩৯ বিকাল
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির হেফাজতে ইসলামের ডাকা লংমার্চ কর্মসুচিতে যোগ দেয়া মুসল্লির আক্রমণের মুখে সেলুনে আশ্রয় নিয়ে নিজেকে রক্ষা করলেন।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহাখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মতিঝিলে লংমার্চে অংশগ্রহনকারী আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল।
এক পর্যায় হেফাজতে ইসলামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা পাশেরে চুল কাটার একটি সেলুনে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর হেফাজতের লোকজন অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করে। তবে শাহরিয়ার কবির এবং মুনতাসির মামুন সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “আমিই ছিলাম হামলাকারীদের টার্গেট। হামলার ধরণ দেখে বুঝেছি, তাদের এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় হঠাৎ তারা উত্তেজিত হয়ে সমাবেশে হামলা চালায় ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের লোকজন আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যতক্ষণ তারা হামলা চালায়, আমার দিকেই তাদের নজর ছিল। আর আমাকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “শুক্রবারও আমাকে মোবাইলফোনে কয়েকজন হুমকি দেয়। আজ (শনিবার) সকালে হামলাকারীরা আমাকে দেখামাত্র ইটপাটকেল, পানির বোতল ছুড়ে মারে।”
মুনতাসীর মামুন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেন, “হামলার সময় পুলিশ নীরব ছিল। তারা ব্যবস্থা নিলে এমন হতো না। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারা হামলা চালিয়েছে।”
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, “সমাবেশ চলাকালে হেফাজতের মিছিল যাচ্ছিল, এ সময় সমাবেশ বিরোধী বক্তব্য শুনে হেফাজতের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।”
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১১৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন