আতিয়া মহলের দ্রোন কাহিনী
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৯ মার্চ, ২০১৭, ০৬:৫২:২২ সকাল
আতিয়ামহল অভিযানে একের পর এক অসংলগ্ন আপডেট দিতে গিয়ে সেনাবাহিনী বাবার হাসির খোরাক হয়েছে। জঙ্গীদের গ্রেণেড ক্যাচ ধরার পর এখন শুনছি অভিযানে জাফর-ইকবাল সাহেবের সরাসরি তত্বাবধানে এবং অর্থায়নে (তার ছাত্রদের) বানানো দ্রোণ আতিয়া মহলের উপর চক্কর মেরে-মেরে জঙ্গীদের পাতা বুবিট্র্যাপ এর ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস এর ছবি তুলেছে। যা দেখে দেখে কমান্ডোরা IED গুলু Neutralize করেছে। ওয়াও! ওয়াও!!
দ্রোন কোন ভবনের ভেতরের ছবি তুলতে পারে তা বিশ্ব প্রথম দেখলো। সাধারণ চোখে যে বুবিট্র্যাপ শনাক্ত করা কঠিন সেটা আকাশ থেকে ভবনের ভেতরেই শনাক্ত করতে পারলো ঐ দ্রোণ! কংক্রীট ভবনের ভেতরে থাকে কোন মানুষ থার্মাল ইমেজিং এর মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব। তবে চেহারা নয়। পৃথিবীতে এমন কোন প্রযুক্তি আজ পর্যন্ত নেই যা আকাশ থেকে IED সনাক্ত করতে পারে। ইরাক বা আফাগানিস্তানে সবচাইতে বেশী আমেরিকান সৈনিক প্রাণ দিয়েছে এই IED' র আঘাতে। খুব কাছ থেকে ও IED সনাক্ত করা কঠিন।
যাহোক, এসব বাটপারি আমরা আগেও দেখেছি। তবে সবচাইতে হাস্যকর মনে হয়েছে , যখন জানলাম সেনাবাহিনীর কাছে থাকা সামরিক গ্রেডের UAV (Unmanned Air vehicle) থাকা সত্বেও সেনাবাহিনী জাফর-ইকবাল এবং তার ছাত্রদের বানানো দ্রোণ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে এটাই এখন বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ক্লাস!
আরো মজা পেয়েছি দ্রোণ বানানো এবং ওড়ানোর সাথে সম্পৃক্ত একজনের ফেসবুক ষ্ট্যাটাস দেখে
" জীবনের প্রথম কোন অপারেশনে যাচ্ছি। সবাই দোয়া করবে। আর কোন তথ্য দিতে পারছিনা জাতীয় স্বার্থে। কোন অপরাধ করে থাকলে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।
হোয়াট দ্য...!!
"মাফ চেয়ে নিচ্ছি " মানে? রিমোর্ট কন্ট্রোল দিয়ে দ্রোণ ওড়াতে গিয়ে জীবন হারানোর শংকা ছিল নাকি? মর্জিনাদের কাছে কোন (SAM) সারফেস টু এয়ার মিসাঈল থাকলে তো আপনি বড়জোড় দ্রোণখানা হয়তো হারাতেন। তাতে কি? Amazon এ ওসব ৩০০ ডলারে বিক্রি হয় তাতো আপনাদের না জানার কথা নয়!
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন