জাতীর এ ক্রান্তি-লগ্নে অনলাইন এক্টিভিষ্টরা....(গতকালের পর)
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:০৩:১৪ সকাল
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া,বদলে যাচ্ছি আমরা, বদলে যাচ্ছে বিশ্ব! নামে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় আজকের লেখাটি..
ক'দিন ধরে অফিস, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম কোনটাই ঠিক মত হচ্ছেনা। অফিসে অফিসের কম্পিউটার, পথে ফোন, আর বাসায় গিয়ে ল্যাপটপ অন করেই কাপড় চেন্জ করা। এই হল অবস্হা। আমি জানি আমার মত যারা বাহিরে আছেন তাঁরা কেউই মাতৃভূমির এ ক্রান্তি-লগ্নে শান্তিতে নাই। দেশের কথা মাহমুদুর রহমানের কন্ঠেই মূর্ত হয়ে উঠেছিল।
"১ লক্ষ ৫৪ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের সম্পূর্ণটাই এখন জেল খানা"।
অধিকাংশ পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলগুলা সরকারের দালালীতে ব্যাস্ত। বাকিগুলার উপর কড়া সেন্সরশীপ। অনেকেই কথা বলতে গিয়ে জীবন হারানোর ভয়ে কথাগুলু গিলে ফেলছেন। বৃত্ত ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসতে যেয়ে সাহসী পত্রিকা "আমার দেশ" আবারো নিষিদ্ধ হবার পথে। বামদের নিষিদ্ধের দাবীর তালিকায় নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টিভি, ইসলামি ব্যাংক এমন কি ইবনেসিনা হাসপাতাল পর্যন্ত, যা দীর্ঘ হতে হতে ইসলাম ধর্ম পর্যন্ত গড়াচ্ছে!
জামায়াতের অধিকাংশ নেতা বন্দি আছেন এবং প্রধান কয়েকজনকে সরকার শতাব্দীর জঘণ্যতম মিথ্যাচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলাতে চাইছে। ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাবার পরে ও সরকারের গোয়ার্তূমি দেখে মনে হচ্ছে ওরা যে কোন মূল্যেই ওদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবে। বি এন পি র নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। বাতাসে ভাসছে খালেদা-জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন খবর।এমতাবস্হায় জাতীকে নেতাশূণ্য করে ওরা আবারো ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। ওরা জানে ওদের পাপের মাত্রা কত। তাই ক্ষমতা হারালে কি অবস্হা হবে সেটা চিন্তা করে কোন অবস্হায়ই ক্ষমতা হারাতে রাজি নয়। সেটা নিশ্চিত করতে যা দরকার তাই করবে এবং করছে। কোন আন্দোলন যাতে দানা বাঁধতে না পারে সরকার সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বলার অপেক্ষা রাখেনা দেশের ভেতরে কোন মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে কেউ এখন নিরাপদ বোধ করছেনা। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট এবং ব্লগ গুলুতে সাধারণ মানূষ উচ্চ-কন্ঠ হচ্ছেন। সরকার দেশের ভেতরে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের উপর নজরদারি শুরু করেছে। সামনে এটা অনেক মাত্রায় বাড়বে। তাই বিদেশের ব্লগারদের জাতির এ ক্রান্তি-লগ্নে বিশাল ভূমিকা রাখতে হবে।
দেশের ভেতর থেকে যাঁরা ফেসবুক, ব্লগ এবং অন্যান্য অনলাইন মিডিয়ায় অবিরাম সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কথা মানূষের কাছে ছড়িয়ে দিয়ে জনমত গঠনে বিরাট ভূমিকা রাখছেন তাঁরাই জাতীর কন্ঠ।
তবে আপনাদের সতর্ক হবার সময় এসেছে। নিজেকে বিপদের মূখে ঠেলে দিবেন না, আবার চূপ করে ও থাকবেন না। মনে রাখবেন ইন্টারনেট আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনার দূয়ার খুলে দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যা আমি আমার গতকালের পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা প্রক্সি আই পি ব্যাবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন যাতে কেউ আপনার আই পি ট্র্যাক করে আপনাকে চিহ্ণিত করতে না পারে। এ নিয়ে অন্য একটা পোষ্টে লিখার আশা রাখি, ইনশাআল্লাহ্।
আর বিদেশের যারা আছেন তাঁরা সমস্ত মেধা আর শ্রম দিয়ে দেশীয় এবং বিশ্ব-জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এখন সময়ের দাবী। না হলে আপনারা গোটা জাতীর কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। আপনার পরিচিত বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ গড়ে তুলুন। আলোচনা করুন। সত্য প্রচারে নতুন-নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করু। আমেরিকার ব্লগারগণের এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা রাখার আশা করছি। বৃটেনের ব্লগারগণ বেশ আ্যক্টিভ আছেন।
শুধু একটা কথা বলতে চাই। "এই বাকশালী সরকার এবং দোসররা মিথ্যার উপর যেমন শক্ত অবস্হান নিয়েছে, আমারা কেন সত্যের পক্ষে তার চাইতে শক্তিশালী অবস্হান নিতে পারবোনা?"
বিষয়: বিবিধ
১৫১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন