নেইমারের জন্য কান্না!
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ০৫ জুলাই, ২০১৪, ১০:০৮:১২ রাত
আমি যদি জিজ্ঞেস করি আজ সারাদিন বাংলাদেশের ব্রাজিল সমর্থকরা কি করেছে?
জবাব- নেইমারের নাকি পিঠ ভেঙ্গে গেছে নেইমার আর খেলতে পারবে না! আহ আল্লাহ! নেইমার কে ভালো করে দেও, প্লিজ, প্লিজ......
আমাদের ঘরের পিচ্চিটা আজ সারাদিন ছটফট করেছে নেইমারের জন্য। নেইমারের মেরুদণ্ড শেষ, নেইমার আর খেলতে পারবে না,
আর একটু একটু পরপর আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বারান্দায় যেয়ে কবিতা আবৃত্তি- ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা বোয়াল মাছের দাড়ি, আর্জেন্টিনা ভিক্ষা করে ব্রাজিলের বাড়ি!
আর একটু পরপর আর্জেন্টিনা সমর্থক দাদুকে যেয়ে বলা- খুব খুশী হয়েছেন না? নেইমারের পিঠ ভেঙ্গে গিয়েছে!
বাবুটা যদি জানতো, যেই নেইমারের জন্য ও এতো ব্যাকুল , সেই নেইমারই সেই ইসরাইলদের সাপোর্ট করে যারা আমাদের বোনদের ইজ্জত কেড়ে নেয়, হিজাব ছিনিয়ে নেয়, অপদস্ত করে, অপমানিত করে, এই নেইমারদের মদদপুষ্ট ইহুদীরাই তার বয়সী শিশুদের জীবন কেড়ে নেয়, কেড়ে নেয় বাবাকে, মা কে, বাবু কি পারতো এই নেইমার কে এতোটা ভালবাসতে?
কিংবা আমরা কি পেরেছি এই শিশুদের শিক্ষা দিতে - যে নেইমারদের দুঃখে কাঁদার অনেক মানুষ আছে! নেইমার, মেসিরা আমাদের মা বোনদের খুনিদের দোসর, ওদের জন্য কান্না নয়, কান্না আমার মা বোনদের জন্য, যারা ইহুদীদের খাচায় বন্দি, অপমানিত!
যেই ছটফট আমরা করছি নেইমারের জন্য এমন ছটফট কি আমরা আমাদের মুসলিম বোনদের জন্য করি? অথচ- মুসলিম নাকি একটা গোটা শরীর! যার এক অংশে ব্যাথা হলে আরেক অংশে ও ব্যাথা লাগে! পায়ে ব্যাথা পেলে চোখে অশ্রু ঝরে! আর আমাদের পায়ে ব্যাথা লাগলে , চোখ ঝরে নেইমারদের জন্য!
আমরা সত্যিই ব্যর্থ। ফুটবল খেলা না দেখলে আমরা মরে যাবো না। অথচ, ভ্রাতৃত্ব শিক্ষা না দিতে পারলে আমরা পৃথিবীতে এভাবে লাঞ্ছিত হয়েই যাবো। আমাদের শিশুরা নেইমার আর মেসিকে সাপোর্ট করার অন্ধ মোহে ভুলে যাবে স্বজাতির বোনদের ইজ্জত হারানোর বেদনা।
আজ যেই নেইমারের জন্য আপনি আমি কান্না করছি, আফসোস করছি, চেয়ে দেখুন ওদের হাত আমাদের ভাইদের দেহের রক্তে রঞ্জিত হওয়া ঘাতকের হাতের সাথে মিলানো।
এখন যদি বলেন - ধর্ম যার যার খেলা সবার
তাহলে ব্যাপার আলাদা! ধর্মকে যদি আপনি আপনার অবসরের বিনোদন থেকে আলাদা ভাবেন, তাহলে চর্চা না করে শো কেসে তুলে রাখার সাথে এর কোন পার্থক্য নেই। প্রতীকী ইবাদত আর প্রকৃত জীবন বিধানের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর।
আর আপনি নেইমার মেসির জন্য ভ্রাতৃত্ব ছাড় দিতে পারলেও , নেইমার মেসি আপনার মতো মুসলিম ভক্তের জন্য নিজের আসল চেহারা লুকিয়ে রাখেনি, জেরুজালেমে ঠিকই ইহুদীদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করেছে। সে ক্ষেত্রে তারা কিন্তু খেলোয়াড় বলে বলেননি- ধর্ম যার যার, খেলোয়াড় সবার! সেখানে তারা শুধুই ইহুদীদের প্রতিনিধি, দোসর
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে বোন বলতে লজ্জা হয় আমাদের মুসলিম সমাজের ৯০% মুসলিমই প্রতিকী ইবাদাতে ব্যস্ত, প্রকৃত ইবাদাত ও ইসলামী জীবন-যাপনকে কষ্টের বস্তু মনে করে, তাইতো আল্লাহপাক মুসলমানদেরকে আজ ইয়াহুদী খৃষ্ঠানদের গোলাম বানিয়ে বেখেছেন। ইস! যদি মুসলিমরা তা বুঝতো!
মন্তব্য করতে লগইন করুন