অনলাইন এ্যাকটিভিষ্টদের স্যালুট এবং একটি বিশাল সম্ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৫ জুলাই, ২০১৬, ১১:০৩:২৯ সকাল
গুলাশানের জঘণ্য ঘটনার পর গভীর ক্ষত নিয়ে ও একপ্রকার হাফ ছেড়ে বেঁচেছে হাজার-হাজার পরিবার। এক মিতু হত্যাকান্ডের পর সাড়ে ১৩ হাজার গ্রেফতার! ভাবতে পারেন ঐ সাড়ে ১৩ হাজার পরিবারের ঈদ কেমন কাটবে? গত আট বছর ধরে চলমান গুম-খুন আর গ্রেফতারের কথা নাই বা বল্লাম।
গুলশানের এত বড় জঙ্গী হামলার পর যথারীতি আওয়ামি-গ্যাং বিশাল এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো কত হাজার যে গ্রেফতার করতো এবং কতজনের যে ফাঁসি হয়ে যেত! ওরা যথারীতি খেল ও শুরু করেছিল। অনলাইন এ্যাকটিভিষ্টরা ঝানু গোয়েন্দার মতই খুঁটে-খুঁটে সব বের করে ফেলে এবং একেক-জন দায়ীত্ব মনে করে সংবাদ গুলু রুট লেভেল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
সরকারের পেইড টিভি চ্যানেল এবং দৈনিক গুলুকে রিতিমত ঘোল খাইয়ে ছাড়ে। ভাবতে পারেন কতগুলু পরিবারকে আপনারা কতবড় বিপদ থেকে বাঁচালেন আর প্রথম আলো-আনিসুল হক, ভারত আর হাসিনা গং এর মুখোশ খুলে দিলেন?
বিরোধী দলগুলু এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। প্রচলিত মিডিয়া যুদ্ধে বিরোধীদলের কোন সুযোগই নেই ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলুকে নিজেদের প্রচারণার টুল হিসেবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাপক সাফল্য আসতে পারে। অন্য কিছু বাদ দেন, সঠিক ভাবে যদি চালানো যায় একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এত বিশাল জন-গোষ্ঠির কাছে পৌঁছানো সম্ভব যে কয়েকটি টিভি চ্যানেল বা পত্রিকা দিয়ে ও সম্ভব নয়। বিষয়টা নিকট অতিতেও এমনটি ছিলনা। আমি আমেরিকায় দেখছি কাষ্টমারমূখি প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল-নেটওয়ার্কিং ডিপার্টমেন্ট রয়েছে এবং সেখানে ফেইসবুক টুইটার- ইনষ্ট্যাগ্রাম স্পেশালিষ্ট নিয়োগ দেয়া হয়।
ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে সার্ফিং করতে না পারলে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন গতি নাই। বিরোধী দলের চেয়ারগুলুতে বসা বুড়ো পাঠাদের দিয়ে আর কিচ্ছু হবেনা। যারা গুলশান ঘটনায় ঘোলা-পানিতে আওয়ামি-গং কে মাছ শীকার করতে দেয়নি তাদের ছোট্ট একটা অংশ ও যদি এক-প্লাট-ফর্মে কাজ করতে পারতো তবে আওয়ামিলীগের মিডিয়াকে ভোঁতা করে দেয়া সম্ভব।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুন ফারাজকে হিরো বানিয়ে দেয়া প্রথম আলো এবং আনিসুল হকের মুখোশ খুলে দেয়ার মত অনেক তথ্য-প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। জঙ্গী নিব্রাস ইসলামের সাথে গলা জড়িয়ে ধরা ফারাজের ছবিটার চেয়ে বড় প্রমান আর কি থাকতে পারে? প্রথম আলো-আনিসুল হকরা যত লোকের কাছে মিথ্যাটা পৌঁছাতে পেরেছে আমরা কি তার চাইতে বেশী লোকের কাছে সত্যটা পৌঁছাতে পেরেছি? অথচ জনপ্রিয় পেইজ এবং ব্লগ গুলু ছাড়া ও মাত্র ২-৩ শ ডলার খরচ করে একটা পেইড-ক্যাপেইন চালালে আমি মনে করি তার চাইতে বেশী লোকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব ছিল। এটা কি খুব বেশী খরচ বা কঠিন কোন কাজ?
বিষয়: বিবিধ
১১৪১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে সত্য ঢেকে রাখা যায়না। মানুষ উদ্যোগি হলেই সত্য প্রকাশিত হয়।
০ তাই নাকি ? থাকলে দেন দেখি ।
ঐদিকে রেস্টুরেন্টের এক শেফকে তো টুপি পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এটার ব্যাক আপ পোলাপানরা কিভাবে দিচ্ছে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন