চামচামি আর কাকে বলে!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন শ্লোগান ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৪২:৩৭ রাত
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজান সাহেব আজ কোন এক জায়গায় বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের আপিলের সুযোগ দেওয়া উচিৎ হয় নাই!!!!!!!!
অনেক বুদ্ধিজীবিরাই বর্তমানে এমনকি অতীতেও সরকারের পক্ষে কথা বলেছেন। কোন কোন বুদ্ধিজীবি সরকারের বিভিন্ন নীতি-কর্মকান্ডকে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, কেউ কেউ অবশ্য এক্ষেত্রে একটু বেশীই করেন। আমরা সাধারণ মানুষ আশা করি বুদ্ধিজীবিরা যুক্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাজের সমর্থন ও ক্ষেত্রবিশেষে সমালোচনা করবেন, কিন্তু যখন দেখি তাদের কেউ কেউ লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে সরকারের একদম মন্দ কাজেও আন্তরিক সমর্থন দেন-এর পক্ষে বিভিন্ন বিশ্লেষণ বের করেন, যুক্তি তুলে ধরেন আবার কেউ কেউ সরকারের ভাল কাজের ক্ষেত্রেও শুধু শুধুই সমালোচনা করেন, বিরোধীতামূলক বিশ্লেলণ বের করেন তখন আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। এরকম ক্ষেত্রে অনেক সাধারণ মানুষকেও দেখেছি উচ্চশিক্ষিত এ সমস্ত বুদ্ধিজীবিদের গালিগালাজ করেন যা শুনলে অশিক্ষিত মানুষও লজ্জা পায়।
আমাদের মিজান সাহেব যা বললেন কথাটা তিনি না বললেই কি হত না। এ রকম কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগ এমনকি মহাজোটে কি নেতার অভাব পড়েছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে এ রকম কথাটি কি উনাকে মানিয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনা করা হয়ে থাকে আর এ সমস্ত সমালোচনার জবাবে আওয়ামী নেতারা আপিলের সুযোগ রাখাটাকে একটা অন্যতম আদর্শ মানদন্ড বলে থাকেন সেখানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি এ কি বললেন!!!!!! তার মনে কি একটুও উদয় হল না সমগ্র জাতির মানবাধিকার বিষয়ে কথা বলা তার দায়িত্ব!!! এ রকম কথার দ্বারা তিনি নিজেকে কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন!!! চামচামি করা, না কি মানবাধিকার এর অন্যতম প্রবক্তা প্রমাণ করা। উনি যাই মনে করুন না কেন রাস্তাঘাটে মানুষ কিন্তু উনাকে গালিগালাজ করে, হাসাহাসি করে। কেউ কেউ বলছেন চামচামি আর কাকে বলে-দেখে যান মিজান সাহেব কে, মানবাধিকার মিজান সাহেব, যিনি চামচামি করতে করতে আওয়ামী নেতাদেরও হার মানিয়ে দিলেন!!!!!
বিষয়: বিবিধ
২৪৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন