পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি’র ভয়াবহ গোপন মিশন ‘ভিশন-২০৩০’
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০১:৩১:৩১ রাত
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচী (ইউএনডিপি) পাহাড়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রের একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য ইউএনডিপির প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বাস্তবে ঘটছে তার বিপরীত। অগ্রাধিকারের নামে ইউএনডিপির বিভিন্ন উচ্চ পদে বসে চাকমা সম্প্রদায়ের একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নানামুখী ভয়াবহ বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। পাহাড়ের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকরাই অন্যান্যদের চেয়ে অধিক সচেতন, শিক্ষিত ও স্বচ্ছল। অথচ দেখা গেছে উন্নয়ন বঞ্চিত বাঙ্গালীসহ অন্যান্য উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ইউএনডিপি একচেটিয়া চাকমা সম্প্রদায়ের কিছু গোত্রের সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত ইউএনডিপির বড় থেকে ছোট সকল কর্তাই চাকমা সম্প্রদায়ের। ফলে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও নেয়া হয় বৈষম্যনীতি। পাহাড়ের অন্যান্য সম্প্রদায়, যেমন- ত্রিপুরা, মার্মাসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষদের জীবন জীবিকার মান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠে। উপজাতীয়দের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ পুর্বে যেমন ছিলো বর্তমানে আরো অধিক দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে। বড়কর্তা চাকমা বাবুদের ইশারায় ইউএনডিপির বিভিন্ন প্রজেক্টে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৯০ ভাগই নিয়োগ পেয়ে থাকে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন।
ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেয়ার কথা প্রচার করলেও বাস্তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ইউএনডিপির প্রতিটি প্রজেক্টের অর্ধেক বরাদ্দ খরচ হয়ে থাকে জনবল, যোগাযোগ ও যানবাহন খাতে। অবকাঠামোগত দু চারটি প্রকল্পছাড়া অধিকাংশই সভা, সেমিনার, বিদেশ ভ্রমণ,কনসালটেন্সী, ওর্য়াকশপসহ অদৃশ্যখাতে। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হয়ে থাকে চাকমাদের নিয়ন্ত্রিত হাতেগোনা কয়েকটি স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে। এভাবেই ইউএনডিপি’র পরিকল্পিত সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে শুধু চাকমা সম্প্রদায় আর স্বপ্ন দেখছে জুম্ম ল্যান্ড নামে একটি স্বাধীন পৃথক রাষ্ট্রের। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ভয়াবহ গোপন মিশন ‘ভিশন-২০৩০’।
সুদুরপ্রসারী এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ভারতের অরুনাচল থেকে দেড় লাখ উপজাতীয়কে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করার গোপন তৎপরতা চলছে। ইউএনডিপির বিভিন্ন প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জায়গা করে নেয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সম্প্রদায়ের এক শ্রেণীর উচ্চ শিক্ষিত স্বাধীনতা লোভী চাকমা বাবুদের অতীত বাসনারই নতুন ফসল পুশইন করার এই ষড়যন্ত্র। ইউএনডিপিতে কর্মরত উচ্চ ও নিম্ন পদস্থ নির্ভরযোগ্য অনেক সুত্রেই এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এই কর্মকর্তারাই উপজাতীয়দের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধার কথা বলে ভারতের অরুণাচল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে আনার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা সম্প্রদায়ের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, আধিপত্য এবং কোন এক সময় পৃথক রাষ্ট্রের স্বপ্নই তাদের ষড়যন্ত্রের এই পথে বেগবান করে তুলছে প্রতিদিন। এই স্বপ্ন দেখার পেছনে রয়েছে বহুমূখী উপাদান। নানামুখী সুযোগ সুবিধা আর সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে সেই স্বপ্নের রাষ্ট্র দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে উপজাতীয়দের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (বিশেষ করে চাকমা সম্প্রদায়ের একটি অংশ)।
সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, ইউএনডিপির উঁচু পদে থাকা চাকমা কর্তারাই গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়ে টেলিফোন সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে আসছে অরুণাচলে থাকা উপজাতীয়দের পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনতে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আলোচনা করে এবং বাংলাদেশী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে অবশেষে ইউএনডিপির চাকমা কর্তাদের যোগসাজসে সেখানকার উপজাতীয়দের অনেকটা স্বেচ্ছায় পুশইনের পরিকল্পনা করা হয়।
পাহাড়ের উপজাতীয় ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ কোটার সুবাদে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে সহজ পরিশ্রমে উচ্চতর ডিগ্রী নিচ্ছে উপজাতীয় ছাত্ররা। এভাবে বিভিন্ন দেশে লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা সম্প্রদায়ের ‘অবহেলিত নির্যাতিত ও নিগৃহীত জীবনযাপনের’ কল্পকাহিনী ছড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা ও সহানুভুতি‘ আদায় করছে। বাস্তবতা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালীসহ অন্য সকল সম্প্রদায় চাকমা কর্তৃক শোষিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত। চাকমা উপজাতীয়দের উচ্চশিক্ষিত এই অংশটিই একসময় ইউএনডিপিতে মোটা বেতনের চাকরী পাচ্ছে অনায়াসে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভারতের উত্তর পশ্চিম অংশের চীনের সাথে বিরোধীয় সীমান্ত এলাকা অরুণাচল রাজ্যে বসবাসকারী প্রায় আড়াই লাখ উপজাতীয়দের মধ্য থেকে দেড়লাখ উপজাতীয়কে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশব্যাক করতে জোর তৎপরতা শুরু করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপিতে কর্মরত কিছু উপজাতীয় ব্যক্তিত্ব এবং কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এমন কয়েকজন বিশিষ্ট উপজাতীয় ব্যক্তি ভারতীয় পররাষ্ট মন্ত্রণালয়কে একাজে সহযোগিতা করছে। ভারত সরকার এসকল নাগরিককে একসময় আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের নিকোবরে পাঠাতে জোর চেষ্টা চালিয়েছিলো। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা আন্দামানে না গিয়ে অরুণাচল রাজ্যেই বসবাস করছে। এসব উপজাতীয়দেরকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করতে গোপন তৎপরতা শুরু করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেশকিছু পরিবার ইতিমধ্যে ভারত বাংলাদেশের অরণ্যঘেরা সীমান্ত এলাকা খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দুদুকছড়া এবং রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এসকল পরিবার স্থানীয় উপজাতীয় বাসিন্দাদের সাথে মিশে যাচ্ছে নিকট আত্মীয় স্বজনের নাম দিয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারত দাবী করছে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময়, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধে উদ্বাস্তু হওয়া এবং ১৯৮৬ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর এসকল নাগরিক বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে গোপন পথে কয়েক দফায় এসে অরুণাচল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বসতি শুরু করে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানকার আইন শৃংখলা বাহিনী এসকল পরিবারকে চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ আছে এমনসব এলাকাতে বসতি স্থাপন করায়। এক পর্যায়ে এসকল পরিবারকে ভারত সরকার আন্দামান দ্বীপে নিতে চাইলে এসকল নাগরিক তাতে অস্বীকিৃত জানায়। এছাড়া এসকল পরিবার ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আশির দশকে ভারতীয় আদালতে আবেদন করলে আদালত দীর্ঘ শুনানীর পর এসকল নাগরিকদের মধ্যে যারা ভারতে জন্ম নিয়েছেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। রাজ্য সরকার কিছু লোককে নাগরিকত্ব দিয়ে নামমাত্র আদালতের নির্দেশ পালন করেন।
অপরদিকে, আন্দামানে নিতে কয়েক দফায় ব্যর্থ হয়ে ভারত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতীয় ব্যক্তির পরামর্শে এসব পরিবারকে ভারতের নাগরিকত্ব না দিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশব্যাক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এসকল উপজাতীয় পরিবার কয়েক যুগেও ভারতের নাগরিকত্ব না পাওয়া এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলে ইউএনডিপির মাধ্যমে বিশেষ বিশেষ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে এবং ভারতীয় বাহিনীর বিভিন্ন রকমের চাপে তারা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আসতে বিভিন্ন গোপন কৌশলে কার্যক্রম শুরু করেছে। জনৈক মৃণাল ভিক্ষু এই কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে। তার পরিচালনায় “ওয়ার্ল্ড চাকমা নেটওয়ার্ক” নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান, পরামর্শ ও সহযোগিতা চাওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ভারতের বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবী, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর ভারতে আশ্রিত শরণার্থীদের একটি অংশ অর্থাৎ সন্তু লারমার বিরোধী উপজাতি প্রীতি গ্রুপের সমর্থকরা চুক্তিকেও সমর্থন দেয়নি এবং বাংলাদেশেও প্রত্যাবর্তন করেনি। