ম্যাডাম, প্রজনন, ব্লু-ফিল্ম,পর্নোগ্রাফি কী?
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড পারসন ২৩ মার্চ, ২০১৩, ১২:৫৮:৫৫ রাত
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর আলোকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জন্য প্রণীত নতুন পাঠ্যবইয়ে রয়েছে অশ্লীলতা ও যৌনতার ছড়াছড়ি। একাধিক বইতে বয়ঃসন্ধিকাল, প্রজনন শিক্ষা, কিশোর অপরাধ প্রতিরোধের আড়ালে ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি ও যৌন বিষয় অত্যন্ত খোলামেলাভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
যেমন, একাধিক পাঠ্যবইয়ে বয়ঃসন্ধিকালের লক্ষণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায়, প্রজনন অঙ্গ বড় হয়ে ওঠে, বীর্যপাত হয়, কিশোরীদের স্তন বৃদ্ধি পায়, ঋতুস্রাব ও মাসিক শুরু হয়, ঊরু ও নিতম্ব ভারী হয়।
পাঠ্যসূচিতে এসব বিষয় থাকায় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। খোদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিব্রতবোধ করছেন।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ অষ্টম শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্য বইতে ব্লু-ফিল্ম, পর্নোগ্রাফি, প্রজনন ও যৌনতা বিষয়কে অত্যন্ত খোলামেলা উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবহেলা ও সংশ্লিষ্টদের অযোগ্যতা-অদক্ষতার কারণেই কোমলমতি শিশুদের পাঠের মাধ্যমে কুশিক্ষা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
পাশ্চাত্য দেশের আদলে ছাত্রছাত্রীদের যৌনশিক্ষা দিতে চান। এতে করে তারা কৈশরেই বিপগামী হবে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার প্ররোচনার অপরাধে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন