"March For Democracy" আওয়ামিলীগের অস্তিত্ব হুমকির মুখে কেন?
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:৫০:৪৫ সকাল
খালেদা জিয়া যে কর্মসূচী ঘোষণা করলেন বর্তমান অবস্হায় এর চাইতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী আর কি হতে পারতো? খালেদা জিয়া তো মানুষকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকা আসতে বলেননি, আসতে বলেছেন জাতীয় পতাকা হাতে। অবশ্য এখানেই আওয়ামিলীগের বড় ভয়। তাই আওয়ামি নেতারা বলছেন , লাঠির আগায় জাতীয় পতাকা বাঁধলে নাকি জাতীয় পতাকার অবমাননা হবে। ওরা নিশ্চয় জানে ওদের গুন্ডামির বিপরীতে জাতীয় পতাকার ডান্ডা লগি-বৈঠার মতই কাজ করতে পারবে। বাঁধা আসলে নিপীড়িত জনতার হাতের লাঠির আঘাত আসবে ঝাঁক বেঁধে, চারদিক থেকে।
তাইতো প্রত্যয়দীপ্ত লক্ষ জনতার আসন্ন ঢল আওয়ামিলীগের শরীরে জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। হানিফরা বলছে ২৯ তারিখের ১৮ দলের কর্মসুচী আওয়ামিলীগের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। আওয়ামিলী নেতারা বলছে ২৯ তারিখের পর হয়তো ১৮ দল থাকবে নয়তো ওরা থাকবে। কেন একটা শান্তি-পূর্ণ কর্মসূচিকে এমন সংঘাতের মুখোমূখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ওরা?
১৮ দলকে মোকাবেলায় ওদের পেশী শক্তি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। জনগণ পাশে নাই, আন্তর্জাতিক বিশ্বে নজীরবিহীনভাবে একঘরে। নির্বাচন ছাড়াই ১৫৪ জন সাংসদ দেশে-বিদেশে এখন কৌতুকের খোরাক। এই মুহুর্তে ২০ শতাংশের ও নীচে জন সমর্থন। নজিরবিহীন পুলিশি শক্তি দিয়ে শধু ঢাকায় কোন রকমে টিকে আছে। এখন সেই দূর্গে মুক্তিকামি জনতার মিছিল দেখে হাসিনা গং প্রলাপ বকছে। নিজেরা হরতাল-অবরোধ ডেকে বসেছে। পুলিশ মেরে পুলিশকে ১৮ দলের বিরুদ্ধে আরো ক্ষেপিয়ে তুলতে চাইছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হবে কি?
গ্রেফতারের ভয় উপেক্ষা করে খালেদা জিয়া যদি রাজপথে নেমে আসার মত সাহস দেখাতে পারেন তবে ওদের কোন ষড়যন্ত্রই এবার কাজে আসবেনা। আওয়ামিলীগের চরম সীমা আমরা দেখেছি। ভুতের ভয় দেখিয়ে আর লাভ নেই। দরকার একজন নেতার হাল ধরা। এই মুহুর্তে খালেদা জিয়া ছাড়া আর কাউকে দেখছিনা। তবে হুমকি উপেক্ষা করে নেমে আসতে ব্যর্থ হলে খালেদা জিয়াকেই সবচাইতে বেশি মাশুল দিতে হবে। খালেদা জিয়া, ওরা আপনাকে বড় জোড় গ্রেফতার করবে, এর বেশি কিছুতো নয়! আপনাকে ইলিয়াস আলীর মত গুম করতে পারবেনা, চৌধূরি আলমের মত কেটে নাড়ি-ভূড়ি বের করে বুড়িগন্গায় ভাসাতে পারবেনা। দেখা হবে ২৯ তারিখ, রাজপথে, জনতার কাতারে।
বিষয়: বিবিধ
১১১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন