মহাযুদ্ধের পথে ------
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ০৭:১৭:০৫ সকাল
সিরিয়ার বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯ টি টোমাহক মিসাঈল নিক্ষেপের পর বিশ্বজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আমেরিকা বলছে, বাশার-আল আসাদের সাধারণ জনগণের উপর সারিণ গ্যাস ব্যাবহার আমেরিকার দেয়া সীমানা অতিক্রম করেছে। পাল্টা পদক্ষেপে রাশিয়া-ইরান ঘোষণা করেছে এ ধরণের হামলা আর হলে তা হবে রাশিয়া-ইরানের আঁকা রেড-লাইনের লঙ্ঘন। আর তাহলে হামলার জবাব দেয়া হবে।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হিসেব-নিকেশ নিয়ে দেখা দিয়েছে গড়মিল। আমেরিকার পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫৯ টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ঐ সিরিয়ান এয়ার-ফিল্ডকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু স্যটেলাইট ইমেজে দেখা গেল সামান্য মেরামতের পর ঐ এয়ার-ফিল্ড থেকে আজ আবার জঙ্গী বিমান উড্ডয়ন করেছে। রাশিয়া বলছে, ২৩ টি ক্ষেপণাস্ত্র ঐ এয়ার-ফিল্ডে আঘাত হেনেছে , তাহলে বাকি ৩৬ টি ক্ষেপণাস্ত্র গেল কোথায়? একেকটা টোমাহকের মূল্য মিলিয়ণ ডলারের বেশি।
এখন বিশেষজ্ঞরা বলছে ঐ ৩৬ টি টোমাহক রাশিয়ান এস-৩০০ এবং এস-৪০০ মিসাঈল শিল্ড ঐ টোমাহকগুলু ভুপাতিত করেছে। তাহলে কেন রাশিয়া ক্রেডিট নিতে চাচ্ছেনা? রাশিয়ান মিসাঈল ডিফেন্সকে পৃথিবীর সেরা মনে করা হয়। কিন্তু রাশিয়ান মিসাঈল ডিফেন্স গলে ২৩টি মিসাঈল যেহেতু আঘাত করেছে তা বিশাল ব্যর্থতা বলেই বিবেচিত হবে রাশিয়ান জনগণের নিকট, আন্তর্জাতিক বাজারে এবং অবশ্যই রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রেষ্টিজে।
তাহলে যুক্তরাষ্ট্রই বা কেন কেন প্রচার করছেনা যে রাশিয়া ৩৬ টি মিসাঈল ভুপাতিত করলেও ২৩ টি টার্গেটে আঘাত হেনেছে। এখানেও একই সমস্যা। মিলিয়ন ডলারের, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ৩৬ টা মিসাঈল রাশিয়া ভুপাতিত করে ফেলবে এটাও আমেরিকার জন্য লজ্জার । অতিতে দেখা গেছে টোমাহকের সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ।
একই কারণেই দুপক্ষই আপাতত: চুপ। কিন্তু ক্ষোভের আগুণ জ্বলছে দু-পক্ষেই। আমেরিকা সিরিয়াতে হঠাৎ ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। ফ্রী-ল্যান্স মিডিয়াতে খবর আসছে যুক্তরাষ্ট্র-বৃটেন- জর্ডান সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অভিযান শুরু করেছে যাকে দামেস্ককে আক্রমণের প্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে ।
সকল হিসেব-নিকেশ উল্টে বৈরুতে আমেরিকার ব্যাপক সামরিক সারঞ্জাম মোতায়েহন করা হয়েছরে যা মেইন ষ্ট্রীম মিডিয়ায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আসাদ বলেছে আমেরিকা-ইসরাঈল কেউ যদি আবার আক্রমণ করে তবে ইসরাঈলে স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র মেরে প্রতিশোধ নেয়া হবে।
সিরিয়ার উপর আবার হামলা ,কোন মার্কিন বা রাশান বিমান ভুপাতিত হলেই বজে উঠতে পারে ভয়ংকর যুদ্ধের দামামা।
বি : দ্র : - সিরিয়ার যুদ্ধ নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহের কারণ হচ্ছে তৃতীয় বিশ্ব-যুদ্ধ, আর্মাগেডন বা মালহামা, ইমাম মাহদী, হযরত ঈসা (আ) এবং দাজ্জাল সহ অনেক ভবিষ্যৎ ঘটনার ক্ষেত্র এ সিরিয়া। অনেকেই বলছেন, আর্মাগেডন ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এটা এখন শুধু বিশ্ব-গ্রাসী রুপ নেওয়ার অপেক্ষায়
বিষয়: বিবিধ
১৩১৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঐ এলাকা তুলনামূলকভাবে ফ্রেশ আছে , তাছাড়া আমেরিকারও এতটা দূর পাড়ি দেওয়া লাগবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন