সৌদি গেজেটে নিবন্ধ : রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই যুদ্ধাপরাধের বিচার
লিখেছেন লিখেছেন থার্ড পারসন ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:৪০:১৮ সন্ধ্যা
সৌদি আরবের প্রভাবশালী দৈনিক সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এই বিচার হচ্ছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ মামলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার আগেই সরকার বিচারকে হত্যা করেছে।
সাবেক সৌদি কূটনীতিক ড. আলী আল-গামদির লেখা ‘ট্রাইব্যুনাল ভারডিক্ট : এ পরিটিক্যাল ভেনডেটা’ শিরোনামে বুধবার প্রকাশিত ওই নিবন্ধে বলা হয়, স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার আগেই সরকার বিচারকে হত্যা করতে চায়।
বাংলাদেশ সরকার চায় না দেশে কোনো রাজনৈতিক প্রতিপড়্গ থাকুক। যুদ্ধাপরাধের বিচার দেশে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা থাকলেও সরকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, ইসলামী সংগঠন ও স্থানীয় সংগঠনের কোনো আপত্তিকেই কানে তোলেনি।
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা সম্পর্কে নিবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থেকে পড়াশুনা শেষ করেছেন, বিডিআরের স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ছিলেন। সরকার এখন তার বিচার করলেও এর আগে গত ৪০ বছরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়নি।
নিবন্ধে বলা হয়, এখন ত্রুটিপূর্ণ বিচারের মাধ্যমে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে। বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা হয়নি এবং আন্তর্জাতিক বিচারক ও আইনজীবীদেরও বিচারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
মানবাধিকার সংগঠনের পাশাপাশি কাদের মোল্লার আইনজীবীরাও বলেছেন যে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। অনুগত বিচারক, আইনজীবী ও তদন্ত্ম কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে সরকার ন্যায়বিচারের মৌলিক মানদন্ড অস্বীকার করেছে। এমনকি বিচার শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতাসীন সরকার বলছে যে অভিযুুক্তদের ফাঁসি হলেই কেবল তারা খুশি হবেন।
নিবন্ধে ঢাকার শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, ওই আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে আমি সন্দিহান। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার এই উদ্যোগের আমি নিন্দা জানাই।’
উল্লেখ্য, ঢাকার শাহবাগে দৃশ্যত কিছু বামপন্থি ও আওয়ামীপন্থি যুবক আন্দোলন শুরম্ন করলেও এখন দেখা যাচ্ছে যে মূলত ইসলামদ্রোহী নাসিত্মক, মুরতাদ ও ফ্যাসীবাদীরাই ওই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে।
তারা মহান আলস্নাহ ও তার প্রিয় নবী সম্পর্কে পৃথিবীর নিকৃষ্ট ভাষায় যেসব চরম অশস্নীল মন্ত্মব্য করেছে তা সভ্য মানুষের কল্পনারও অতীত।
ইতোমধ্যেই ওই আন্দোলনের হোতা এক নাস্তিক ব্লগার রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এবং শান্ত নামে আরো একজন ব্লগারের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। একে খোদার গজব হিসেবে মন্তব্য করেছেন অনেক নেটিজেন।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন