ইহুদীপণ্য বর্জনঃ একটি সুলক সন্ধান : (পণ্য ১ - কোকাকোলা)
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ২৮ জুলাই, ২০১৪, ০২:৩২:০১ দুপুর
বসুন্ধরায় গিয়েছিলাম একটা জিনিষ কিনতে। বিক্রেতা লরিয়েল এর জিনিষটা দিয়ে বলল- আপা! এটা খুবই ভালো! এটা ইউজ করে দেখেন।
আমি বললাম – ভাই, আমি ইহুদীদের প্রোডাক্ট কিনবো না। এবার আপনি যা ভাবেন!
বিক্রেতা বলল- আপা, লরিয়েল তো ফ্রান্সের জিনিষ।
আমি বললাম- লরিয়েল এর ৩০ ভাগ শেয়ার যে ইজরায়েল এর তা জানেন?
বিক্রেতার মুখ কাচুমাচু হয়ে গেলো। ভবিষ্যতে দোকানে পড়ে থাকা লরিয়েল এর প্রোডাক্টগুলো পড়ে থাকে কিনা সেই আশংকায় ই হয়তো!
অনলাইনে কেন জানি প্রায়ই বর্বর নির্মম সন্ত্রাসী জাতি ইজরাইলের প্রতি মমতা দেখানো লোক জন দেখতে পাই। কিংবা অনেকে শুধু উইকি সার্চ দিয়ে ঢালাও ভাবে বলে যায়- বাংলাদেশের সাথে ইজরাইলের কোন কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্কই নাই, পণ্য আসবে কই থেকে?
অনেকের কথা আবার আরও নানা রকম। পণ্য বয়কট কোন সমাধান নাই, পণ্য বানাতে হবে, মানসম্মত! যাতে ওদের টেক্কা দেওয়া যায়! আরে ভাই, এই যে বসুন্ধরার দোকানদার জানল। লরিয়েল ইজরাইলের প্রোডাক্ট, এরকম ১০০ ক্রেতা যদি একই কথা বলে, এই বিক্রেতা আবার লরিয়েল এর অর্ডার দেওয়ার আগে কি ভাববেন না, অর্ডার টা কম দেওয়া উচিৎ? এরকম ১০০ দোকানে যদি আরও একশজন লরিয়েল এর প্রোডাক্টে থুতু মারে, বিক্রেতা কেন আমদানি করবেন এমন প্রোডাক্ট যা ক্রেতারা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে? ঘরে ওম দিতে নিশ্চয়ই আনবেন না, বিক্রেতারা প্রোডাক্ট কিনেনই ক্রেতার চাহিদার উপর নির্ভর করে। আর বয়কট ক্যাম্পেইন এর সার্থকতা এটাই। বয়কট যদি এতোই তুচ্ছ হতো তাহলে দেশে দেশে ইজরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক আসতো না, ফিলিস্তিনের ওয়েবসাইট গুলোতেও লিখালিখি হতো না।
আবার কেউ কেউ বলে- বয়কট না করে কোয়ালিটি গুড বানাতে হবে, তাহলে মানুষ এমনিই বয়কট করবে। চাইলেই তো বয়কট করা যায় না সব!
আমি বলি – বয়কট না করলে সেই কোয়ালিটি প্রোডাক্টের অভাব আপনি জীবনেও অনুভব করবেন না, আর জীবনেও আপনি পদক্ষেপ নিবেন না তার বিকল্প পণ্য তৈরিতে। অভাব থেকেই আবিষ্কারের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশে নাকি ইজরায়েল এর পণ্য নেই, কোন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও নেই। ইনফ্যাক্ত কোন মুসলিম দেশই ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না পারতপক্ষে। এই কথা আপনি আমি জানলে ইজরায়েল এর দুষ্টু ব্যাবসায়িররা কি জানে না?
তারা আমাদের চেয়ে ১০ কদম আগে হাটে, ১০ লাইন বেশী ভাবে, এবং তারা এও জানে বিশ্বের যে কোন মুসলিম দেশেই মেইড ইন ইজরায়েল নামে বানানো কোন পণ্য ব্যবসা করতে পারবে না, চরম মাইর খাবে। কারন, ফিলিস্তিন মুসলমানদের অনেক বড় দগদগে ঘা। সেই দগদগে ঘায়ের উপরে যে ইজরায়েল বারবার লবন ছিটা দেয়, তাদের পণ্য জেনে বুঝে কোন মুসলিম ই কিনবে না।
ইজরায়েল এর গড ফাদার আমেরিকা, তাদের জন্মদাতা থেকে শুরু করে লালন পালনকারী, এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের সকল দালালরা যদি প্রতারণা ও করে তাহলে শান্তি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার জন্য আমেরিকা এক পায়ে দাড়িয়ে থাকবে। তাই নিজের পণ্যে আমেরিকার নাম ব্যবহারের একটা ঢালাও লাইসেন্স ইজরায়েল এর আছে। এক ঢিলে ২ পাখি এতে মারা যায়। মুসলিমরা আমেরিকার কোয়ালিটি প্রোডাক্ট কিনতে পাগল, সেই তৃষ্ণা ও নিবৃত্ত হয়, আবার আমেরিকার নাম বেঁচে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরতা ও করা যায়, সেই মুসলিমদের পয়সায়।
আরও কিছু দালাল দেশ ও আছে। যারা ইজ্রায়েলি কোম্পানির টুকটাক শেয়ার কিনে তাদের দেশের নাম ব্যবহারের ঢালাও পারমিশন দেয় । তার মধ্যে ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক এর মতো কিছু মুসলিম বিদ্বেষী দেশ অন্যতম.
কথা গুলো কিন্তু আমি এমনি এমনি বলছিনা। অবশ্যই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সহই বলছি। আমরা একে একে ইহুদীদের এবং লুকিয়ে থাকা ছদ্মবেশী ইজ্রায়েলি পণ্য সম্পর্কে জানবো। চলুন শুরু করা যাক-
১> কোকাকোলা
কোন কোম্পানি যে কতোটা নির্লজ্জভাবে কোন দেশে চালানো গণহত্যার সমর্থন ও অর্থের যোগান দিতে পারে তার অন্যতম উদাহরণ হোল – কোকাকোলা। অনেকেই একটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন যে কোকাকোলার জন্ম ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, আর ইজরাইলে ব্যবসা শুরু করেছে ১৯৬৪ সালে। কিন্তু, অনেকেই এটা জানেন না, কোকাকোলার জন্ম থেকে এই অবধি কেবলমাত্র ইহুদীদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র, যুক্তরাষ্ট্রের নাম ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে, এবং ব্যবসায় সফল হওয়ার পরই নিজের আসল রূপ দেখাতে শুরু করে।যার বহিঃপ্রকাশ ১৯৯৭ সালে ইসরায়েল সরকারের দেওয়া ট্রেড অ্যাওয়ার্ড দিনার” যা ইজরায়েলকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করার জন্য এবং বিগত ৩০ বছরে আরব লীগের বয়কট উপেক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়।
কোকাকোলা ২০০৯ সালে ইজরায়েল লবিং গ্রুপ AIPAC কে অ্যাওয়ার্ড দেয়, কেননা সেই বছর এই গ্রুপটি জাতিসংঘের শান্তি প্রস্তাব অস্বীকারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ২০০৮ সালে কোকাকোলা কোম্পানিকে ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজি বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে ইসরাইলকে প্রমোট করতে ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখে দেয়, যা ইজরাইলের অর্থনৈতিক ইতিহাসে বিরল।
২০০৯ সালে ইজরাইলের কুখ্যাত যুদ্ধপরাধী বেন এলিজার কে গ্র্যান্ড রিসিপশন দেয় এই কোকাকোলা কোম্পানি। এই বেন এলিজার পরবর্তীতে ইজরাইলের ডিফেন্স মিনিস্টার হয়, যার হাতে হয়তো এখনো ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্তের দাগ লেগে আছে।
এই বেন এলিজারই মিশর ইজরাইল যুদ্ধের সময় মাত্র ৬ দিনে ৩০০ মিশরীয় যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করে নাৎসি কায়দায়।
Israeli Prime Minister Ariel Sharon (L), and Defense Minister Brigadier-General Binyamin Ben Eliezer at an army camp outside the Palestinian refugee camp of Jenin in the West Bank, 10 April 2002, being briefed on the progress of the on-going slaughter of the Palestinian inhabitants which began 7 days ago.[61]
কোকাকোলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোমল পানীয় সরবরাহকারী কোম্পানি। প্রায় ৩০০০ আইটেম এরা উৎপন্ন করে, ২০০ দেশে তাদের ব্যবসা রয়েছে, ২০০৮ সালে এরা ২০ বিলিয়ন ডলার লাভ করে। সারা পৃথিবীতে প্রতিদিন ১.৬ বিলিয়ন কোকাকোলা বিক্রি হয়। এর বিভিন্ন পণ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম-
ইজরায়েলের সাথে কোকাকোলার সম্পর্ক, ইজরায়েলের অর্থনীতিতে এর অবদান লিখতে গেলে একটা উপন্যাস লিখতে হবে। কারন, এর কোন কুল কিনারা নেই।
কোকাকোলা ও আমেরিকান ইজরায়েল চেম্বার অফ কমার্স :
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই ইজরায়েলের সাথে কোকাকোলার সম্পর্ক, ইজরায়েলের অর্থনীতিতে এর অবদান লিখতে গেলে একটা উপন্যাস লিখতে হবে। কারন, এর কোন কুল কিনারা নেই। আমেরিকান ইজরায়েল চেম্বার অফ কমার্স AICC নামক একটি বাণিজ্য সংস্থা আছে। যার মূল কাজই হোল বিভিন্ন দেশে ইজরাইলের অর্থনৈতিক আগ্রাসন জোরদার করা। জেনে অবাক হবেন- এই সংস্থার হর্তা কর্তা কোকাকোলা । আটলান্টায় অবস্থিত কোকাকোলার হেড কোয়ার্টারে এর প্রতিটি বৈঠক এবং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান হয়। প্রতিবছর এই AICC ৯৫০ বিলিয়ন ডলার সহয়তা দেয় ইজরাইলকে। AICC এর বর্তমান সভাপতি জয়েল নিউম্যান কোকাকোলা কোম্পানির। AICC এর ওয়েব সাইটে লেখা আছে- "committed to opening doors for Israeli companies within their own companies and network of connections." কোকাকোলা পৃথিবীর বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের কাছে দেন দরবার করে ইজরায়েলে বিনিয়োগ করার জন্য। ২০০১ সালের অক্টোবরে আটলান্টায় AICC এর গালা অ্যাওয়ার্ড আয়োজন করে এর নিজস্ব হেড কোয়ার্টারে। যার প্রধান বক্তা ছিলেন ইজরাইল এর অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও ২০০৩, ২০০৭, ২০০৯ সাল সহ বিভিন্ন সময় আমেরিকান ইজরায়েল চেম্বার অফ কমার্স এর বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
কোকাকোলা ও মোসাদ :
বিভিন্ন দেশে অশান্তি আর খারাপ জিনিষ ঢুকিয়ে দিতে ওস্তাদ মোসাদের নাম কে না জানে? ইসরায়েল এর এই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ও কোকাকোলার সাথে জড়িত। কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে একটি কোমল পানীয় কীভাবে জড়িত হতে পারে এটা নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানদের জন্য ভাবনার বিষয় হবে!
কোকাকোলা ইসরায়েল এর বর্তমান প্রধান একজন মোসাদ গোয়েন্দা যার নাম - Moshe Wertheim
কোকাকোলা ইজরায়েল এ ৫০০০ কর্মসংস্থান করেছে, ৯০০ বিলিয়ন ডলার এর অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করছে প্রতিবছর। এছাড়াও ইজরায়েল এর ২য় বৃহত্তম ডেইরি তারা ডেইরির মালিক ও কোকাকোলা। আর ইজরায়েল কোকাকোলাকে দিয়েছে বোতলজাত করার বিশাল সুযোগ সুবিধা, যা নজিরবিহীন।
শুধু তাই নয় কোকাকোলা ইজরায়েল Jewish National Fund কে অর্থের যোগান দেয়, যেখানে ইজরাইলের সাথে ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত কোর্স দেওয়া হয়, যেই কোর্সের বিষয়বস্তু ইজরাইল সরকার দ্বারা নির্ধারিত।
Mossad operative Moshe Wertheim (top) is
currently president of Coca Cola Israel.
Abraham Feinberg, pictured (bottom) shaking hands with
President Truman, was Coca-Cola Israel's CEO until his
death in 1998. As a leading Zionist lobbist he
single-handedly arranged the financing of Truman's
presidential campaign.
২০০২ সালের জুলাই মাসে কোকাকোলা ইজরায়েল ৫৫ মিলিয়ন ডলার ইনসেন্টিভ দেয় ইজরাইল সরকারকে, এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনের অধিকৃত কিরাত গাত অঞ্চলে কোকাকোলাকে নতুন ফ্যাক্তরি খুলতে অনুমতি দেয় ইজরায়েল সরকার।
পানিহীন পৃথিবী, মরুময় গাজা এবং কোকাকোলাঃ
আপনি জানেন কি? এক লিটার কোক বানাতে ৩ লিটার পানির প্রয়োজন হয়? আর পানির এই বিশাল চাহিদা পূরণ হচ্ছে পৃথিবীর জমিয়ে রাখা সুপেয় পানি থেকে যে পানিতে আপনার আমার সবার অধিকার আছে। এই তো কিছুদিন আগেও কোকাকোলার সিওইউ ইজরায়েলে মিটিং করে বলে গেলেন- তারা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের মাধ্যমে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ, তার কনফারেন্স হল থেকে কয়েক মাইল দূরে গাজায় ৯০-৯৫% দূষিত পানি, তাতে তার কোন মাথা ব্যাথাই নেই। এরপরও কোকাকোলা খাবেন? আর উন্নত ইউরোপ আমেরিকায় যেই কোক সরবরাহ করা হয়, ইন্ডিয়া সহ আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশে কিন্তু সেগুলো আসেনা। আমাদের দেশে কোকাকোলায় আছে কীটনাশক আর নিষিদ্ধ রাসায়নিক দ্রব্য। কিছুদিন আগে ভারতের কোকাকোলা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে। যেসব রাসায়নিক দ্রব্য ক্যান্সারসহ নানা রোগের কারন।
ইহুদীদের স্পন্সরে এক নাম্বার কোকাকোলাঃ
কোকাকোলা বিগত ২ দশক ধরে jCC (Jewish Community Centre Association) কে স্পন্সর করে আসছে। যার একমাত্র কাজ আমেরিকার সাথে ইজরায়েল এর সম্পর্ক উন্নয়নে ইহুদী টিন এজদের শিক্ষা দেওয়া, এটা এক ধরনের সামার ক্যাম্পস, যাতে কিছু ক্রীড়ার ও ব্যবস্থা থাকে। শুধু তাই নয় তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনায় ও কোকাকোলা অর্থ দিয়ে থাকে।
অনেক লিখলাম কোকাকোলার কথা। এভাবে ছদ্মবেশী ইসরাইলী অনেক পণ্যই আমেরিকা সহ ইউরপের বিভিন্ন দেশের মেইড ইন প্যাটেন্ট নিয়ে বসে আছে। আপনি আমিও দেদারসে কিনছি, আর আমাদেরই ভাই, বোন শিশুদের রক্তে নিজের অজান্তেই নিজের ওষ্ঠ জিহ্বাকে ভিজিয়ে নিচ্ছি। কোকাকোলা নিয়ে আমি যা লিখলাম তা খুবই সামান্য, যতটুকু না জানলেই নয়। কিন্তু এর ভূমিকা এতো স্বল্প নয়। লিখাটির তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে http://www.inminds.com থেকে, যা ইজরাইলের পণ্য বয়কট আহ্বান করে, এবং ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯০ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বছর ২-৩ আগে পারসোনার হিডেন ক্যামেরার ব্যাপার নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে কি পারসোনার ব্যবসাতে লালবাতি জ্বলেছিলো ?
বাংলাদেশের মেয়েদের যে ইদানিং রুপের ঝিলিক দেখা দিয়েছে তাতে এসবের অবদান অপরিসীম । এসব বাদ দিলে তো আপনিও যে সামান্য সাজগোজ করেন আপনার স্বামীর জন্য , দাওয়াতী কাজের জন্য সেটাও তো করতে পারবেন না ।
আপনার এ কথাতে বরং ওদের আরও বেশী প্রচার হবে ।
আপনি কোন কোন জিনিস বাদ দেবেন যেখানে এসবের উপর আপনি একেবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং বর্জন করলে আপনার কাছে সহজে পাওয়া যায় এমন কোন বিকল্প নেই ?
বর্জন করবেন সেগুলো যেগুলো হালাল নয় এবং ব্যাক-আপ না করে বর্জন করলে পরে যখন নাকে খত দিয়ে আবার গ্রহন করা শুরু করবেন তখন খুবই হেনস্তা হতে হবে । নিজেদের পরনির্ভরশীলতাকে নিজেরাই সার্টিফায়েড করে দেবেন তাদের কাছে ।
তাই আগে এদের মত প্রোডাক্ট বা বেটার জিনিস তৈরি করে এদের বাজার দখল করে নিন । আপনাকে আর ওদের বর্জন করতে হবে না , ওরাই সরে আসবে ।
একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় এই তথাকথিত ব্রান্ডেড পন্যগুলি আসলে কোনভাবেই আমাদের জিবনে জরুরি নয়। কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে এই পন্যগুলি আমাদের উপর চাপান হয়েছে।
ঈদ মোবারক!
আগে বয়কট,পরে অন্য চিন্তা।
১০০ ভাগ সহমত। তার আগে উট চালনার প্রশিক্ষন নিয়ে নিন, ইমারজেন্সি কাজে লাগবে। তারপর আল্লায় দিলে আস্তে আস্তে সব হবে।
আমাদের এলাকায় একটা সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে আমাদের তরুণদের উদ্যোগে "ইসরাইলি পণ্য বর্জন করুন" এরপর তাদের কিছু পণ্যের নাম।
বড় করে কোকাকোলার ক্রোস ছবি টানানো হয়েছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রত্যেকটা পারার মহল্লার ছেলেপুলেরা এই উদ্যোগটা নিলে ইসরাইলি পণ্য বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে ।
আমাদের এলাকায় একটা সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে আমাদের তরুণদের উদ্যোগে "ইসরাইলি পণ্য বর্জন করুন" এরপর তাদের কিছু পণ্যের নাম।
বড় করে কোকাকোলার ক্রোস ছবি টানানো হয়েছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রত্যেকটা পারার মহল্লার ছেলেপুলেরা এই উদ্যোগটা নিলে ইসরাইলি পণ্য বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে ।
আমাদের এলাকায় একটা সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে আমাদের তরুণদের উদ্যোগে "ইসরাইলি পণ্য বর্জন করুন" এরপর তাদের কিছু পণ্যের নাম।
বড় করে কোকাকোলার ক্রোস ছবি টানানো হয়েছে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রত্যেকটা পারার মহল্লার ছেলেপুলেরা এই উদ্যোগটা নিলে ইসরাইলি পণ্য বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ।
আজ আপনি গাজার জন্য ইসরাঈল এর পণ্য সম্বন্ধে বলছেন এবং অনেকেই বলে, কিন্তু আমাদের পাশেই কাশ্মীর বা যারা সেখানে নির্যাতন করে তাদের দ্বারা নির্যাতিত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য কি আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করেছি বা ডাক দিয়েছি? আমাদের বাংলাদেশের বাজার বলতে গেলেতো সিংহভাগ-ই তাদের দখলে সব আইটেমেই এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ-দখল-ই ওদের! এদের বর্জনের ডাক দিলে বাংলাদেশের মানুষ না-খেয়ে মরবে। আর আমাদের ব্যবসায়ী মহলও, এমন কোন রিস্ক নিচ্ছে না, যাতে করে এসব পণ্যের উৎপাদনমূখী প্রবণতা দেশেই বৃদ্ধি পায়! তবে এক্ষেত্রে সাধুবাদ দিতে হবে হ্যান্ডিক্রাফটস আর কিছু ডেইরী-প্রোডাক্টস এর ব্যবসায়ীদেরকে যারা বিভিন্ন কো-অপারেটিভ-ইনিশিয়েটিভ এর মাধ্যমে সমাজে কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনমূখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আর এরকম প্রত্যেকটা বিষয়েই দেশের সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী-মহলের পাশাপাশি রাষ্টযন্ত্রকেও মার্কেট এমনভাবে রেগুলেট করতে হবে যাতে করে দেশ সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতায় পৌছে এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে সম্ভাব্য প্রতিটি ক্ষেত্রে।
আমার মনে হয় এভাবে না এগুলে এভাবে ডাকা-ডাকি করে আমরা কিছুই করতে পারবো না! কেননা আমাদের দেশ-ই তো ব্যবসায়ীদের চান্স দিচ্ছে এগুলো করতে, আর ব্যবসায়ীরা তাদের লাভের জন্য ওগুলি-ই বেচবে অন্য প্রোডাক্টে বিনিয়োগ-ই করবে না। আপনি ১/২ দিন না কিনে থাকতে পারবেন, কিন্তু দীর্ঘ-মেয়াদে আপনি বাধ্য হয়েই যাবেন কিনতে!
আরওবেরকরলে মানুষ আরওসচেতন হবে। সেইলক্ষ্যে কিছুবিকল্প পণ্যেরতালিকা দেয়া হল-
১। শ্যাম্পু - Clear /Sunsilk/ Dove.
# বিকল্প -Tresemme.
২। ওয়াশিং পাউডার- Surf excel/Wheel / Rin.
#বিকল্প– Superexcel, Tibbet.
৩। ক্রিম/বডি লোশন -Vaseline/ Dove/Pond's/ Fair &Lovely;.
#বিকল্প - Nivea.
৪। বেবি লোশন -
Johnson & Johnson.
#বিকল্প - Meril.
৫। নুডলস- Meggi.
#বিকল্প - Cocola,Sojib.
৬। কোল্ড ড্রিংকস
- CocaCola/ Pepsi/Sprite / Fanta/ 7up/Atom/Mirinda/Acquafina.
#বিকল্প -Mojo,Rc,Clemon,Frutika,Fresh,Mum
৭। টয়লেট্রিজ-L'Oreal/ Boss/Garnier.
#বিকল্প - Lakme,Nivea, Jordan,Square.
৮। চা - Taaza.
#বিকল্প -Ispahani, Today.
৯। সাবান - Lux/Dove / Lifebuoy.
#বিকল্প -Keya,Meril,Tibbet.
১০। বডি স্প্রে -Axe.
#বিকল্প - Cool.
১১।এন্টি পারসপিরেন্ট- Rexona.
#বিকল্প - Nivea,Fa.
১২। পাউডার -Pond's.
#বিকল্প - Meril.
১৩। টুথপেষ্ট -Pepsodent/ Closeup.
#বিকল্প –WhitePlus, Freshgel.
১৪। গাড়ি - Ford.
#বিকল্প -Mitshubishi, Nissan,Toyota.
# নিজে সচেতনহোনএবং অন্যকে সচেতনকরুন। (Collected & Extended)
অনেক ধন্যবাদ।
যদিও আজ দেখলাম টুডেব্লগে আজ মন্তব্যের ছড়াছড়ি! ভালো লাগলো
কিন্তু আমার মনে হয় হুজুগে বাংগালের দ্বারা এটা সম্ভব নয়।
সুন্দর ও প্রমাণ বিত্তিক ব্লগ লিখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, দোয়া করি আল্লাহ আপনার যোগ্যতা অনেকগুনে বৃদ্ধি করুক।
কিনি না কাউকে কিনতে দেইনা।
আল্লার দেয়া সাদা পানিই যথেস্ট।
ধনবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন