সিনহা - হাসিনার দ্বন্দের পেছনে
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ০৭:৩৬:০৮ সকাল
ভারতের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামিলীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছে এবং থেকেছে। তবে মূল্য হিসেবে ভারতকে দিতে হয়েছে অনেক। ভারতের চাওয়া-পাওয়ার তালিকার প্রধান আইটেম হচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কোমড় ভেঙ্গে একটা পাপেট বাহিনীতে পরিণত করা। বিপুল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ,ভয়াবহ রকমের দলীয়করণ করে সামরিক বাহিনীকে বশে ও রেখেছে হাসিনা। কিন্তু সম্প্রতি ভারতকে পাশ কাটিয়ে সামরিক বাহিনী চীন হতে সাবমেরিন কেনার ঘটনায় দাদাদের টনক নড়ে! বিপুল সামরিক সারন্জাম কেনার চুক্তিও হয়েছে। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর এ উচ্চাভিলাষ ভারত মেনে নিতে পারেনি, তাই হাসিনার ওপর এত ক্ষোভ! ভবিষ্যৎ পাক -ভারত -চায়না যুদ্ধে বাংলাদেশ যদি চীনের পক্ষ নিয়ে ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পারাপারের যায়গা না দেয় তবে চায়না চিকেন-নেক টিপে ধরে ভারতকে দম বন্ধ করেই মেরে ফেলবে।ঐ সময় বাংলাদেশ ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়ার যায়গা না দিলে জোর করে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দখল না করলে ভারতে পূর্ব-পশ্চিমে আলাদা হয়ে যাবে। তাই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নপুংশক রাখা ভারতের অন্যতম চাওয়া। কিন্তু সেটা হাসিনা চাইলেতো তা হবার নয়। সামরিক বাহিনী নিজেদের বিচী কেটে নপুংশক হতে চাইবেনা।
মুল সমস্যাটা এখানেই।
ভারত তাই সিনহা কার্ড খেলছে। সিনহাকে হাসিনা ভারতের কথা মতই নিয়োগ দিয়েছিল। এখন ওকে দিয়ে হাসিনাকে নাকানি - চুবানি খাওয়ানো হচ্ছে । বাংলাদেশ থেকে যা যা নেয়া দরকার ভারত সবই নিয়েছে। এখন গণ বিচ্ছিন্ন একটা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষকে বিস্ফোরণের পর্যায়ে ভারত নেবে বলে মনে হয়না, বিশেষ করে চীনের সাথে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে । সামরিক বাহিনীর ১০০% খাসি-করণ ব্যাতিত হাসিনার কাছে ভারতের আর কিছু পাবার নেই । তাই এখন টয়লেট টিস্যুর মত ফ্লাশ করে দিতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেনাবাহিনীতে পোলাপান যায়ই মিশন খাবার জন্য । না হলে সেনাবাহিনী কোন রেসপেক্টফুল জব না । লেফট রাইট করতে করতে এদের মগজ হাঁটুতে গিয়ে নামে।
এখন সেনাবাহিনীতে চ্যাংড়া পোলাপানাও মেজর , লে.কর্ণেল হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি , যেটা আগে এত অল্প সময়ে সম্ভব ছিল না । তাদেরকে সবচেয়ে বেশী ফ্যাসিলিটিজ দিয়ে রাখা হয় ।
মনে হয় না যে নেপালের সাথে যুদ্ধ লাগলে এরা কিছু করতে পারবে । সেই ছাত্র জনতা দিন মজুর কৃষককেই আবার মাঠে নামতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন