সিরিয়ার যুদ্ধ এবং আদার ব্যপারীর জাহাজের খবর ....

লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:১৬:৫১ সকাল

আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর রেখে কি লাভ এমন টিপ্পনী এড়াতেই এ বিষয়টাতে খুব একটা লেখা হয়না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যায় করি সংবাদ দেখে, এ বিষয়ে ইউটিউবে বিভিন্ন লেকচার দেখে আর বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে। উদ্দেশ্য ! বিষয়টা যদি মাথায় একটু ঢুকে!

সিরিয়ার বর্তমান অবস্থার মত এমন জটিল সমিকরণ পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো হয়েছিল কিনা কে জানে? আপনি-আমি সিরিয়াতে কাকে সমর্থন দেব তাতে কারো কিছু যায় আসেনা। তার পরও আপনি যদি আমাকে বলেন একটা পক্ষ নিতে তা আমার পক্ষে সম্ভন নয়। কঠীন! খুবই কঠিন !

তবে সিরিয়ার বিষয়ে আমার কিছু উপলব্ধি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। ইসলামিক এসকাটলজিষ্ট, ইহুদী-খৃষ্টান সবাই একমত যে, আর্মাগেডন , মালহামা বা শেষ মহাযুদ্ধের কেন্দ্র দামেস্ক, তথা সিরিয়ায়! কোন পক্ষ মাহদী-ঈসার পক্ষ, কোন পক্ষ দাজ্জাল বা এন্টি- খৃষ্ট সেটা নিয়ে সবাই নিজেদেরকে খৃষ্টের (ঈসার) পক্ষের মনে করে। সেটা ভিন্ন আলোচনা। তবে ঘটনার ক্ষেত্র যে সিরিয়া এবং সংলগ্ন এলাকা সে ব্যাপারে সবাই একমত।

গত চার বছর ধরে দেখছিলাম, যেন এক মহা পরিকল্পনা অনুসারে সবাই একে একে সিরিয়াতে জড় হচ্ছে। অনেক নাটকিয়তা শেষে সিরিয়ার রাশিয়ার সামরিক অভিযানে বিদ্রোহীদের পতনে গল্পের আপাত: সমাপ্তি হতে পারতো। এই মুহূর্তে সিরিয়ায় আই এস আই দমনের নামে সৌদি জঙ্গী বিমান সিরিয়ার আলেপ্পো সংলগ্ন বিমান ঘাঁটিতে জড় হচ্ছে। পদতিক বাহিনী যে কোন সময় সিমান্তে অপেক্ষমান ফ্রন্টলাইনে যোগ দেবে। ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের নেতৃত্বে সকল সুন্নি মুসলিম দেশের সমন্বয়ে মুসলিম আর্মি গঠন করা হয়েছে। যারা ঐ তুরষ্ক-সৌদি কোয়ালিশনে যোগ দেবে। তুরস্ক-সৌদি আরব অনেকটা নিশ্চিত করেছে সিরিয়ায় সেনা অভিযান সম্পর্কে। এইমাত্র CNN এ সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার দেখলাম। যাতে পরিস্কার ভাষায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন সিরিয়াতে আসাদকে সরে যেতে হবে তা শক্তি প্রয়োগ করে হলে ও। তাই উদ্দেশ্য পরিস্কার।বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে হটানো। আই এস আই একটা অজুহাত মাত্র। একই আই এস আই অজুহাতে রাশিয়াও সিরিয়ায় এসেছে, আসল উদ্দেশ্য বাশার পতন ঠেকানো ।

যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে আসাদের বিরুদ্ধে মিলিশিয়াদের প্রকাশ্য মদদ দিয়েছে। এখন বড় গেমপ্ল্যানের জন্য সরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি প্রথম দিকে হয়তো তুরস্ক-সৌদি অভিযানে যোগ দেবেনা, তবে সিরিয়ায় সৌদি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। মজার বিষয় হল। সৌদি ফাইটার বিমান তুরস্কের যে ঘাঁটিতে এসে জড় হচ্ছে এবং সে ঘাঁটি থেকে তুরষ্ক-সৌদি বিমান অভিযান পরিচালিত হবে সে ঘাঁটিতেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গিবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সারন্জাম। তাই ঐ ঘাঁটিতে কেউ আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার রিস্ক নিতে হবে। তা ছাড়া সিরিয়ার ভেতরেই রেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটি।

রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বলেছেন সিরিয়ায় তুরস্ক-সৌদির অভিযান নি:সন্দেহে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা করবে। রাশিয়া সিরিয়ায় এমন জটিলভাবে জড়িয়ে গেছে পেছানোর কোন সুযোগ নাই। যুক্তরাষ্ট্র ও চাইছে রাশিয়া যাতে এই ফাঁদ থেকে বের না হতে পারে। সেই জন্যই মুসলিম বিশ্বের আবেগের দেশ সৌদি আরব এবং আরেক প্রভাবশালী ন্যাটো সদস্য দেশ তুরস্ককে সামনে ঠেলে রাশিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের জন্য আটকে ফেলতে চাইছে।

আজ থেকে তুরস্ক সীমান্তে ওপার থেকে সিরিয়ার কূর্দী এলাকায় গোলা বর্ষণ করছে। আগামি কয়েক সপ্তাহে হয়তো পদাতিক বাহিনী মবিলাইজ করা হবে। আপাতত: সংখ্যা বলে হচ্ছে দেড় লাখ। ভাবা যায়! আসাদের বাহিনী যখন রাশিয়ার এবং ইরানী বাহিনী নিয়ে প্রতিরোধ গড়বে তখন কি হবে? তুরস্ক আক্রান্ত হলে চুক্তি অনুযায়ী গোটা ইউরোপ আক্রান্ত এবং তুরস্কের পক্ষে দাঁড়াতে বাধ্য।

সৌদি আরব আক্রান্ত হলে গোটা সুন্নী বিশ্ব যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। আমার ধারণা যদি ব্যাপারটা আসলেই যদি এতটুকু খারাপের দিকে গড়ায় তবে মক্কা-মদিনায় ফলস্‌-ফ্ল্যাগ আক্রমণ করে হলে ও গোটা মুসলিম বিশ্বকে জড়িয়ে ফেলা হবে। ফলাফল দাঁড়াবে এক পক্ষে সূন্নী মুসলিম বিশ্ব, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র ; অন্যপক্ষে সিরিয়া, ইরান, হিযবুল্লাহ্‌ এবং রাশিয়া। একটা ভয়ানক যুদ্ধের জন্য তা পর্যাপ্তই।

এমন একটা যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের সবার উপর অত্যন্ত প্রকটভাবে। ভাবুন তো যুদ্ধাক্রান্ত সৌদি আরবে লক্ষ-লক্ষ শ্রমিকা যদি ফিরে আসে? বাহরইন, আরব-আমিরাত, কাতার, জর্ডানের কথা নাই বা বল্লাম। রাশিয়ার বিপক্ষে ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে তার পরিণতি নিউক্লিয়ার ওয়ার!!

ঘটনা যেদিকেই গড়াক না কেন। পৃথিবী শেষের সূচনাটা যে সিরিয়া থেকেই আরম্ভ হয়েছে গেছে এবং তা পরিণতির দিকে গড়াচ্ছে এ ব্যাপারে আমার বিশ্বাস মজবুত। প্রশ্নটা উপসংহার নিয়ে।আমার এমন বিশ্বাসের ভিত্তি কি সেটা না হয় আরেকদিন লিখবো ইনশাআল্লাহ্‌।

বিষয়: বিবিধ

৩৮৮৯ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359461
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। সিরিয়া যে চুড়ান্ত যুদ্ধক্ষেত্র হবে সেটা নিশ্চিত। কিন্তু সেই সময় এখনও এসেছে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। বিশ্বের আরো দুটি শক্তি চিন এবং ভারত এই বিষয়ে কি চিন্তা করছে সেটাও এখনও পরিস্কার নয়। বিভিন্ন হাদিস থেকে এটা জানা যায় একসময় প্রকৃত মুসলিমরা হয়ে পড়বে সিরিয়া কেন্দ্রিক।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
298041
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ সবুজ সাহেব। সিরিয়ায় চীনের স্বার্থ প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত নয় বলে চীন আপাতত: অতটা জোড়ালো ভূমিকা পালন করছেনা। তবে এটা যদি আসলে বিশ্বযুদ্ধে রুপ নেয় সে ক্ষেত্রে চীন রাশিয়ান ব্লকে থাকবে , বিশেষ করে দক্ষীণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাপে নেউলে সম্পর্কের জন্য। ভারতে কথা বলা মুশকিল।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে প্রকৃত মুসলিমরা সিরিয়ার দিকে ইতোমধ্যেই ছুটে যাওয়া শুরু করেছে। আমি কোন নিদ্দিষ্ট মিলিশিয়া দলের প্রতি ইঙ্গিত করছিনা। সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রকৃত মুসলমান কোন রাষ্ট্রীয় পতাকার অধীন হবে বলে আমার মনে হয়না। ছোট-ছোট যে মিলিশিয়া গোষ্ঠী ঐ বর্তমান লড়ছে তার কোনটা হয়তো সময়ের চক্রে প্রকৃত কালো পতাকাধারী হিসেবে আবির্ভূত হবে। তাই আসন্ন যুদ্ধের কোন দেশকে হাদিসের কালো পতাকাধারী বলে মনে হয়না। একটা ব্যাপক যুদ্ধের মধ্য দিয়েই হয়তো মাহদির দলটি পরিস্কার হয়ে পড়বে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৭
298060
খোঁচা বাবা লিখেছেন : মনগড়া বিশ্লেষণ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৫৭
298078
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : খোঁচা - মনগড়াই তো!
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:২৯
298126
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সিরিয়ার দিকে মানে কি? সিরিয়ার পক্ষে না বিপক্ষে ক্লিয়ার করুন@ সবুজ সাহেব এবং পটাশিয়াম ভাই।
359462
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৯:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একটা মার্কিন পরিকল্পনায় এটাও আছে যে মক্কা ও মদিনা কে ভ্যাটিকান এর মত সিটি স্টেট এ পরিনিত করে বাকি আরব উপদ্বিপ তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রনে নেবে। সব সমস্যার মধ্যে কিন্তু ইসরাইল এর ভুমিকা অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
298042
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : মার্কীনিরা সেরকমই চাচ্ছে। তবে সব যে তাদের চাওয়া মত হবে তা ঠিক নয়।
359486
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : সিরিয়ার পুরা ব্যাপারটাই আসলে একটা হজবরল সিস্টেম হয়ে আছে। এখানে আই এস আই এস এর ২টা গ্রুপ আছে, একটা কাজ করতেছে শিয়াদের হয়ে অন্যটা ছুন্নিদের হয়ে। ছুন্নি মুসলিমদের চিরতরে খতম করে দেওয়ার জন্য ইরান অনেক আগে থেকেই তাদের সব পরিকল্পনা করে রেখেছে এখন বাস্তবায়নের চেস্টা অবিরাম চালিয়ে যাচ্চে।
তবে আমার মনে হয় সৌদি-তুরস্ক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আরোও আগে নেওয়া উচিত ছিল।
সুন্দর লিখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৯:৫৮
298079
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : সৌদি-তুরস্ক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানিনা। তবে ফলাফল কোন পক্ষের জন্যই ভাল হবে বলে মনে হয়না।
359494
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:০১
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : জাডজ করা মুশকিল!
আমার মনে হচ্ছে সবকিছুই পূর্বের ধারাবাহিকতা। সাদ্দাম,গাদ্দাফীকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছিল আসাদকেও তেমনি!
এখানে একটু ব্যতীক্রম এটাই, রাশিয়ার জড়িত থাকা। শিয়া-সুন্নী দ্বন্ধটা আসলে ভূরাজনৈতিক গেইমিং ছাড়া আর কিছু মনে হয়না আমার। অথচ এটাকেই এখন প্রধান হাতীয়ার বানানো হয়েছে মুসলমানদেরকে দুপক্ষকে বিভক্ত করার জন্য। মনে হয় এ মাষ্টারপ্ল্যান অনেক আগেই করা হয়েছে, এখন শুধু বাস্তবায়ন চলছে। তবে আসাদ যে খুব ভাল মানুষ তা আমি বলছিনা। পরাজিত হলে তাকেও সাদ্দামের ভাগ্যই বরণ করতে হবে তা জেনে হয়ত কামড়ে থাকার চেষ্টা! কিংবা সিরিয়াকে খন্ড খন্ড হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা কিনা? তুরস্কেরও একই অবস্থা, কুর্দীদের আক্রমন থেকে দেশ রক্ষার চেষ্টা!সৌদি আরবেরও একই অবস্থা!
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, রাশিয়া যখন দেখবে সিরিয়াতে তাদের স্বার্থ হাত ছাড়া হয়, তখন সরে যাবে!
ফলে কি দাড়াবে?
শিয়া-সুন্নীতে দুটি ভাগ হবে আর যুদ্ধ হবে মুসলিমদের সাথে মুসলিমদেরই।
অথচ ফিলিস্তীন প্রশ্নে উভয় পক্ষই এক এবং অভীন্ন! সেদিন এরদোগান স্বীকারও করলেন, সিরিয়ার রক্তপাতের জন্য আমেরিকা দায়ী! কিন্তু তবুও যেন পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আমাদের মুসলিম নেতাদের মাথা গরম!
নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে আর কতো?
আইএস নিয়ে গেইমিং করছে কারা? তা আগে বের করতে হবে। এক আসাদই সব সমস্যা? নাকি নেপথ্যে অন্য কেউ কলকাঠি নাড়ছে?
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০২
298080
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন। একে একে মডারেট মুসলিম(!) দেশগুলি জিহাদীদের ব্রিডিং গ্রাউন্ডে পরিণত হচ্ছে। ইকটা খুব বড় রকমের যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রায় রেডি বলতে পারেন।
359495
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:১৮
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য,
সম্ভাব্য যুদ্ধ শুরুর পূর্বেই কিন্তু যুদ্ধ বিমান ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়ে গিয়েছে। যেমন ইরানকে আমরা সিরিয়ার মিত্র মনে করি।
কিন্তু ইরান যুদ্ধ বিমান ক্রয় করছে ফ্রান্স থেকে!আর ফ্রান্সের সেসব যুদ্ধবিমান তৈরীর সরঞ্জামাদীর সিংহভাগই আসে আমেরিকা থেকে! পাকিস্তানও আমেরিকা থেকে বিমান ক্রয় করবে বলেছে।
হয়ত যুদ্ধ শুরু হলে আসাদের জন্য বিমান সাপ্লাই দিবে রাশিয়া। দুইদিন পর শোনা যাবে সৌদিও আমেরিকা থেকে বিমান কিনবে!! দেখেন যুদ্ধ হলে কাদের লাভ!!
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:০৫
298081
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : অস্ত্র ব্যবসা এ যুদ্ধের একটা অন্যতম প্রধান কারণ। তবে এটা একমাত্র কারণ নয়।
359498
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০১:৩০
বাকপ্রবাস লিখেছেন : খুব সুন্দর বিশ্লেষণ, ইরান এবং রাশিয়ার সরাসরি স্বার্থ জড়িত, বাংলাদেশ জনগণ এক্ষেত্রে মার্কিন পন্থি হলেও সরকার রাশিয়া পন্থি হবে তার স্বার্থে, ওদিকে সউদি জোটে নাম লিখেয়েছে কিছু শ্রমিক পাঠানোর স্বার্থে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কি হবে? আমাদের সেনাদের এখানে ইনভল্ব করবে বলে মনে হয়না, সেনারা না গেলে সউদি জোটের কার্যকারীতা থাকবে বলে মনে হয়না, আবার রাশিয়া তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুদ্ধ না লাগলেও শীতল যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হবে, তাতে করে পুরো বিশ্ব ব্যাবস্থায় একটা প্রভাব পড়বে, ক্ষতিগ্রস্থ হবো আমরা শ্রমিক এর ব্যাপারে, রাশিয়া আমেরিকা অস্ত্র বেচে ফায়দা তুলবে, মাঝখানে পড়ে শিয়া সুন্নী যুদ্ধ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:১০
298082
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : বাংলাদেশ সরকার রাশিয়াপন্থি হবে বলে মনে হয়না। ভারত দীর্ঘদিনের রাশিয়ান ব্লক থেকে বের হয়ে এখন মার্কীন ব্লকে। বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ সউদি জোটে থাকবে এবং সৈন্য ও পাঠাবে বলে মনে হয়। যেহেতু মার্কিনীরা সামনে আসছেনা তাই বাংলাদেশের সউদি-তুরস্কের পক্ষ নেয়াটা কঠিন নয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৫৪
298111
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ২০ দেশের সৈন্য নিয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম সেনা বাহিনী গঠনের ঘোষনা দিয়েছেন ইসলামিক জোটের প্রধান সৌদি বাদশা সালমান।
এই ইসলামিক আর্মির মধ্যে ইসলামিক সামরিক জোটের ৩৪ টি দেশের মধ্যে যে ২০ টি দেশের সেনা অংশগ্রহন করবে তাদের তালিখা -
1. Saudi Arabia,
2. Turkey
3. Pakistan
4. Qatar
5. United Arab Emirates,
6. Egypt
7. Jordan,
8. Senegal,
9. Sudan,
10. Kuwait,
11. Maldives,
12. Morocco,
13. Chad,
14. Tunisia,
15. Comoros,
16. Djibouti,
17. Oman
18. Bahrain,
19. Malaysia,
20. Mauritania,

বাংলাদেশের নাম নাই
359504
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:২৪
তট রেখা লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত পোষন করি। এটা হয়ত শেষের শুরু।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:১১
298083
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ। আমার ও তাই মনে হয়।
359519
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:১০
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

উপরে অনেক বিশ্লেষণ পড়লাম, আমি আর সেগুলো নিয়ে বলছিনা!!

একটা হাদীসের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক-
সেটা হচ্ছে "গজওয়া-ই হিন্দ" বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ! সিরিয়ার "শেষ মহাযুদ্ধ"র আগেই সেটা হবার কথা!!

তাই আমি মনে করি "শেষ মহাযুদ্ধ" আসার আগে আরো অসংখ্যবার পৃথিবী বিপর্যস্ত হবে এবং পূণর্গঠিত হবে!
সম্ভবতঃ মহাশূণ্যের আরো অনেক গ্রহে মানুষ বসবাস করবে, ইনশাআল্লাহ!!

তবে একটা বড় দুর্যোগ যে ঘণীভূত হচ্ছেতাতে কোন সন্দেহ নেই!

এমন অবস্থার জন্যই সম্ভবতঃ ঐ হাদীসগুলো-
(১)যে চূপ থাকলো সে রক্ষা পেলো,
(২)মেষপাল নিয়ে পাহাড়ে বা জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া উত্তম

আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
আমরা তাঁরই কাছে ক্ষমা চাই, সুরক্ষা চাই দুনিয়া ও আখেরাতে!!

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:২০
298084
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ সাইফ ভাই। "গজওয়া-ই হিন্দ" যে বর্ণিত মহাযুদ্ধের আগে হবে এ ব্যাপারের স্পষ্ট কোথাও উল্লেখ আছে বলে মনে হয়না। বরং "গজওয়া-ই হিন্দ" শেষ মহাযুদ্ধের অংশ হতে পারে। যেই মুহুর্তে মধ্যপ্রাচ্যে মহাযুদ্ধ চলবে সে সময় পাকিস্তান-আফগানস্তান থেকে "গজওয়া-ই হিন্দ" শুরু হতে পারে। বাংলাদেশের কিছু জন গণ ও এ যুদ্ধের একটা অংশ নেবার সম্ভাবনা বেশী।

ভারত জয়ের পর বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান থেকেই মনসুরের কালো পতাকাধারীরা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ইমাম-মাহদীর বাইয়াত গ্রহণের জন্য রওয়ানা হবে।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:৩১
298086
আবু সাইফ লিখেছেন : হতেও পারে!
আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!

আবু সাইফ-এর পক্ষ থেকে আপনাকেও ধন্যবাদ
359522
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৩৫
খোঁচা বাবা লিখেছেন : যত্তসব কল্পকাহিনী, অন্যকিছু ঘটতে যাচ্ছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১০:২১
298085
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : অন্যকিছুটাই তো বুঝতে পারছিনা!
১০
359613
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৩২
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : সকল মুসলিম দেশকে সৌদি আরবের পক্ষো উচিত। ভাল লাগলো। আশাকরি আরো লিখবেন, ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File