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তৎকালীন সময়ে এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করলে দ্বিতীয় দফায় এসকল পরিবারকে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেবে মর্মে প্রতিশ্রুতি ছিলো। বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্যের কোন তথ্য প্রমাণ আদ্যাবধী খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো দাবী করছে, সে সময়ে জনসংহতি সমিতি কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ভারতে আশ্রিত শরণার্থী পরিবারের সংখ্যাও সঠিক ছিল না। সরকারকে দেয়া শরণার্থী পরিবারের সংখ্যা প্রত্যাবর্তনকালীন ভারত ছেড়ে না আসায় জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি এমন অনেক পরিবারকে ভারতে আশ্রিত দেখিয়ে অভিনব কায়দায় শরণার্থী বানিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করিয়েছেন। এসকল পরিবারকে ভারত মানবিক কারণে আশ্রয়ের কথা বললেও মুলত ভারতের সাথে চীনের বিরোধীয় সীমান্ত এলাকা অরুণাচল রাজ্যে যুগ যুগ ধরে বসবাস করতে দিয়ে এসব উপজাতীয়দের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে মাত্র। তবে দীর্ঘ কয়েক যুগের ব্যবধানেও এসকল নাগরিকদের সে দেশের নাগরিকত্ব দেয়নি ভারত।
এছাড়াও সেখানে বসবাসকারীদের অধিকাংশরাই বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে কর্মরত আছেন। আবার অনেকেই বছরের কোন কোন সময় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার কোন কোন সময় থাকেন অরুনাচল রাজ্যে। অনেকেই রয়েছেন এপার ওপারের চোরাচালানের ব্যবসার সাথে জড়িত। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুটি স্থানীয় রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের অস্ত্র কেনা বেচা,চাঁদাবাজি, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগসহ বিবিধ অনৈতিক কাজেও সম্পৃক্ত রয়েছেন এদের অনেকেই। আবার বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের কারনেও এদের অনেকের বাসভুমির পরিবর্তন ঘটে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে অনৈতিক কাজে জড়িত এসকল উপজাতি পাড়ি জমায় ভারতে, আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসলে আবার পাড়ি দেয় বাংলাদেশে। তাদের অনেকেরই রয়েছে দু’দেশেই বসতবাড়ী, জায়গা জমি।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত উপজাতীয় পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে এসকল পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে লেখাপড়া করছে ভারতের বিভিন্ন নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কারো কারো নাগরিকত্বসহ নিজবাড়ীও রয়েছে ভারতে।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ( ইউপিডিএফ) দুটি স্থানীয় রাজনৈতিক দলই অরুনাচলের এসকল উপজাতিয়দের বাংলাদেশে আনতে গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউপিডিএফ একাজে তাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। একইভাবে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমার দলও তাদের সমর্থন বাড়াতে এসকল নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা আর প্রলোভনের কথা বলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে বসবাসকারী উপজাতীয়দের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুশইন করার গোপন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা, পার্বত্যাঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ন্ত্রনে নেয়া এবং ইউএনডিপির উচ্চপদে কর্মরত চাকমা বাবুদের কার্যক্রম সরকারের শতভাগ নজরদারীতে না আনলে পাহাড়ের বিশাল অঞ্চল অরুনাচলবাসীদের সুযোগ সুবিধার নতুন ঠিকানা হবে। স্বাধীনতার লোভে বিদেশী ইশারায় এরাই বিভিন্ন সময়ে অশান্ত করে তুলবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে- যা পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে। কাজেই সরকারকে অতি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ লক্ষ্যে সরকারকে যেসকল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরী ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে তা হলো: ১. পার্বত্যচট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড আরো জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে কাপ্তাইসহ যেসকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে সেনাবাহিনীকে সরিয়ে আনা হয়েছে তা ফিরিয়ে নিতে হবে। ২. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধে তিন পার্বত্য জেলা র্যাবের ব্যাটালিয়ান স্থাপন করতে হবে। ৩. দ্রুততার সাথে অচিহ্নিত সীমানা নির্ধারণ করতে হবে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে হবে। ৪. বিজিবি’র সংখ্যা ও সাপোর্ট বাড়াতে হবে এবং বিজিবি’র অবস্থান সীমান্তের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৫. এক কেন্দ্রীক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের সংবিধানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কোনো স্বীকৃতি নেই। কাজেই তাদের ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬. কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বাঙালীর অবস্থান ছড়িয়ে দিতে হবে
কপি পেষ্ট :Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন