পোশাকের লজ্জা আর তসলিমার নির্লজ্জতা
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৫১:৪০ সকাল
ছেলেরা খালি গায়ে ঘুরতে পারলে মেয়েরা কেন পারবে না! রাস্তায় দাড়িয়ে ছেলেরা গোসল করতে পারলে মেয়েরা কেনই বা পারবে না!!!
তসলিমা নাসরিনের কিছু কিছু অপব্যাখ্যা বা অপকথার দাঁত ভাঙ্গা যুক্তি দিতে ইচ্ছা করে কখনো কখনো।
মানুষের উপর শয়তানের প্রথম আক্রমনে মানুষের পোশাক খসে পড়েছিলো। সুতরাং মানুষের জন্য তার ড্রেস খুব দরকারি। যদিও কেউ কেউ মনের পর্দায়ই বিশ্বাসী, কিন্তু ইসলাম ২ পর্দার কথাই বলে। সৃষ্টি জগতে শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও পোশাক পড়ে। কীভাবে?
তাদের শরীর আল্লাহ লোম দিয়ে আবৃত করেছেন। এবং লজ্জার নিদর্শন স্বরূপ কিছু অঙ্গ ঢেকেও দিয়েছেন।
এরা কিন্তু একদম অবলা জন্তু, লজ্জানুভুতি তাদের থাকার কথা নয়। তাও আল্লাহ এই ব্যবস্থা করেছেন।
যাতে মানুষ তাদের দেখে লজ্জা না পায়!
কিন্তু মানুষ কি করছে?
ঈমানের পরে নামাজ রোজার আগেও জামা কাপড় পড়া শর্ত। কারন, লজ্জা নিবারন না হলে নামাজ রোজা কিচ্ছু হয়না।
সুতরাং, নিজেকে আবৃত করাটা খুব ছোট খাটো বিষয় নয়।
পশু পাখির অবয়ব বোঝা যায়, কারন আল্লাহর সৃষ্টি লোম সমৃদ্ধ চামড়া গায়ে আঁটসাঁট হয়ে থাকে।
ঠিক তেমনি, মানুষের গায়ের জামাও যখন আঁটসাঁট হয়ে থাকে, একটা জন্তু জানোয়ারের মতোই সমস্ত অঙ্গ বোঝা যায়, যেমন বোঝা যায় বাঘের কিংবা বিড়ালের!
পার্থক্য এই , জন্তুদের শরীর লোম দিয়ে মোড়ানো , আর আমাদের কাপড় দিয়ে।
যাই হোক, তসলিমার কথা বলছিলাম। স্বাধীনতা পাবার জন্য নিজেকে যদি উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ কেউ করে, আসলে সে সর্বপ্রথম মানব সভ্যতার সূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কারন সভ্যতা বলে বাবা আদমের পোশাক কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল মানুষের চির শত্রু শয়তানের।
এরপর থেকেই যতো পাপের শুরু হয়েছে। তারমানে কাপড় চোপড়ের সাথে জড়িয়ে আছে পাপের সূচনা, পাপের নিপাত।
এরপর আরও ব্যাপার আছে। নিজেকে যে দেখায়, সে মানুষকে দেখায়। সে তো নিজেকে দেখতে পারেনা আয়না ছাড়া!
তাই এই দেখানোয় কোন দাম নেই, নিজের কোন আনন্দ ও নেই, বরং নিজেকে অনেক সস্তা করে দেওয়াই এখানে মুখ্য, বিনোদিত হয় রাস্তার লোক।
সেদিন কার্জনে যাওয়ার পথে এক পাগলিকে বিবস্ত্র পরে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়েছিলো। সে কি তসলিমার কথিত স্বাধীনতা পেয়েছে? নাকি পথে তার স্বাধীনতা কেবল লুণ্ঠিতই হয়েছে?
তো তসলিমার এই সূত্র মতে মেয়েরা যদি রাস্তায় গোসল করে এতে মেয়েটার কোন লাভই হবেনা। হাজার হাজার মানুষ ছবি তুলবে ভিডিও করবে আর আড়ালে মজা লুটবে!
যার যা দেখার কথা না কস্মিনকালেও, সে তা বিনে পয়সায় উপভোগ করতে পারলে গরজ করে তাকে দাম দিতে বাঙ্গালীর ঠ্যাকা লাগেনি।
আর এভাবেই মেয়েদের সম্মান ঢুলায় বালিতে গড়াগড়ি খায় হরহামেশাই ......
বিষয়: বিবিধ
১৫৫১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"কাপড়-চোপড়ের সাথে পাপের সুচনা-পাপের নিপাত।"
অসাধরণ অনুসন্ধানী একটা পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ ও কাযাকাল্লাহ.......।
তাসলিমার যখন এতই শখ উলঙ্গপনার , সে পোশাক না পরেইই ঐ পাগলিটার মত ঘোরাফেরা করলেই পারে। কিন্তু নিজের কথানুযায়ী সে কি কাজ করছে? সে নিজে তো কখনো রাস্তার পাশে খালি গায়ে গোসল করেনি। সে যে একটা ভন্ড, তাতে এই দুটি ব্যাপারে তার কর্মকান্ড থেকেই বোঝা যায়।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
এই ছোট্ট একটা লাইন যদি সে কাফির বুঝতো তাহলে আজ তার এই হাল হতো না। নিশ্চই আল্লাহ সবাইকে একটা নিদৃষ্ট সময় দিয়ে রাখছে তার পরে আর ছাড় নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন