সেইফ এক্সিট এবং ছোট বেলার কুত্তা পেটানো
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:০৯:২৫ সকাল
একদম ছোট বেলার একটা বিষয় আমার প্রায় মনে পড়ে। তখন গ্রামের বেশির ভাগ পরিবারের রসই ঘরের বেড়া ছিল নিতান্তই দূর্বল ।বাঁশের চাটাই বা ধারি-পাতার ।প্রায় শুনতাম কুকুর বেড়া ভেন্গে কোন না কোন গেরস্হের তরকারি-বা ভাত খেয়ে ফেলেছে। বিষয়টাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেয়া যায়না ! তাই কুত্তাটাকে জনমের শিক্ষা দিতে কখনো-কখনো দরজা একটু ফাঁক করে রাখা হত কখন তিনি ঢুকবেন। এরপর ছিটকানি আটকিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম পিটুনি।
তবে সাবধান! ছিটকানি আটকিয়ে কুকুর পেটানোর একটা নিয়ম আছে। নিয়ম হলো আপনি ঘরের কোথাও না কোথাও একটা যায়গা রাখতে হবে যেখান দিয়ে মারের এক পর্যায়ে কুত্তাটা জান নিয়ে পালাতে পারে। যদি পালানোর সুযোগ না দেন তবে পিছকারি দিয়ে রং ছিটানোর মত করে কুকুরটা পায়খানা করবে, এতে সমগ্র ঘর এবং আপনি নিজেও কুকুরের বিষ্ঠাচারে আক্রান্ত হবেন।
বিষয়টা মনে পড়লো আওয়ামিলীগের সেইফ এক্সিট খোঁজার সংবাদ নিয়ে। প্লিজ ওদের একটা সেইফ এক্সিট দিন। আওয়ামি বিষ্ঠাচারে অলরেডি গোটা দেশ দূর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে।
এ পর্যায়ে যেকোন স্বৈরাচারীর শেষ এক্সিট হলো সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেয়া। আওয়ামিলীগের সেই সেইফ এক্সিট কি খোলা আছে?
"মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমরা ১৫০ জন আর্মী অফিসার বের হতে পারলাম না অথছ আট হাজার বি ডি আর সৈন্য কিভাবে রাতের আঁধারে পিলখানা ত্যাগ করে ? জবাব দিন!" সেনাকুন্জে জনৈক অফিসারের সে প্রশ্নের উত্তর শেখ-হাসিনার কাছে যতদিন নেই,ততদিন কোনভাবেই সামরিক বাহিনী আওয়ামিলীগের সেইফ এক্সিট নয়।
"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওরা অফিসারদের যেভাবে মেরেছে চোরকে ও কেউ ওভাবে মারেনা। কেন পিলখানায় অভিযানের নির্দেশ দেয়া হলোনা?" সেনাকুন্জের সেই অফিসারের কান্না , ভাতৃহত্যা সেনাবাহিনী এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবে যদি মনে করেন তবে আপনি ভুল করছেন।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতটা রেকলেস না হলেও পারতো তারা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন