জঙ্গী এবং সোয়াত টীম কেউ কারো চেয়ে কম নয়!
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১১:৪৮:১০ রাত
সোয়াত টিম সাত তলায় উঠছে এমন সময় সাত তলার সিঁড়ি থেকে..... টা ..টা... টা ....মেশিন গানের গুলি এবং দ্রিম! দ্রিম!! দ্রিম!!! গ্রেণেড চার্জ হতে থাকে। কিন্তু আমাদের সোয়াত টিমের কারো একটা কেশ ও ছিঁড়তে পারেনি ঐ জঙ্গীরা! রজনী কান্তের ক্যারিয়ার মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে গেল কিন্তু!
ওদিকে জঙ্গীরা ও কম যায়না! গুলিতে মাথার ঘিলু বের হয়ে হলে ও গুলি লাগা হাতে সব্জি কাটার চাকুটা হাত থেকে পড়ে যায়নি। ফটোসেশনের জন্য এর চাইতে পারফেক্ট পোজ আর কি হতে পারে? ছবিটা ভাল করে দেখুন !এমন ছবি জঙ্গীদের আজীবন প্রেরণা যোগাবে!
জঙ্গীদের ট্রেড মার্ক কালো পান্জাবী, আল্লাহু আকবর স্লোগান কোন উপাদানই কিন্তু বাদ যায়নি শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা ছাড়া!
তবে যথারীতি নিন্দুকেরা নীচের বিষয়গুলু নিয়ে বিশ্রী রকমের ঘাঁটা-ঘাঁটি করছে:
এক নিহত জঙ্গীর হাতে ছবিতে চাকুর পজিশন ২ রকম!
আবারো বাড়ীর মালিক আওয়ামিলীগার !
এপার্টমেন্টের জানালায় জনসভা ষ্টাইলে নতুন আই এস আই এর পতাকা টাঙানো। দেখে নাকি মনে হয় ওটা ছবি তোলার জন্য লাগানো হয়েছে!
জঙ্গীরা রাতে বাসায় ও এই গরমে (ইউনিফর্ম) কালো পান্জাবী আর জিন্স পড়ে ?
নিহত জঙ্গীদের কমপক্ষে একজন বেশ কিছুদিন ধরে পুলিশ হেফাযতে ছিল!
জঙ্গিদের সাথে সোয়াতে ভয়াবহ যুদ্ধ হয়েছিল।
তবে চাকু থেকে এমন ভাবে গুলি ছোঁড়া যায়না বলে অনেকে বলাবলি করছে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৬১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২) ছয়তলা বাড়িতে সরু সিড়ি। উপর থেকে গুলি হচ্ছে। তারপরও ঐ পথ দিয়ে পুলিশ গিয়ে হত্যা করে কথিত জঙ্গিদের। কোনো পুলিশ মারা যায়নি, গুরুতর আহত হয়নি। আবার জঙ্গিদের কাছে অব্যবহৃত গুলিও উদ্ধার হয়! এটা সিনেমায় সম্ভব, বাস্তবে নয়! বিশ্বের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনায় গোলাগুলির সাথে মিল নাই এর। সত্যি বন্দুকযুদ্ধ হলে অবশ্যই পুলিশ মারা যেতো।
৩) পাশের ঘরেই লোকজন ছিল। তাদেরকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখে পুলিশ। তার মানে উপর থেকে গোলাগুলির খবর পুরাটাই বানোয়াট। আগেই ওখানে গিয়ে পুলিশ পজিশন নিয়ে ঘটনা ঘটায়। পুলিশের সাথে গোলাগুলি সত্যি হলে পাশের রুমের লোকও গুলিবিদ্ধ হতো। সেটা হয়নি।
৪) গুণে গুণে ৯ জনের গায়েই গুলি লাগলো, অন্য কারো গায়ে নয়! কি তামশা?
৫) মরার আগে হুরপরিও চাইছিলো জঙ্গিরা! হাসিনার বক্তব্য কিভাবে সত্য প্রমান করতে হয়, জানে পুলিশ!
৬) জালায় নীলরঙের পর্দা ছিল। সেটার একদিক খুলে সেখানে নতুন ঝকঝকে আইএস-এর কালো পতাকা টাঙিয়ে ফটো সেশন করে পুলিশ। আবার এটা জানালার চেয়ে ছোট সাইজের। এমন আবাল কাজ করে ধরা খাওয়ার কি দরকার ছিলো? এটায় ফিঙার প্রিন্ট কিন্তু পাওয়া যাবে পুলিশের।
৭) মালসামনা সব যে কালো পতাকা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে পুলিশ! ঘটনা কি? কয়টা পতাকা নিয়া গেছিলো? খোদ আইএস হেডকোয়ার্টারেও ঐ পতাকাকে ওভাবে অপব্যবহার করা হয় না। (সাধারন মুসলমান মাত্রই জানে, ওটা রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর সিলমোহর ছিল, এবং কলেমা। সেটাকে অবমূল্যায়ন করার জন্য ই্হুদিরা এরা অপব্যবহার করছে আইএস পতাকা বানিয়েছে।) কাজেই কোনো জঙ্গি এটা দিয়ে মাল সামানা ঢাকবে না! এটা করতে গেলো কেনো পুলিশ?
৮) স্ক্রীপ্টে ছিল, তাই ছুরি রাখছেন, ভালো কথা। কিন্তু রক্ত মাখালেন কেনো? গুলশানের মত কাউকে তো জবাই করেনি এখানে? তবে কি অতি নাটকীতা সৃষ্টি করলেন?
৯) আইজিপি বললো- নিহতরা সবাই শিক্ষিত, এলিট ফ্যামিলির! ক্যামনে বুঝিলো? সে তো গেছে লাশ হওয়ার পরে। তার মানে ওদের বায়োডাটা আগে থেকেই আছে পুলিশের কাছে!
১০) কমিশনার বলছে, এটা গুলশানের ধারাবাহিকতা। তদন্তের আগে একথা বলে দেয়ার অর্থ হলো, গুলশান আইএসের কেস নয়, সেটা প্রমান করতেই এই উদ্যোগ।
১১) অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলেছে, আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, তাই তারা ওদের হত্যা করতে পারছে। তিনি তো আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তাই ফস করে বলেছেন কোথায় ঘটাতে হবে, সেটা পূর্বনির্ধারিত ছিল।
১২) অবাক হব না, যদি দেখা যায়, ঐ বাড়িটা নিয়ে কোনো বড় পুলিশ অফিসার বা লীগের নেতার সাথে গোলমাল ছিল (যদিও বলা হচ্ছে মালিক লীগ করে), বাড়িটা বেদখল করা উদ্দেশ্য ছিলো।
.........ঘটনাটা যে বানানো, তা নানা আলামত দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে হাসিনার আবাল ফুলিশ। আমাদের আর কষ্ট করতে হলো না। এরপরে পরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুসিদ্ধান্তে আসতে অসুবিধা হবে না যে- হাসিনার সরকার ও পুলিশ এখন আইএস পোষাক ও উপকরনের সাপ্লায়ার। কি করবেন বুঝে দেখুন। !!
তবে আমাদের পুলিশ রা মনে হয় তামিল সিনেমাই বেশি দেখেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন