তসলিমা নাসরিন, আপনি অধম হইলে আমি উত্তম হইব না কেন?
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৪৭:৪৩ দুপুর
তসলিমা নাসরিন, আপনি অধম হইলে আমি উত্তম হইব না কেন?
এই প্রশ্নটি এখন প্রায়ই মাথায় ঘোরে। যদিও কোন মানুষকে ঢালাওভাবে অধম বলার পক্ষপাতী আমি না। তাও আজ বলতে হচ্ছে। নিজে আপনি উলঙ্গ হতেই পারেন, তাই বলে যে শালীনতা বজায় রাখবে তাকে কেন কটাক্ষ?
সম্প্রতি লাক্স সুন্দরীদের শাড়ির উপর ব্লাউজ পরা নিয়ে তিনি একটি কলাম লিখেছেন, যাতে একই সাথে এই কালচারকে সাধুবাদ আর বোরখা হিজাবকে চাপিয়ে দেওয়া অশ্লীল পোশাক হিসেবে গণ্য করেছেন।
কিন্তু একজন প্রকৃত নারীবাদী কখনোই পুঁজিবাদী আগ্রাসনে মানুষ থেকে নারীকে পণ্য বানিয়ে ফেলাকে সমর্থন জানাতে পারেনা। লাক্সের শাড়ি ব্লাউজ তর্কে এই পুঁজিবাদীদের নারীকে ব্যবহারের এক নতুন মাত্রা প্রকাশ পেয়েছে, এবং এমন একটা বিষয়ে সমর্থন দিয়ে তসলিমা প্রমান করেছেন- তিনি আসলেই প্রকৃত নারীবাদী নন।
কারণ, পুঁজিবাদের মাধ্যমে নারীকে পণ্য বানানো যদি আমি ঘৃণার চোখে দেখি, তাহলে সুন্দরী প্রতিযোগিতা তার মানে গায়ের রঙ্গের মাধ্যমে, উপরের চাকচিক্যের মাধ্যমে নারীকে বিচারের ঘৃণ্য উপায়কেও আমি ঘৃণাই করবো, এবং তার সাথে নারীকে আরও বেশি পণ্য বা লোভনীয় বানানোর সমস্ত উপায়কে ঘৃণাই করার কথা।
শাড়ির উপর ব্লাউজ পরানোটা ও তারই একটা বহিঃপ্রকাশ।
তিনি লেখেছেন- “শাড়ির ওপর ব্লাউজ পরাটা আমার বেশ লেগেছে। আইডিয়াটা একেবারেই নতুন। মেয়েটির নাকি ফ্যাশন ডিজাইনারের- আইডিয়াটা ঠিক কার মাথা থেকে এসেছে, জানতে ইচ্ছে করছে খুব। ”
আমার মনেহয়, এই আইডিয়া যার মাথা থেকেই আসুক, অবশ্যই এরা সবাই পুঁজিবাদী মানসিকতারই অধিকারী, আর যে মেয়েটা পরেছে সেও পুঁজিবাদের পণ্য । এদের নিয়ে এমন আহ্লাদ করাও একজন প্রকৃত নারীবাদীর কাজ নয়।
শাড়ি অবশ্যই একটা পোশাক, ঐতিহ্য কিংবা ইতিহাসকে আপাতত একপাশে সরিয়ে রাখলে, পোশাকের যে মূল উদ্দেশ্য লজ্জা নিবারণ তারই একটা উপকরণ
মাত্র। সুতরাং, যে কোন জিনিষেরই শিকড়ে সন্ধান করতে হবে- মূলত এই বস্তুটা সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য কি।
এখন লজ্জা নিবারনের জন্য বানানো শাড়ি যদি লজ্জাহীনতার সুড়সুড়ি দিয়ে যায়, আর তাও যদি কোন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় , তাহলে যে নারী ঐভাবে শাড়ি পড়ে সে তো পণ্য হয়ই, উপরন্তু ঐ পোশাক ও তার মর্যাদা হারায়। কারণ, তাকেও এক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আরেকজনকে লজ্জাহীন করার জন্য।
তিনি বললেন- "শাড়ির বিবর্তনের ইতিহাস যারা জানে, তাদের কাছে শাড়ির যে কোনও বিববর্তনই গ্রহণ করতে তাদের অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। "
পোশাক হিসেবে শাড়ির বিবর্তন ঘটেছে, আর বিবর্তন ঘটে অপেক্ষাকৃত কম সভ্যতা থেকে বেশী সভ্যতার দিকে। অতঃপর সভ্যতা সর্বোচ্চ শিখরে উঠে গেলে আবার ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করে।
সেটাও একধরনের বিবর্তন ও বটে। যুগের পালাবদলে মানুষ সভ্য হয়েছে। শাড়ি দিয়ে কীভাবে লজ্জা নিবারণ করা যায় তা শিখেছে।
যদি ঢাকার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোতে যান, তাহলেই দেখতে পাবেন সেখানকার শিক্ষিকারা কেমন করে শাড়ি পড়েন, শিক্ষিকাদের উদাহরন টানলাম কারণ তারা জাতির মেরুদণ্ড, রোল মডেল, বা সভ্যতা বিচারের একটা প্যারামিটার, যেহেতু তাদের হাতেই জাতি বিশেষ করে নারী জাতি শিক্ষিত হয়।
সুতরাং তাদের আচার আচরন, পোশাক পরিচ্ছেদ দেখে মোটামুটি একটা ধারণা নেওয়া যায়- শাড়ির বিবর্তনের ধারাটা কেমন করে বিকশিত হল।
এখন যদি ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়- বেশীরভাগ শিক্ষিকাই শাড়িতে শালীনতার ছাপ ফুটিয়ে তুলেছেন, শাড়ির এই বিবর্তনকে কি তখন আপনি সভ্যতা বলবেন না?
এখন তসলিমার কথা মতে, শাড়ির যে কোন বিবর্তনই মেনে নিতে হবে। যখন বিবর্তন সভ্যতার চূড়ান্ত আসনে উন্নীত হয়েছে, তখন পরের বিবর্তন যে আবার নিচের দিকেই নামাবে, সভ্যতার সুত্র কিন্তু তাই বলে, যা ভদ্র সমাজ কখনোই কামনা করে না – যে আমরা আবার অশ্লীল বর্বর গুহা মানব হয়ে যাবো।
তিনি লেখেছেন-“ কাপড় পরা মানুষদের মধ্যে একজন যদি কাপড় খুলে দাঁড়ায় তাকে খুব অশ্লীল দেখাবে, এ কথা সবাই জানে। আবার কাপড়ও কিন্তু কখনও কখনও বড় অশ্লীলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
সৃষ্টির শুরুতে অশ্লীলতার শুরুই হয়েছিলো বাবা আদম আর মা হাওয়ার বেহেস্তি পোশাক খুলে নেওয়া থেকে। এরপর বিষয়টা যদি অশ্লীল মনে নাই করা হতো তাহলে গাছপালা দিয়ে নিজেদের ঢাকার চেয়ে এও তো মনে করাই যেতো- যে বিধাতা আমাদের কাপড় কেড়ে নিয়েছেন, এখন কাপড় পরে কি লাভ!
কিন্তু মানুষ নিজের স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বুঝে নিয়েছে- সে আসলেই লজ্জিত অবস্থায় পতিত হয়েছে, এবং তাকে অবশ্যই বস্ত্রের সন্ধান করতে হবে স্বর্গের সুখ শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে তা নিয়ে হায় আফসোস করার আগেই।
সুতরাং কাপড়হীনতাই অশ্লীলতা, যা সৃষ্টির শুরু থেকেই সর্বজনবিদিত। তসলিমা যে প্রসঙ্গে এই কথাটা বলেছেন তার পরেই নিজের একটা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। যে একবার বিদেশে বীচে যেয়ে সমস্ত নরনারীকে উলঙ্গ দেখে নিজের কাপড়ের জন্য নিজেই লজ্জা পাচ্ছিলেন। এরপর নিজেও বস্ত্রহীন হয়ে যান, কিন্তু সংস্কার সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হতে বাঁধা দেয় দেয়।
ঘটনাটা কিছুটা হাস্যকর ঠেকে বৈকি। এই তিনিই মেয়েলি হয়ে যায় বলে চুরি পরতে নারাজ, কাজল মাখতে নারাজ, আবার এই তিনিই অন্যকে দেখে নিজস্ব সত্তাকে কাজে লাগাতে অক্ষম!
মনে করুন- আমি কেডস পড়ি। এটার পেছনে ৩ টা কারণ থাকতে পারে
১- কেডস পড়া দরকার, হাঁটার জন্য
২- সবাই পরে তাই পড়ি , বা পরতেই হবে মনোভাব।
৩- এটা আমার নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য।
প্রথমটা দরকারে পরা , দ্বিতীয়টা গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো, এ ক্ষেত্রে যে কোন পোশাক পড়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব কোন জাজমেন্ট বা পছন্দ কাজ করেনা।
আর তিন নাম্বার বিষয়টা যদি আমার মাঝে কাজ করে তাহলেই আমি দাবী করতে পারি যে- আমি যা পরি , সেটাই আমার পারসোনালিটি বা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য। আমি যাই পরি , যাই করি তার পেছনে আমার নিজস্ব চিন্তা, বিশ্বাস কাজ করে, এবং পোশাক সেটাই শক্তভাবে ধারন করে।
একদিকে মেয়েলি দেখাবে বলে আমি চুরি পরবো না, আরেকদিকে অন্যরা আমাকে অনাহূত ভাববে বলে গায়ের কাপড় খুলে ফেলবো এই দ্বিমুখী চরিত্র কি প্রমাণ করে?
এই দ্বিমুখী চরিত্র প্রমাণ করে যে আমার আসলে নিজস্ব কোন ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য বা পারসোনালিটিই নেই।
সবশেষ আঘাত হানলেন বোরখার উপর- “ ব্যক্তিগতভাবে কোনও পোশাককে আমি অশ্লীল বলে মনে করি না। তবে অশ্লীলতা দূর করতে যে পোশাকগুলো বানানো হয়েছে, এবং মেয়েদের গায়ে চাপানো হয়েছে, মেয়েদের স্বাধীনতা আর স্বতঃস্ফূর্ততাকে কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই পোশাকগুলোকে বরং আমার ভীষণ অশ্লীল বলে মনে হয়। যেমন হিজাব, যেমন বোরখা।”
প্রিয় পাঠক, এই আধুনিক যুগে, নারী স্বাধীনতার যুগে, আপনাদের কি আদৌ মনে হয় কোন পোশাক নারীর গায়ে জোর করে চাপিতে দেওয়া সম্ভব?
আর যদি বা ধরলাম- বোরখা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে রাস্তা ঘাটে এত এত হিজাবি মেয়ে তো দেখা যাওয়ার কথা ছিল? কারণ- চাপিয়ে দেওয়া কোন কিছু হবে খুব ব্যতিক্রম, স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজার মেয়ে চাপিয়ে দেওয়া জিনিষ পরবে এটা ভাবাটা কি চরম অজ্ঞতা নয় ?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে অনেকবার আমি গুনে গুনে দেখেছি- হিজাবি মেয়ের সংখ্যাই বেশী। যদি বাসে ৪০ জন মেয়ে থাকে, গুনে দেখেছি ২৭/২৮ জনই হিজাবি।
তসলিমা কি বলতে চান, এদের সবাইকেই, এই উচ্চশক্ষিত মেয়েদেরকে চাপ প্রয়োগ করে হিজাব পরানো হয়েছে? এই যুগে তা কি আদৌ সম্ভব?
এরপর বললেন- "কিন্তু এ কথা ভুললে চলবে না যে সভ্য হওয়ার জন্য আমরা কিছু নিয়ম তৈরি করেছি, যেমন: তোমার যৌনকামনা জাগলেই তুমি কারও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারো না, যৌনকর্ম করার জন্য তোমাকে তার সম্মতি পেতে হবে আগে। এই নিয়মটি পালন না করে মেয়েদের কিনা বোরখা পরানো হচ্ছে। তাদেরকে সমাজ থেকে ব্ল্যাকআউট করা হচ্ছে। জলজ্যান্ত মানুষগুলোকে এক একটা আস্ত কারাগার বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে পুরুষের যৌন কামনা জাগে, বোরখা পরা মেয়ে দেখলেও তার যৌন কামনা জাগে। আর যার জাগে না, তার উলঙ্গ মেয়ে দেখলেও জাগে না।"
নারীকে দেখলেই পুরুষের আকাঙ্খা জাগবে, এটা সৃষ্টির নিয়ম। কিন্তু এই কামনা যাকে তাকে দেখলেই যেন না জাগে এই জন্যই নারী পুরুষ উভয়কেই ইসলামে চোখের পর্দা করতে বলা হয়েছে।
আর নারী যেহেতু সৌন্দর্যের আঁধার, এবং অমূল্য বস্তু, চাইলেই যাকে দেখে কামনার আশা প্রকাশ করা যাবে না, ঝাপিয়ে পড়া যাবে না, তাই তাকে আড়াল করা হয়েছে। ব্যাংকের লকার যদি জনসম্মুখে এনে ফেলে রাখেন ঝাপিয়ে পড়বে না এমন একটা সাধু কি দেখাতে পারবেন?
আর নারী সঙ্গ উপভোগ মনে হয় টাকা পয়সার চেয়েও অনেক লোভনীয়। সে জিনিষ চোখের সামনে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখতে চায় যারা, আবার সুরক্ষা কবজ হিজাবকে যে কারাগারের সাথে তুলনা করে তার মানসিক সুস্থতা কতোটুকু!
নারীর মাঝে কি আছে, তা পুরুষ জানে বৈকি! যেমনি আপনি আমি জানি, ব্যাংকে কি আছে। কিন্তু লুট করার দুঃসাহস তো আমরা কেউ করিনা।
এই সম্মানটুকুই বোরখা দিতে চেয়েছে। তাতেও সমস্যা?
আর পুঁজিবাদী সমাজের নারীকে পণ্য বানানো সুন্দরী প্রতিযোগিতার স্বপক্ষে, নারীর সম্মান এবং পণ্য বানানোর বিপক্ষে যে হিজাব কাজ করে, তার বিরুদ্ধে যে কথা বলে, সে যে পুঁজিবাদেরই চাটুকার নয়, তার পেট যে পুঁজিবাদীদের পদলেহন করে চলেনা, সে যে এই লেখার পারিশ্রমিক নেয়নি তার কি নিশ্চয়তা?
বিষয়: বিবিধ
২০৮২ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
....ইয়ে .... শাড়ীর উপরে ব্লাউজ পড়া ব্যাপারটি আলোড়িত হওয়ায় কৌতুহলী হয়ে আমি ইউটিউবে গিয়ে ওই পর্বটি দেখলাম। দেখে তো আমার আক্কেল গুরুম !!! শাড়ী পড়াটাকে ফিউশনের নামে প্রতিযোগীরা যা বানালো , তা আর কহতব্য নয়। সন্মানিত (!) বিচারকগণ তা...ই তারিয়ে তারিয়ে দেখলেন ..... ভালো মন্দ মন্তব্য করলেন ! এটি আমাদের প্রজন্মের জন্য যে কি সাংঘাতিক অশনি সংকেত , তা এখন কেউ না বুঝলেও খুব বেশি দেরী নেই যখন এর দায় আমাদেরকেই চোকাতে হবে পাই পাই করে।
তসলিমা এবং তার স্পন্সর লাক্স-চ্যানেল আই এর মত প্রতিষ্ঠানগুলির একটাই উদ্দেশ্য। নারিতে পন্য বানান। তাই উভয়ের মতামত ই এক।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সুতরাং, কোন জৈবিক কামনা বাসনার তাড়নায় রাসুল (সা.) বহু বিবাহ করেছেন একথা কোন বিবেকবান মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
মুক্তচিন্তার ধ্বজাধারীরা এমন ই হয়। নিজের মতামতকেই সবার উপর চাপিয়ে দিতে চায়।
অন্যের জীবনাচার কে সহ্য একেবারেই করতে পারে না।
আসাধারণ সুন্দর উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ....।
আমাকে মুগ্ধ করেছে।
যেমন আপনি বলেছেন -
একদিকে মেয়েলি দেখাবে বলে আমি চুরি পরবো না, আরেকদিকে অন্যরা আমাকে অনাহূত ভাববে বলে গায়ের কাপড় খুলে ফেলবো এই দ্বিমুখী চরিত্র কি প্রমাণ করে?
সত্য বলেছেন - তাসলিমারা নারীবাদী নয়। তারা ভোগবাদী।
ওরা আজ শাড়ী, কাল চুড়ি, পরশু মাথার খোপা নিয়ে কথা বলবেই। তাদের কথা বলার উপলক্ষ্যের কোন অভাব হবেনা। কেননা তারা তেলেবেগুনে তেতে আছে ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। যে কাজটা ইসলামের বিপক্ষে যাবে, সেটা যে কোন দেশ বা জাতি করুক না কেন, সেটাতে তারা তালি বাজাবে।
শাড়ি ব্লাউজ নিয়ে তারা ইসলামকে কটাক্ষ করেছে কিন্তু খ্রীষ্টান নানদের কে কটাক্ষ করে নাই! তাই এসবের মুলেই হল আমাদের তথা ইসলামী সংস্কৃতি!
ইসলামী সংস্কৃতির মুল ভিত্তিই হল কোরআন-হাদীসের অনুশাসন। ইসলামী সংস্কৃতি সমাজে এমন এক শৃঙ্খলা গড়ে তুলে, যাতে ব্যক্তি চরিত্র, সমাজ সংস্কার ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহর ভারসাম্য পূর্ণ গুণাবলী ফুটে উঠে। ইসলামী সংস্কৃতিকে মানুষ চরিত্রে ধারণ করে। এই পৃথিবীর মানুষকে ভদ্র-নম্র, রুচিশীল ও মর্যাদা বান বানাতে ইসলাম যতটুকু অবদান রেখেছে, পৃথিবীর সকল জাতি গোষ্ঠী তা রাখতে পারেনি।
ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে পুরানা ধ্যান, ধারণা, কৃষ্টি, চিন্তা, অভ্যাস, মর্যাদা সবই বিলীন হবে বুঝতে পেরেই আবু জেহেল ও আবু লাহাব নিজেদের সমুদয় অর্থ সম্পদ ব্যয় করে ইসলামের বিপক্ষে লড়াই করেছিল।
বর্তমান দুনিয়াতেও ইসলামী সংস্কৃতির আকর্ষণীয় গ্রহণ যোগ্যতায় ভীত হয়ে সমগ্র ইউরোপে, হিজাব-নেকাব সহ যাবতীয় ইসলামী কৃষ্টির বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়েছে.... আর তাদের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের এসব কুলাঙ্গার যোগ হয়েছে। তারা এতটুকু না করলে পশ্চিমা দেশে গুরুত্ব পাবে না এমনকি একদিন হারিয়ে যাবে, তাই নানা উছিলায় কিছু বলতে থাকে, বুঝাতে চা্য় আমরা এখনও বেচে আছি, তাই গরুত্ব হারায় নাই।
লিখার কলেরব লম্বা হবার ভয়ে এখানেই ইতি টানছি.... আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
আপনি ঠিক উল্টো কথাটা বল্লেন। কোরআন-হাদীসের অনুশাসন এবং ইসলামী সংস্কৃতির ধারক বাহক সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া- অর্থাত যেখানে ইসলাম সেখানেই ভহাবহ দুঃশাসন, নারী নির্যাতন, পাথরনিক্ষেপ।
প্রায় ৪৬% ছাত্র/ছাত্রী সমকামিতার শিকার হচ্ছে।
৬২% ধর্ষনের কোন রিপোর্ট হচ্ছেনা।অনেক ক্ষেত্রে এসব ধর্ষন নিজস্ব আত্মীয় স্বজন দ্বারা হচ্ছে।
রিপোর্টে দেখানো হয়েছে ১৬% ধর্ষন আত্মীয় স্বজন দ্বারা হচ্ছে।
এদের মধ্যে ৫% হয় ভাই-বোনের মধ্যে, ২% শিক্ষকদের দ্বারা. ১% হয় পিতা/মাতার দ্বারা।
জেদ্দার আর্ম ফোর্স হাসাতালের প্রেসিডেন্ট DR. INAM (AL-RABI) সতর্ক করে বলেছেন-আমরা অদুর ভবিষ্যতে এমন একটি সমাজ পেতে চলেছি, যেখানে সমকামিতার প্রাদুর্ভাব এসে যাচ্ছে।
কারণ, হাসপাতালে ধর্ষিত শিশুর আগমনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। একই সংগে শিশুদের উপর নির্যাতন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে অন্ততঃ ৩ জন করে ধর্ষনের আঘাত প্রাপ্ত শিশু চিকিৎসার জন্য আগমন করছে।
ভিডিও সূত্র : http://www.youtube.com/watch?v=eqZLrtpp9t0
'কোথায় মহারানী আর কোথায় চাকরানী'!
সৌদি আরব মুসলিম দেশ, ইরাক এইটি মুসলিম দেশ, সেভাবে কুয়েত কাতার আর বাংলাদেশও একটি মুসলিম দেশ। এসব দেশ কিছু মুসলমান দ্ধারা শাসিত হয়। ইসলাম দ্ধারা শা্সিত নয়! সৌদি বাদশা্হের শাসন আর বাংলার হাসিনার শাসনের মাঝে কোন মৌলিক তফাত নাই।
এদের শাসন ইসলামী শাসন নয়। বড়জোড় বলতে পারেন মুসলমানদের ধর্মহীন শাসন। তাই তাদের নিজেদের পছন্দের শাসন পদ্ধতি নিয়ে আল কোরআনের ইসলামী শাসনের সমালোচনা করাই হল সেই মহারানী আর চাকরানীকে এক করে দেখার মত।
আপনাকে আমি চিনি ভাল করেই জানি। আপনার মূল উদ্দেশ্য হল খুঁত আর দোষ খোঁজা, আর পরিবেশটাকে ঘোলাটে করে ইসলামকে গালাগালি করা। আপনি নিশ্চিত জানেন যে, সৌদি শাসকেরা রাজতান্ত্রীক পদ্ধতিতে দেশ শাসন করে! অথচ ইসলাম পুরা দুনিয়া থেকে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে জনগনের প্রতিনিধিত্ব মুলক শাসন ব্যবস্থা স্থলাভিষিক্ত করেছেন। একথা আপনার জানা স্বত্তেও তাদের দুর্বলতা নিয়ে আপনি ইসলামকে গালাগালি করার পথ খুজছেন।
আপনার জ্ঞান ও বিবেকের প্রতি করুনা করা ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে আর কিছু্ই অবষ্টিত নাই। কেননা আপনার নিজের বিবেক থাকলেও তা বন্ধক রেখেছনে অন্যের হাতে, দুনিয়ার তামাশাকে কিছু দিন উপভোগের প্রত্যাশায়।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
অনেক ধন্যবাদ, জাযাকুমুল্লাহ
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!
আমার ব্যক্তিগত মত নাস্তিকতা হলো মানুষ যখন তার নিজ হতাশায় সমাজের অধিকাংশ মানুষের উপর প্রতিশোধ নিতে চায় কিংবা ATTENTION SEEKER সে তাদের কমন সেন্টিমেন্টে আঘাত করবে এটাই স্বাভাবিক । । এটা নিয়েই সে বেঁচে থাকে বাকি জীবন ।
অথবা সে চিরাচরিত সামজিক কিনবা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে না । সারথপরতা, লোভ আর রিপুর তাড়নায় পরাস্ত...। তাই নিজ কাজকে জায়েজ করতে সেকুলারের রঙ্গিন চশমা পড়ে চেতনার কথার বাকচাতুর্যে নৈতিকতা মুক্ত চিন্তা আর অভিজাত নীল আলোময় মুক্ত ধর্ম হীনতা আর ভোগবাদী নারী স্বাধীনতার কথা বলে ।
They are living their whole life confused with faith and compromised with morals.
যদি বেঁচে থাকি আর ১৫/২০ বছর পর আবার তাদের বর্তমান বিশ্বাস গুলোর জায়গা দেখতে চাই ......।
মন্তব্য করতে লগইন করুন