সিরিয়ায় যুদ্ধের দামামা বেজেই চলেছে। আক্রমণ নিশ্চিত
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৫৫:১৮ সকাল
সিরিয়ায় যুদ্ধের দামামা বেজেই চলেছে আর আমরা এক ভয়ংকর গহ্বরে নিপতিত হচ্ছি। বৃটিশ পার্লামেন্টে ক্যমেরনের হেরে যাওয়া আর ওবামার কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়ায় প্রেক্ষিতে সবাই মনে করেছিল যুদ্ধের ঝুঁকি বুঝি শেষ হলো। কিন্তু না! ওবামা আসলে সীমিত সার্জিক্যাল আ্যাটাকের প্ল্যান থেকে পিছু হটেছে বড় এবং ব্যাপক আক্রমণের পরিকল্পনায়। ওবামা কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই যুদ্ধে যাবার আইনগত ক্ষমতা রাখে।
কংগ্রেসের ভোটাভূটি ৯ তারিখে হবে। ওবামা কংগ্রেসে জিততে ব্যাপক লবিং করছেন। ওবামা খুবই গুরত্বপূর্ণ ব্যাক্তি স্পিকারের সমর্থন পেয়েছে। কিছুক্ষণ আগে সিনেটে ১০-৭ ভোটে সিরিয়া আক্রমনের অনুমোদন পেয়েছে। এখন ৯ তারিখের জন্য অপেক্ষা। এর মধ্যে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি ও সম্পন্ন হবে। যুদ্ধ এখন প্রায় নিশ্চিত। বিমানবাহী রণতরী সহ একের পর এক মার্কীন যুদ্ধ জাহাজ ভু-মধ্যসাগরে অবস্হান নিচ্ছে। শুধু তাই নয় আমেরিকার মূল ভু-খন্ডে ও সামরিক মুভমেন্ট লক্ষ্যনীয়। পশ্চিম উপকুল থেকে অনেক পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত দূর পাল্লার বোমারু বিমান গুলুকে পূর্ব উপকুলে স্হানান্তর করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। পাল্লা দিয়ে রাশিয়া ও বাড়াচ্ছে সমরশক্তি। কিউবান মিসাঈল সংকটের পর দুই পরাশক্তির এমন মুখোমুখি সমরসজ্জা আর দেখা যায়নি।
এ যুদ্ধে সিরিয়া কেমন প্রতিরোধ গড়বে বা কত দিন টিকবে তা বড় কথা নয়। যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। আমরা যারা শান্তিবাদী এবং আশাবাদী তারা ভাবছি রাশিয়ার কি এমন গরজ পড়েছে যে সিরিয়ার পক্ষ নিয়ে আমেরিকার সাথে যুদ্ধ করতে যাবে? কেনই বা হিযবুল্লাহ্ বা ইরান যুদ্ধে জড়াবে? আক্রান্ত হলে সিরিয়া কি আসলেই তেলআবীব বা হাইফাতে মিসাঈল দাগাবে? সিরিয়ার ক্ষমতা রয়েছে তুরস্ক, জর্দান, কাতার বা সৌদি আরবে মিসাঈল ছুঁড়ে পরিস্হিতিকে ঘোলাটে করতে। এ ঘোলা জল কারো পরিকল্পনা মাপিক গড়াবেনা।
একটু হাল্কা শোনালে ও একটা কথা বলা দরকার বলে মনে করছি। সাম্ভাব্য বিপদের জন্য আমাদের সাধ্যমত প্রস্তুতি নেয়া দরকার। বলা যায়না কখন কি হয়। সবাধানের মাইর নাই। সিরিয়ায় প্রথম মিসাঈল আঘাত করার পর সারা বিশ্বে তেলের দাম রকেট গতিতে ছুটবে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে স্বর্ণ এবং অন্যান্য কমোডিটির মূল্য। পরিস্হিতি খারাফ হলে ব্যাংক গুলু থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়বে এবং গ্রোসারী গুলুতে মোমবাতি ও কিনতে পাবেন না সময়মত না গেলে। তাই টাকা পয়সা ব্যাংকে থাকলে ক্যশ করে হাতে রাখুন। যুদ্ধের কালো মেঘ কেটে যাবে এই কামনা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১২২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন