৭১ এ প্রকৃত রাজাকার দেখিনি, তবে আজ দেখছি....
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৮ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৬:২৫ রাত
যুদ্ধের সময় ওরা অনেকে তাগড়া জোয়ান থাকা সত্বেও চুড়ি পড়ে ওপারে শরনার্থী হয়েছিল। যখন বিজয় এলো তখন ওটা হয়ে গেল ওদের একচেটিয়া সম্পত্তি, রাজনৈতিক ব্যাবসার একমাত্র হাতিয়ার। আজ ওদের উত্তরসূরীরা ও সে ব্যবসা ভালভাবেই রপ্ত করেছে। ওরা রাস্তায় রাস্তায় গুন্ডামী করে বেড়াবে, আমাকে আপনাকে কুপিয়ে মেরে কেক কাটবে, গলা ভেজাবে বাংলা মদে। আর ধর্ষণের সেন্চুরী উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে কাটা রাইফেল হাতে র্যাব-পুলিশের সাথে রাস্তায়-রাস্তায় হামলে পড়বে প্রতিপক্ষের উপর।ওদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন? "আপনি একটা রাজাকার! " আপনাকে রাজাকার প্রমাণ করতে প্রয়োজনে সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে সংবিধান পরিবর্তন করা হবে।
গোলামী ওদের রক্তে এমনভাবে মিশে আছে যে আজ বি এস এফের গুলিতে ফেলানির লাশ যখন কাঁটাতারে ঝুলে থাকে কিংবা বৃদ্ধ বাবাকে সিমান্তে গাছের সাথে মেরে বেঁধে রাখা হয় তখন এ যুগের মুক্তিযোদ্ধারা মনে করে ফেলানিরা চোরাকারবারি। তাই এমন শাস্তিই প্রাপ্য।
৭১ এ প্রকৃত রাজাকার দেখিনি, তবে আজ দেখছি। এমন ইতর, মেরুদন্ড হীন আর আত্মমর্যাদাহীন না হলে কি আর রাজাকার হওয়া যায়? ৭১ এ রাজাকারের সংখ্যা যেমন বেশি ছিলনা, আজ ও ওরা বেশী নয়। ওদের পত্রিকার জরীপে ওদের সংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। দেশের মানূষ কখনো এই বিপদগামী ৩০ শতাংশ ভারতীয় রাজাকারদের পদানত হবেনা।
"মুক্তিযুদ্ধ বেচে খাওয়ার দিন তো শেষ!
নাম আমার জনতা
আমিই বাংলাদেশ !"
বিষয়: বিবিধ
১১৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন