ভবিষ্যৎ আওয়ামিলীগের নয়!
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৮ আগস্ট, ২০১৭, ০৭:৩৪:২৬ সকাল
Declaimer: এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অবজারভেশন এবং একেবারেই সত্য নাও হতে পারে!
ছোট-ছোট দেশগুলুতে কখন কে ক্ষমতায় যাবে তা বড়-বড় কিছু দেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতই প্রধান মুরুব্বী। বিগত বছরগুলুতে ভারত কোন রাখ-ঢাক না করেই আওয়ামিলীগকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকত করেছে। দক্ষিন এশিয়াতে ভারতের স্বার্থের বাহিরে যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা না গলাচ্ছেনা। তাই বাংলাদেশ নিয়ে আপাতত: ভারতকে পাশ কেটে যুক্তরাষ্ট্রের আপাতত কোন চাওয়া নেই। চীনের যাথে ভারতের দা-কুমড়ো সম্পর্ককে কাজে লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এবার ভারতের দিকে নজর দেয়া যাক। চীন হটাৎই ভারতের প্রতি বেশ আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। চলমান দোকলাম সংকটকে ঘিরে চীন -ভারত একেবারে যুদ্ধের দ্বার প্রান্তে। গতকাল চীন হুমকী দিয়েছে ভারত সৈন্য না সরালে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে সীমিত মাত্রায় আক্রমণ চালানো হবে। আগেই বলে রাখি ভারত বিশাল সামরিক শক্তি হলে চীনের কাছে একেবারে বাচ্চা !
ভারতের আশেপাশে বাংলাদেশ এবং ভূটান ছাড়া কোন বন্ধু নেই! এনিয়ে গত কালই ভারতীয় সংসদে কংগ্রেস মোদীর প্রবল সমালোচনা করেছে । চীন চাচ্ছে ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় একেবারে একঘরে করে ফেলতে। পেরেছে ও ! পাকিস্তানের কথা বাদই দিলাম! নেপাল ও শ্রীলংকা প্রকাশ্যই বেইজিং-মূখী। সাম্প্রতিক সময়ে চায়না বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে দেশ দু-টিতে। বাকী থাকলো ভূটান এবং বাংলাদেশ। দুকলাম সংকটে ভূটানের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ভারত ভুটানের সাহায্যে চীনের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠিয়েছে! এখন উল্টো ভূটান কেমন যেন চোখ উল্টিয়ে চায়নীজ ব্লকের দিকে হেলে পড়তে চাইছে। চীনের ভয়েই হোক আর চীনের কুটনীতিতেই হোক , যদি ভুটান ভারতের বগল থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া যা ভারতের আর কেউ নেই!
বাংলদেশ আসলেই কি ভারতের বনধু ? বাংলদেশের জনগণের ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্ট ভারত আওয়ামিলীগের চাইতে ভাল করে জানে! জোড় করলে হয়তো আওয়ামিলীগকে আরো ১, ২ বা ৩ টার্ম ক্ষমতায় আনতে পারবে ভারত। কিন্তু কোনভাবেই আজীবনের জন্য নয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ১০/ ১২ বছর কোন দীর্ঘ সময় নয়। তাই ভারত খুব সম্ভবত এবার নেংটা হয়ে সাপোর্ট দেয়া বন্ধ করবে। দীর্ঘমেয়াদে দেশ জন গণের, সরকারের নয়। আওয়ামিলীগ ক্ষমতা হারালে ভারত বন্ধু-সরকার হারাবে। আর যদি জোর করে বন্ধুকে ক্ষমতায় রাখতে চায় তবে দীর্ঘ-মেয়াদে ভারত বাংলাদেশকে হারাবে। বাংলাদেশ নিয়ে চায়নার আগ্রহ ও কম নয়! মোটা-মুটি মানের একটা নির্বাচন হলে আওয়ামিলীগের ভরাডুবি হতে বাধ্য। তাতেই ভারতের এক ঘরে হবার ষোল-কলা পূর্ণ হবে। বাংলাদেশ নিয়ে চীনের সাম্প্রতিক কুটনীতি লক্ষণীয়।
যারা মনে করছেন আওয়ামিলীগ সব খেয়ে ফেলেছে, আর্মী ও খেয়ে ফেলেছে। আর্মীতে ভারতীয়রা গীজ-গীজ করছে! তাঁদের বলবো গত কয়েকমাস আগে চীন হতে বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন কেনার ঘটনা বোঝার চেষ্টা করুন। ইতোমধ্যেই আরো সামরিক সারন্জাম কেনার চুক্তি হয়েছে চায়নার কাছ থেকে । ভারতের সাথে করা সরকারের গোপণ প্রতিরক্ষা চুক্তির পর আমরা বলেছিলাম, চুক্তির পর বাংলদেশে ভারত ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবেনা। কিনতে হলেও ভারতের অনুমতি লাগবে! অথছ এর ২ / ৩ মাস পরেই ২টি চায়নীজ ডিজেল সাবমেরীন বাংলাদেশে আসলো! সাবমেরীন কেনার পরের দিনই আতংকিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বাংলাদেশে উড়ে আসেন।
এটা কি আমাদের এটা মেসেজ দেয়না যে, সামরিক বাহিনীর আওয়ামীকরণ হলেও সামরিক বাহিনীর বড় অংশই নিজেদের প্রেষ্টিজ এবং শক্তির ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজী নয়?
আওয়ামিলীগের চেইন অব কমান্ড আস্তে-আস্তে ভেংগে পড়ছে। নেতারা অনেকেই বিপদ আঁচ করতে পেরে মোলায়েম ভাষায় কথা বলছেন। ষোড়ষ সংশোধনী বাতিল, ধর্ষণের তুফানে আওয়মিলীগের ছেড়া-বেড়া অবস্হা বিক্ষিপ্ত কোন বিষয় নয় ! সবকিছু দৃশ্যমান হবেনা । আমি মনে করছি আওয়ামীলীগের ভেতরের ক্ষত এখন চামড়ায় দৃশ্যমান।
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশকে ফাঁপড়ে রেখে ভারত আজও মাথা উঁচু করে টিকে আছে। ভারতের সব বৈশ্বিক সাফল্য বাংলাদেশকে ঘিরে। এমনি বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশকে হারিয়েই ভারত নেক্সট লেভেলে যায় এবং পরে যথারীতি আউট হয়ে যায়।
ভারত যেহেতু বাংলাদেশের মসনদের নেপথ্য কারিগর তাই ভারত না, বাংলাদেশের বড় দলগুলো নিজেদের গদির জন্য ভারতকেই বাংলাদেশের পাশে টানতে চাইবে ।
মূলত ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ ভারতের কাছে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। এটা তো কিয়ামতের আগ পর্যন্ত দূর করা সম্ভব হবে না !
মন্তব্য করতে লগইন করুন