আহ্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভায়ের মৃত্যু! আগে ও পরে।
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ১১ মার্চ, ২০১৩, ০৯:১১:০৯ সকাল
একটু পেছন থেকেই বলি................
হাইব্রীড আন্দোলন শাহ্বাগ আন্দোলনের গতির জন্য একটা মৃত্যু খুবই দরকার ছিল শুরুর দিকে। মিডিয়াগুলু বেশ আগে-ভাগেই কানা-ঘুষা করছিল জামায়াত শিবির চক্র শাহবাগ আন্দোলনের অগ্রভাগের লোকজনকে খুন করেতে পারে। অবশেষে মিললো সেই প্রত্যাশিত বস্তুটি। ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার থাবা-বাবা ওরফে রাজীব খুন হলেন। প্রধানমন্ত্রী ওকে ঘোষণা দিলেন দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে। দোষ জামায়াত শিবিরের ঘাড়ে চাপানো একদম সোজাই ছিল। প্রাথমিক তদন্তের ও আগে সংসদ থেকে শাহ্বাগে মন্ত্রীরা ঘটা করেই বলে ফিরছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত-শিবির ই খুন করেছে। প্রায় সবকটি টিভি চ্যানেল , অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসায়ী সংবাদপত্রগুলু জামায়াত-শিবির, জামায়াত-শিবির করতে দম নেবার ফুরসত পাচ্ছিলোনা। কিন্তু গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মৃতের হাতে মহিলার চুল দেখতে পেলে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। বেরিয়ে আসতে থাকে অন্য কাহিনী। লম্পট থাবা-বাবা যে পরকিয়ার বলি হলেন এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিকদের সন্দেহ থাকলোনা। এক পর্যায়ে ওর প্রেমিকাকে গ্রেফতার ও করা হলো।মজার বিষয়, এ পর্যায়ে সবকটি দালাল মিডিয়া থাবা-বাবার মৃত্যুতে আর কোন ফলো-আপ নিউজ প্রচার করলোনা।মিডিয়াগুলুর এমন একটা ভাব দেখলাম যেন ব্লগার রাজীব নামে কেউ কখনো ছিলইনা। হঠাৎ নতুন কাহিনী বের করে আনা হলো। নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ৫ ছাত্র নাকি থাবা-বাবাকে খুন করেছে। ওদের কে গ্রেফতার করা হল। শুনলাম, রিমান্ডে ওরা নাকি হত্যার কথা স্বীকার ও করেছে! বাংলাদেশ আওয়ামী-পুলিশ বলে কথা!
এর পর, ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রাক্কালে শহীদ মিনার ভেন্গে এবং জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেশ-প্রেমিক জনতার কলিজায় আগুন জ্বানালো হল। যথারীতি দোষ চাপানো হল জামায়াত-শিবিরের উপর। পুলিশ, বিজিবি ,আওয়ামিলীগ আর মিডিয়ার চতুর্মূখী আক্রমণে দিশেহারা জামায়াত ২১ শে ফেব্রুয়ারীর এ সময়ে এমন আহাম্মকী কাজ করবে তা সুস্হ কেউ বিশ্বাস করবেনা। অনেকে বলাবলি করছিলেন কেউ পরিস্হিতির সুযোগ নিয়ে জামায়াত-শিবির কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ২ দিন আগে যখন শহীদ মিনার ভাংতে গিয়ে জনতার হাতে যুবলীগের নেতা ধৃত হল। তখন কিন্তু আগের দেশপ্রেমিকদের বক্তৃতা-বিবৃতির জন্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এখন খেলা হচ্ছে আরেক জঘণ্য খেলা। সংখ্যালুগুদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। যথারীতি দায় চাপানো হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের উপর। জামায়াত-শিবিরের জড়িত থাকার সামান্যতম প্রমাণটুকু কেউ দিতে পারেনি। বরং বিভিন্ন স্হানে আওয়ামিলীগের জড়িত থাকাটা নগ্ন-ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়ায় দু-একবার প্রকাশের পর ওগুলু্ অদৃশ্য কারণে হারিয়ে যায়। আমরা সাধারন মানুষ যাচাইয়ের মানুষিকতা নিয়ে ক'জন সংবাদ দেখি বা শুনি? ১৮ দল থেকে দাবী উঠেছে সংখ্যলুঘুদের উপর আক্রমণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের। সরকার যথারীতি বধীর!
আহ্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভায়ের মৃত্যুকে মিডিয়াতে ফলাও করে বলা হলো খুন। কারন! সে যুদ্দাপরাধ মামলায় গোলাম আযমের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়েছে। বাংলা ব্লগগুলাতে, টিভি চ্যানেলগুলাতে সে কি তোলপাড়! জামায়াত-শিবির কাউকে বাঁচতে দেবেনা। আরো কত কি? কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেল, মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ক্যমিকেল পরীক্ষায় দেখা গেল ওর মৃত্যু হয়েছে বিষে। ওর শরীরের পাওয়া গেছে শারীরিক সম্পর্ক স্হাপনের আলামত। পুলিশ রিপোর্টে অনুমান করা হচ্ছে শারিরীক সম্পর্ক স্হাপনের আগে বা পরে ওকে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল! এখন আবার সংবাদটা হযম করে ফেলা হচ্ছে। ক'দিন পর হয়তো জানবেন, যার সাথে শারিরীক সম্পর্কের পর সে মারা গেল সে জাময়াতের নিয়োগকৃত এজেন্ট।
এইখানে দ্যাখেন। আমার দেশ
বিষয়: বিবিধ
১৭০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন