আমরা সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধটা লড়ছি
লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৮ মে, ২০১৩, ১০:২৩:১০ সকাল
আমার চোখে যে আওয়ামিলীগ জানোয়ারের চাইতে অধম আমার ভায়ের চোখে- বন্ধুর চোখে তা নয়। এ এক কঠিন যুদ্ধ! ওদের চোখে আমি এক ধর্মান্ধ মৌলবাদি। আর আমার চোখে ওরা অনেকে ইসলাম বিদ্বেষী, মোনাফেকের কাছাকাছি কিছু একটা।
এদের বিরুদ্ধে্ লড়াই বেশ কঠিন। ধর্ম-কর্ম চর্চায় এদের অনেকে যারা ইসলামি আন্দোলনের কথা বলেন তাঁদের চাইতে বেশ অগ্রগামী। ইন্টারনেটের এই যুগে সার্চ করে এনে তর্কে কোরআন-হাদিসের রেফারেন্স জুড়ে দিতে পারেন কোরআন হাদিসের সংস্পর্শে না থাকলে ও। তাঁরা জুম্মায় যান, অনেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন, রোজা রাখেন, দান খয়রাত করেন। এক কথায় ধর্মীয় যত আচার আছে কোনটাতেই কোন ঘাটতি নাই। হুযুরদের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা ও কম না। তবে ঐ হুযুরদের বিশেষ শ্রেণীর হতে হবে। ১ নম্বর শর্ত হুযুররা কোন রাজনৈতিক দল সাপোর্ট করতে পারবেনা।ভেতরে ভেতরে আওয়ামিলীগকে ভোট দিলে অসুবিধা নাই। আমি চ্যালেন্জ করে বলছি, আপনি কওমি মাদ্রাসার কাউকে প্রশ্ন করুন গত নির্বাচনে কাকে ভোট দিয়েছিলেন? কওমিরা ছিল আওয়ামি ঘরানার লোকদের ১ নম্বর পছন্দের। আজ সেই কওমিদের যখন ঘুম ভাঙলো, যখন আল-কোরআনের সম্মান রক্ষায় জালীম সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল তখন ঐ কওমিরাই হয়ে গেল সবচাইতে ঘৃণিত। এতটাই ঘৃণিত যে রাতের আঁধারে ওদের কোরআন সংরক্ষিত বুকে যখন তপ্ত শীষা এ ফোঁড় ও ফোঁড় হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল ঐ আওয়ামি মুসলমানদের আমি উল্লাস করতে দেখেছি। সে দিন বিকেল বেলা বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেইটে বুক ষ্টলে দাঁড়ি-টুপিওয়ালারা আগুন দিয়ে কোরআন পুড়িয়েছে বলে গলা ফাটাতে দেখেছি। নিজের বিবেক কে একবার ও প্রশ্ন করার সাহস হলোনা। সে দিন শাপলা চত্বর থেকে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত অবস্হান নেয়া হেফাযতের কর্মীরা বায়তুল মোকারমের উত্তর গেটে দাঁড়াতে পারছিলনা। লাশ পড়ছিল উত্তর গেটে। সেই মুহুর্তে আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় অফিসের দুইশো গজের মধ্যে হেফাযত এমন তান্ডব চালালো কিভাবে? পান্জাবী-টুপিওয়ালা দেখেই ওদের হেফাযত বলে চিনতে পেরেছিলেন, তাইনা? আওয়ামিলীগ থেকে হেফাযত সাজা কত সোজা একবার ও ভাবলোনা? ওদের বিবেকে কতটা জং ধরলে ওরা প্রচার করতে পারে "যে মানূষগুলা কোরআনের জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছে তাঁরাই কোরআন পুড়িয়েছে!" । কিন্তু আজ যখন অধিকাংশ দৈনিক ছাপলো সে দিন কোরআন শরীফে আগুন দিয়েছে আওয়ামিলীগ নেতা দেবাশীষ বিশ্বাস তখন ঐ মুসলমান আওয়ামীলীগার কাউকে কোরআন পোড়ানোর জন্য আমি কাঁদতে দেখিনি। যখন গন্ডায়-গন্ডায় হেফাযতের কর্মীদের লাশ পড়ছিল তখন ওরা প্রশ্ন তুলেছে কেন হেফাযতে কর্মীরা রাস্তার ডিভাইডার তুললো? কেন বিল্ডিং এর কাঁচ ভাঙলো ঐ হেফাযতিরা, কেন টায়ারে আগুন দিল ? এতগুলু আলেমের মৃত্যুকে ডিফেন্ড করতে ওরা অযুহাত হিসেবে খড়-কুটা যাই পারছিল তা তুলে আনছিল।
কথা বললে এমন হাজারটা বলা যায়। যারা আওয়ামিলীগ করেন এবং নিজেকে এখনো খাঁটি মুসলমান ভাবেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন হেফাযতের প্রথম দফাটা নিয়ে। যা হচ্ছে "সংবিধানে আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস পূণ:স্হাপন করতে হবে।" আমরা ইতোমধেই জেনেছি এবং দেখেছি আপনি এই দাবীটা মানেননা। জানতে পারি কি না মানার পক্ষে আপনার যুক্তিটা কি?
বিষয়: বিবিধ
১২০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন