হেফাযতের হরতাল এবং পর্বতের মূষিক প্রশব

লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:৪৭:০৭ রাত

হেফাযতের লং-মার্চকে ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা ছিল দেশ জুড়ে। হরতাল উপেক্ষা করে সাধারণ মানূষের অংশগ্রহণ ছিল অভূতপূর্ব! সরকার এবং সরকারের উপর ভর করা বামরা দৃশ্যত কোন ঠাসা হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিত-নিপিড়ীত মানূষ স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। হেফাযতের মন্চ থেকে বার বার ঘোষণা আসছিল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অবস্হান ছাড়বেন না। লং-মার্চে অংশ গ্রহণ করা সাধারণ মানূষের দাবি ছিল ওটাই। কিন্তু একি! ১ দিনের হরতাল!! নিতান্তই দায় সারা গোছের মনে হলে। আগামিকালের হরতালে ঢিলে-ঢালা ভাব ব্যাপরাটাকে আরো স্পষ্ট করবে বলে আমি মনে করি।

হেফাযতের নেতাদের মাঝে সমন্বয় আছে বলে মনে হলোনা। প্রায় সব নেতাই অবস্হান না ছাড়ার কথা বলছিলেন। নেতারা কি ইংগিত পাননি কি কর্মসূচী আসছে। রাজনৈতিক দূরদর্শীতা না থাকলে যা হয় আর কি!

হেফাযতের কথায় খুব একটা ভরসা ও রাখতে পারছিনা। বলা হচ্ছিলো। সরকারের মদদে বামদের ডাকা হরতাল প্রত্যাহার না করা হলে বা লং মার্চে বাঁধা দেয়া হলে লাগাতার হরতাল। যেটা শুধু হুমকি ছিলনা। ছিল হরতালের ঘোষণা। কারণ বামদের হরতাল প্রত্যাহার করা হয়নি, পদে পদে বাঁধা দেয়া হয়েছে। স্হানে-স্হানে লং-মার্চে অংশগ্রহণকারীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। অথচ কি হল? সরকার ও যা বুঝার বুঝে গেছে। হেফাযতের পরবর্তি বড় কর্মসূচী "ঢাকা ঘেরাও" এর সময় সরকার ওদের অত্যন্ত কঠোর হাতে দমন করবে যদি কওমি মাদ্রাসাগুলুকে স্বিকৃতি দেওয়ায় মূলা হেফাযত না খায়। হেফাযতের হুমকি-ধামকিকে সরকার পরেরবার খুব একটা আমলে নেবেনা। লক্ষ-লক্ষ মানূষের পালস্‌ বুঝতে না পারলে হেফাযতের কপালে দূ:খ আছে।

এই ১ মাসে, ৫মের আগ পর্যন্ত মামলা দিয়ে সরকার হেফেযতের কোমর ভেন্গে দেবে। সরকারকে ওরাইতো পরিকল্পনা করার সময় দিল। নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে জানান দিল। ইতোমধ্যেই আহ্‌মেদ শফীর বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌ অবমানননার মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লং-মার্চে লক্ষ-লক্ষ সমাগম দেখে হেফাযতের আত্ম-তুষ্টিতে বিভোর থাকার পরিণতি খুব ভাল হবেনা।

এরশাদের সমর্থন পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। মনে রাখবেন এরশাদ মনে করেছিল সরকারের বুঝি আজই পতন হবে! বেচারা মাইরের ভয়ে আপনাদের কাছে এসেছে। কাল সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে অবস্হা বুঝে। চোরমোনাইয়ের পীরের সাথে আপনাদের সখ্য নাই জানি। কিন্তু এ মুহুর্তে ওসব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়ানোর কথা ছিল। মন্চে স্হান সংকুলানের অভিযোগে চোরমোনাইয়ের পীরকে মন্চে উঠতে দিলেন না! এ রকম ছোট মানষিকতা নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন সফল হবেনা।

তারপর ও আমি স্বপ্ন দেখি। হেফেযতকে নিয়ে নয়; এদেশের মানূষকে নিয়ে। আল্লাহ্‌, আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে খেলার দূ:সাহস দেখালে জনতা সর্বোচ্চ কোরবানি দিতে প্রস্তুত এই মেসেজটা আমারা পেলাম হেফাযতের লং-মার্চ থেকে। সরকারের সাথে আঁতাত করে বা নমনীয়তা প্রদর্শন করলে মানূষ অন্য কোন হেফাযত খুঁজে নেবে।

বিষয়: বিবিধ

১২৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File