ঘুরে এলাম ইকনা কনভেনশন ২০১৬ এবং দ্বীনিয়াত সেন্টার। ( ভেতরে ছবি আছে)
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ৩১ মে, ২০১৬, ০৮:৪৮:৪৭ সকাল
গ্রিষ্মের শুরুটা বেশ ভালভাবেই শুরু হল আলহাম্দুলিল্লাহ্। নিউইয়র্ক থেকে শনিবার ভোর ৬ টায় রওয়ানা হলাম মা , স্ত্রী , পুত্র, শ্বাশুড়ি এবং ভায়েরার পরিবার সহ বাল্টিমোরের পথে। উদ্দেশ্য
ICNA ( Islamic Circle of North America) 2016 কনভেনশন।
এত বিশাল আয়োজনের বহর দেখে আমার মাথা ঘুরে গেল। আমেরিকার বুকে মুসলামানদের এত বড় সমাবেশ ! শুধু অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ২২৭০০ জন। অতিথী বৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক এবং ষ্পট রেজিষ্ট্রেনের মাধ্যেমে মোট সংখ্যাটা ৩০ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে।
একই সময়ে ৫-৭ টা প্রোগাম একের পর এক চলছিল। এ হলে চলছে ড: জামাল বাদওয়ায়ির লেকচার, অন্য হলে চলছে আবু সোলাইমানের আরেক হলে চলছে উস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচার। কোন টা ছেড়ে কোনটাতে যাই! বউ যেতে যাচ্ছে মেয়েদের প্রোগ্রামে , ছেলে যেতে যাচ্ছে কিডস শোতে আর আমার ইচ্ছা আমার সব প্রিয় ব্যাক্তিদের লেকচার শোনা। সব তো আর এক সাথে হয়না? যতটুকু পেরেছি কাভার করেছি। ক্বারীদের প্রাণ জুড়ানো তেলওয়াত আর শেষে কালচারাল প্রোগ্রাম উপভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল সন্দেহ নাই। দেখতে দেখতে দুই দিন , দুই রাত কেটে গেল!
সকালে সিদ্ধান্ত নিলাম নিউইয়র্কের দিকে হুইল ঘোরানোর আগে দ্বীনিয়াত সেন্টারটা না দেখে যাওয়াটা ঠিক হবেনা।হোটেল থেকে উল্টো পথে ৪০ মাইলে দুর। এ আর এমন কি?
উল্লেখ্য কিছুদিন আগে মি: এরদুয়ান তুরস্কের অর্থায়নে এ মসজিদ-ইসলামিক সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। মসজিদের পার্কিং এ ঢুকতে-ঢুকতে মনে হল উল্টোপথে আসাটা মোটেও বৃথা যাবেনা।
ওয়াশিংটন ডি সির একেবারে কাছে দৃষ্টিনন্দন ই ইসলামি সেন্টারটি আমেরিকার মধ্যে সবচাইতে বড়, সুন্দর এবং ব্যয়বহুল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৫ মিনিট মসজিদটা দেখে নিউইয়র্কের পথে রওয়ানা হবো। কিন্তু ওখানে গিয়ে অপার্থিব এক প্রশান্তি আর টার্কিশ আর্টের জালে যেন আটকে গেলাম।ছেড়ে আসতে ইচ্ছে হচ্ছিলনা। প্রায় দেড়-ঘন্টা পর একরাশ প্রশান্তি বুকে আবার আসার ইচ্ছে নিয়ে নিউইয়র্কের পথ ধরতে হল।
আমার কাঁচা হাতের কিছু ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫২ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চাইলাম!
কিন্তু সে "ঘোল"-ও এক্কেবারে "ঘোল"
এতো অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারলাম না!!
বাকিটা কখন পাচ্ছি??
তবে এসব কিছুই যে ইহুদী নিয়ন্ত্রীত খৃষ্টান আমেরিকানদের হাতে এটা আপনারা তো না বোঝার কোন কারণ নেই এবং এটাও বোঝেন যে যদি ওরা মনে হয় যে ব্যাপারটা বেশ লিবারেল হয়ে যাচ্ছে তাহলে তা শক্তভাবে টাইটও দিতে কার্পন্য করবে না ।
দেশের প্রতিকূল পরিবেশ ছেড়ে দেশের বাইরে গিয়ে একটা ইসলাম+মুসলমানবিদ্বেষী অনূকুল+ ঝন্ঝাট হীন পরিবেশে বসবাস করা এবং সেখানে দ্বীন প্রচার করা ---- এটা আসলেই কি ইসলামের প্রতি আনুগত্য থেকে + সেখানকার ইসলামবিদ্বেষীদের মুসলমান বানানোর জন্য , নাকি আমেরিকার চাকচিক্যময় জীবন উপভোগের জন্য ( কারণ এসব প্রবাসীরা গ্রীন কার্ড পান ঐ দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার শপথ নিয়েই ) এটা যথেষ্ট বিতর্কের সুযোগ এনে দেয় ।
কারণ খৃষ্টান মিশনারীরা যারা ইউরোপ আমেরিকা থেকে আসে , আমাদের এখনকার চাকমাদেরকে খৃষ্টান বানায় - তারা আসে লাক্সারীয়াস দেশের আরাম আয়েশ ছেড়ে থেকে উত্তপ্তময় একটা অন্চলে । কিসের জন্য ?
রমজান নিয়ে ব্লগীয় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অংশ নিতে পারেন আপনিও। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন