তাহারা স্বাধীনতা লাভের পর ৪১ বৎসর যাবৎ কী করিয়াছেন?
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড পারসন ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৮:৫৬ রাত
ইহা বলা যাইবে না যে, পূর্বতন সরকারসমূহ এমন দুর্বল ছিল যে, তাহারা বাংলাদেশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করিতে পারিত না অথবা জনগণের পক্ষ হইতে যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোনো বাধা আসিয়াছিল। ইহা সকলেই জানেন যে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দিয়া যাইতে পারেন নাই; যদিও তিনি সাজা দিতে খুবই ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কেহ এই দাবি করিতে পারিবেন না যে, যুদ্ধাপরাধী হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর লোকদের বা অন্যদের বিচার না করার ব্যাপারে বাহিরের কোনো চাপের সম্মুখীন হইয়াছেন। যে সকল নেতা এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনরুজ্জীবিত, যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দান এবং জামায়াত ও উহার ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা বলিতেছেন তাহারা স্বাধীনতা লাভের পর ৪১ বৎসর যাবৎ কী করিয়াছেন? যুদ্ধাপরাধীদের সাজা প্রদানের ব্যাপারে সরকার যদি দুর্বলতায় ভোগেন এবং তারুণ্যের সাহায্য প্রত্যাশা করেন তাহা হইলে তাহাদের ক্ষমতায় থাকিবার যৌক্তিকতা প্রমাণ করিবার প্রয়োজনীয়তা দেখা না দিয়া পারে না। এতটা দীর্ঘ সময় যাহারা উচ্চ পদ ও ক্ষমতা ভোগ করিলেন তাহারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন এবং লক্ষ্য বাস্তবায়িত করিতে বরাবর ব্যর্থ হইলেন কেন উহার ব্যাখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত তরুণ প্রজন্ম অন্ধভাবে আর একটি মুক্তিযুদ্ধ করিতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারে না।
সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন তারিখ ২৫/০২/২০১৩ মইনূল হোসেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন