২য় বিয়েঃ কেবলই আনন্দ নাকি শর্তযুক্ত দায়বদ্ধতা? (পর্ব -১)
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ২৭ জুন, ২০১৪, ০২:৪৭:৪২ দুপুর
ছেলেদেরকে ইসলাম অনেক স্বাধীনতা দিয়েছে, দিয়েছে অনেক ক্ষমতা ও। কিন্তু মাঝখানে থেকে গেছে একটি শব্দ- তা হোল ইহসান! নারীর প্রতি ইহসান করা একজন প্রকৃত মুসলিম পুরুষের অন্যতম দায়িত্ব। হোক সেটা সম্পদ বণ্টন, হোক তা মহরানা দেওয়া কিংবা বহু বিবাহ করা। শর্ত জুড়ে দিয়ে ইসলাম নারীদের অধিকার সংরক্ষণ করেছে এভাবে।
অনেকেই কথায় কথায় বলেন - ৪ টা বিয়ে জায়েজ! করবো না কেন?
কিন্তু তাদের অনেকেই এটা জানেন না যে কোন কোন ক্ষেত্রে তা জায়েজ
!আর এই কারনেই বুয়া শ্রেণী, গার্মেন্টস এর শ্রমিক শ্রেণীর নারীদের মাঝে অল্প বয়সেই স্বামী থেকেও নাই অবস্থা হয়ে যায়। কারন- তারা ও ধর্ম কিছুটা হলেও মানে। তাদের শেখানো হয়েছে- ইসলামে ৪ বিয়ে জায়েজ, এবার স্বামী যেমন খুশী তেমন হোক না কেন!
আর যেসব অবিবাহিত ভাইয়েরা বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের নিয়ে চিন্তায় অস্থির, অথচ, ইয়াতিম, কালো, তালাকপ্রাপ্তা নারী, বিধবাদেরকে বিয়ের তালিকায় ২য় অপশন হিসেবে রেখেছেন, তাদের বলছি- আমাদের রাসুল (সা) তো কুমার ছিলেন। তিনি তো বিধবা খাদিজা (রা) কে প্রথম বিয়ে করেছিলেন, এবং তিনি বেঁচে থাকতে ২য় বিয়েও করেন নি। তো আপনারা যেহেতু চান ই সমাজের বিধবাদের গতি হোক, তখন প্রথম বিয়েটাই তেমন মেয়েদেরকে করে সমাজের ঐ কুসংস্কার টা ভেঙ্গে দেন না যে বিধবাদের বিয়ে করতে নেই, বা করলেও ৭০ বছরের বুড়া কে করতে হবে!
আপনারা যেহেতু চানই অসহায় নারীদের একটা ব্যবস্থা হোক, তাহলে ঐসব মেয়েদের পিছে কেন ছোটেন যাদের কে লাখ লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে করতে হবে? সমাজে কতো বিধবা, কতো তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে আছে! অবিবাহিত ভাইয়েরা! সুন্নত মানতে যেয়ে সেসব মেয়েদের কি আপনারা চোখে দেখেন না? আমার তো মনে হয় আমাদের সমাজের অবিবাহিত ছেলেরা যদি রাসুলের সুন্নত মেনে এমন নারীদের দায়িত্ব নিতো, সমাজে কোন বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীকে এতোটা অবহেলিত হতে হতো না। ১৯ বছরের তালাকপ্রাপ্তা মেয়েকে ৫০ বছরের ৪ পিতার জনককে বিয়ে করতে হতো না সে ভার্জিন না এই অপরাধে।
বাস্তবতা এই যে সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ ইসলামে হালাল করে দেওয়া বহু বিবাহের অপব্যবহার করেছে, করছে। সেটা রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম সাহেব পর্যন্ত, প্রায় সবাইই , ব্যতিক্রম খুবই কম, বলতে গেলে হাতে গোনা।
বাঙ্গালী বড়ই সুবিধাবাদী জাতি। যে কোন জিনিষের লাভটাই নিতে জানে, কিন্তু সুবিধা ভোগের পূর্ব শর্ত মানতে কিছুতেই রাজি নয়। বহু বিবাহ করা জায়েজ, আমরা জানি।কুরআনে আয়াত আছে তাও জানি। কিন্তু এই সুবিধা পাওয়ার আগে যে কিছু শর্ত পূরণ করার যোগ্যতা থাকতে হয়, তা আমাদের সমাজের পুরুষরা মানে না, যার কারনে আজকের সমাজে বহু বিবাহ নিন্দনীয়, বহু বিবাহ করে কীভাবে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয় তা আমাদের সমাজের পুরুষরা জানেন না, বা মানেন না , বা অনেক ক্ষেত্রে বলা যায় সম্ভব ও না।
আমার দেখা কিছু ঘটনার আলোকে তা বিশ্লেষণ করবো
কেস স্টাডি-১
আলমগির সাহেব একজন মাওলানা মানুষ। যশ খ্যাতি মোটামুটি কামিয়েছেন জীবনভর। কিন্তু তার বউ কারিমাকে ইদানিং মনে ধরছে না তার। মনে না ধরার কোন বিশেষ কারন নেই যদিও।
একজনের কথায় তার মনে ঝড় উঠেছে এই মধ্য বয়সে। মাদরাসার দারোয়ানের নাকি একটা সুন্দরী বোন আছে, দুধে আলতা। ৪ বিয়ে জায়েজ এটা সেই দারওয়ান তাকে খুব করে বুঝিয়ে তার বোনকে বিয়ে করতে বলল। বার কয়েক আলমগির সাহেব তাদের বাসায় গিয়ে ঘুরেও আসলেন। কারিমার ও স্বামীর আচরণ অদ্ভুত ঠেকে। একদিন স্বামী নতুন বউ নিয়ে বাড়িতে এসে হাজির। কারিমার যেন কলিজা ছিঁড়ে ২ টুকরো হয়ে গেলো।
এরপর অবশ্য শর্ত আর শরীয়তের দোহাই দিয়ে কারিমা সতীনকে আরেক বাসায় রাখতে বাধ্য করলো। কারন- নিজের চোখের সামনে স্বামীকে ভাগ করে নেওয়া বেশ কষ্টকর। তারচেয়ে দূরে দূরে থাকুক। তার অধিকার বুঝিয়ে দিলেই হয়। নাজায়েজ কিছু তো করেনি! এই যা সান্ত্বনা।
কিন্তু, তার স্বামী! এলাকার নামকরা হুজুর! মাওলানা মানুষ! সে সপ্তাহে একদিন আসে। গুনে গুনে বাজার খরচ দেয়, ছেলে মেয়েদের পরালিখার খরচ, খাতা কলম টিচারের বেতন এসব তো চাওয়াই যায় না। সপ্তাহ ফুরালে তেল ফুরায়, নুন ফুরায়। কিন্তু স্বামীকে বললে বলে- এতো তাড়াতাড়ি কি করে শেষ হোল? সেদিন না আনলাম!
কারিমা কিছুদিন যাবত অসুস্থ। বেশ কিছু দামী ওষুধ তাকে খেতে হয়।তার মনে চায় স্বামী তার পাশে এসে বসুক, হাত ধরুক, ২ টা সান্তনার বানী শুনাবে।কিন্তু ২য় বিয়ের পর সে যেন অন্য মানুষ!
সে কারিমাকে চিনেই না। স্বামী বলল- দেখো! তোমার এতো দামী দামী ওষুধের টাকা দেওয়া আমার জন্য সম্ভব না, আমার তো আরেকটা সংসার আছে তাই না?ওর ভালো ভালো খাওয়া দরকার এখন। একটা ওষুধ খাওয়ার কি দরকার? আধটা খেলে তো মরে যাবে না, তাই না?উপার্জনক্ষমতাহীন কারিমার ও কিছুই করার নেই নিজের জন্য। এভাবে নিয়ত অবহেলায় কারিমার শরীর অবনতির দিকে চলে যেতে লাগলো। সংসার ও ছিন্নভিন্ন অবস্থা।
ছেলেমেয়েরা ও উচ্ছনে গেছে। আর আলমগির সাহেব আগে যে সপ্তাহে একদিন আসতেন তাও প্রায় বন্ধ হয় হয় অবস্থা! কাজের বুয়াটা কেও বাদ দিতে হয়েছে।
২ বাসায় কাজের বুয়া মাওলানা সাহেব রাখতে পারবেন না। নতুন বউ গর্ভবতী, তারই নাকি বুয়ার প্রয়োজন বেশী! তাই অসুস্থ কারিমার বুয়ার বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন আলমগির সাহেব। ক্রমাগত ওষুধ না খেতে খেতে কারিমা একদিন ঢলে পরে মৃত্যুর কোলে। পিছনে ফেলে রেখে যায় একটা সুন্দর সংসারের স্মৃতি, আর নিষ্পাপ অসহায় অবহেলিত ২ টি সন্তানকে। যাদের খোঁজ বাবা রাখেনি। পরবর্তীতে তাদের কে ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছিলো নিরন্তর জীবন সংগ্রামে।
আমার লেখার উদ্দেশ্য বহুবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচারনায় নামা নয়। ইসলামে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে একাধিক বিয়ের অনুমতি রয়েছে। বস্ত্তত: কোরান মাজিদ এই শর্তে কোন ব্যক্তিকে তার অনুমতি দেয় যে, তাকে অবশ্যই সকল স্ত্রীর সাথে ন্যায্য আচরণ করতে হবে। যদি কেউ ভয় করে যে, সে তা করতে পারবে না, তখন তাকে কেবল একজন স্ত্রী নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ বলেন :আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতিমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তবে তোমরা বিয়ে কর নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমার ভাল লাগে; দুটি, তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে, তোমরা সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে। এটা অধিকতর নিকটবর্তী যে, তোমরা যুলম করবে না। (আন-নিসা, ৪:৩)
অধিকন্তু, ইসলাম একজন স্ত্রীকে তার বিবাহ ভেঙ্গে ফেলার অধিকার দিয়েছে, যদি সে তার স্বামীর কাছে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে থাকতে অপছন্দ করে। এজন্যেই বস্ত্ততঃ মুসলিম সমাজে একাধিক বিয়ের প্রচলন রয়েছে।না, একাধিক বিয়ের বিধি নারীদেরকে তালাক প্রদানের অনুমতি নয়, বরং দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি প্রদান করে।
ইদানিং ছেলেরা একটা বিয়ে করার আগেই , অনেককেই দেখি বলতে যে সে আরও বিয়ে করতে চায়। যদিও একটি বিয়ের দ্বায় দায়িত্ব সম্পর্কেই সে সচেতন নয়! সে জানেনা, বিয়ে মানে শুধু ভোগ নয়, বিয়ে মানে একটি পরিবার গঠনের ও দায়িত্ব। আর যখন সে বিয়ের আগেই আরেকবার বিয়ে করার কথা ভাবে , স্বাভাবিক ভাবে তার কাছে নিজের বউকে কিছুদিন পড়েই কারন ছাড়া খারাপ লাগা শুরু হতেই পারে। তার ইনসাফ করার ক্ষমতা বা মানসিকতা না থাকাই এই সমাজ জীবনে স্বাভাবিক। কারন, জীবন যাত্রার ব্যয় এখন আকাশ ছোঁয়া।বাস্তবতা এই যে অনেক মদ্ধ আয়ের পরিবারের কর্তারা মৌলিক চাহিদা পূরণেই হিমশিম খায়। এই অবস্থায় ২য় বিয়ে সমাজে শুধু অশান্তিই ডেকে আনে।
ইসলাম মুসলিমকে চারটি বিয়ে করতে বাধ্য করেনি। বরং শর্ত সাপেক্ষে ইসলামে চারটি পর্যন্ত বিয়ের সুবিধা রয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং তাঁর রসূল(সাঃ) একটি স্ত্রী’ই যথেষ্ট বলেছেন বা একজনের জন্য এক নারীই যথেষ্ট।
কিন্তু যদি কেউ মনে করে যে,সে সম আচরণ করতে পারবে,সমান অধিকার রক্ষা করতে পারবে এবং যদি তার যুক্তিসঙ্গত কারনে প্রয়োজন হয়, তাহলে সে একাধিক বিয়ের কথা ভাবতে পারে। এর সাথে বিশাল দায়িত্বশীলতা জড়িত এবং তা সঠিকভাবে পরিপালিত না হলে আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে হবে অত্যন্ত কঠোরভাবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-“তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি কখনই সমান ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না,তবে তোমরা কোন একজনের প্রতি সম্পুর্ণভাবে ঝুঁকে পড় না এবং অপরকে ঝুলানো অবস্থায়ও রেখ না,যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর এবং সাবধান হও তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।”(আল-কুরআন,৪ঃ১২৯)
চার বিয়ে মূলত জ্বিনা-ব্যভিচার বন্ধের জন্য আর বিশেষ কোন অসুবিধার জন্য বৈধ। এক থেকে চার পর্যন্ত যে কোন বিয়ের জন্য ইসলামে নির্দিষ্ট শর্ত এবং বিধান রয়েছে।
এই শর্ত এবং বিধান পালনে অপারগদেরকে ইসলাম বিয়ে না করে রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা অজ্ঞতা বশত নিজেদের ইচ্ছে মতো একের অধিক বিয়ের পক্ষে কিংবা বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাই। আমরা এই বিধানের মানবিক এবং সামাজিক দিকগুলো বিবেচনা করি না।
ইসলাম অনেক শর্তের মধ্য দিয়ে এই বিধানকে বৈধতা দিয়েছে। শুধু এতটুকু বলতে চাই সাম্য এবং বৈষম্যের দৃষ্টিতে একের অধিক বিয়ে খুব মারাত্মক কঠিন একটি কাজ।
একটি ছোট্ট উদাহরণ, ইহসান করার নমুনার, ভারতবর্ষের বিশিষ্ট আলেম আশরাফ আলী থানভীর কাছে তাঁর এক শিষ্য গিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি নিতে। কিন্তু সুযোগের অভাবে কথাটি তিনি বলতে পারছিলেন না। এমন সময় মাওলানার মাহফিলে তাঁর একজন ভক্ত দুটি তরমুজ নিয়ে প্রবেশ করেন। উল্লেখ্য যে, মাওলানা থানভীর দুই বিয়ে ছিলো।
মাওলানার খাদেম তাঁর কাছে অনুমতি চায় দুটি তরমুজ কি দু ঘরে পৌঁছিয়ে দেবে। মাওলানা বললেন, তুমি কি জান যে-দুই তরমুজের স্বাদ সমান কি না? খাদেম না সূচক উত্তর দিলে মাওলানা বললেন-দুটাকে কেটে ওলট-পালট করে দু পরিবারে পৌঁছিয়ে দাও। নতুবা যদি একটি বেশি মিষ্টি এবং কম হয়ে যায় তবে বেইনসাফ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতির জন্য আসা শিষ্য আর দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা এখান থেকে বাদ দিয়ে চলে গেলেন।
এখন সিদ্ধান্ত আপনার! আপনি কি শর্ত পূরণের উপযুক্ত হলেই ২য় বিয়ের কথা ভাববেন? নাকি শর্ত পূরণের ক্ষমতা না থাকলেও শুধু ঘরে বসে বসে ২য় বিয়ের মালাই জপবেন?( চলবে)
বিষয়: বিবিধ
২২৩৭ বার পঠিত, ৭২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এতে আমি দোষেরও কিছু দেখিনে ভা; কারণ যারা হুজুর নয়--তারা ইসলাম মানে না এবং এখাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে আল্লাহভীতির ধারও ধারেনা। তাই তাদের উদাহরণ দিলেই কী না দিলেই কী?
বিজ্ঞ জ্ঞানের পরিসরে লেখা।
বেহেশতী জেওরে দেখেছি, বিয়ের ক্ষেত্রে মোটা, কালো ও তালাকপ্রাপ্ত কিংবা বিধবার চেয়েও এর উল্টোটাকে প্রাধান্য দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
পছন্দ না হলে তালাক দিয়ে/নিয়ে চলে যাবে - সেটাও বলা আছে ।
ছেলেদের নসিহত করছেন যে আরেকটা বিয়ে করার আগে অনেক কিছু চিন্তা করে করতে !
আপনারা ছেলেদের ঘরে এসে যে লাক্সারী করান ছেলেকে দিয়ে তা দিয়ে নির্ঝন্ঝাটভাবে ৩ টে বিয়ে অনায়াসেই করা যায় ।
যারা নিজেরাই কেবল একজনকে শোষন করতে চায় অন্য এসে তার রাজত্বে ভাগ বসাবে এটা সে মেনে নিতে পারবে না - এটাই স্বাভাবিক ।
স্বামী আরেকটা বিয়ে করতে গেলে আগের বউয়ের অনুমতি নিতে হবে - এরকম একটা আইন তো আপনাদের জন্যই বানানো হয়েছে শরিয়তের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে - আপনারা এটা এন্জয়ও করছেন ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহায়তা নিয়ে সোজা মামলা করে দেবেন স্বামীর বিরুদ্ধে যদি আরেকটা বিয়ে করতে চায় । কিসের নসিহত , কিসের ইনসাফ ,কিসের শরিয়ত , কিসের ধর্ম ? তাই না ?
আলেম সমাজের কথা মানুষ শুনে কিনা তা বুঝাযায় সবে বরাতের মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা দেখে, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের আলেম সমাজ এগুলো নিয়ে কোন কথা বলেনা........
রাসুল সাঃ বিধবা কে বিয়ে করে ছিলেন, তিনি নিজে ব্যবসা করে জীবন নির্বাহ করতেন কিন্তু আমাদের আলেম সমাজ কয়জন আছে এমন?
আলেমদের কথা বল্লাম এই কারনে যে, তারা কোরআন-হাদিস বেশি করে পড়ে......
কিসের অসাধারণ?
মডুরা যেভাবে নারী লেখার প্রতি আসক্ত হয়ে এই লেখা স্টিকি করেছে ঠিক সেভাবে আপনিও আসক্ত হয়ে বলে দিলেন অসাধারণ হয়েছে?
বাল হয়েছে। বাল মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
যা কইলেন আরকি।
আপনারা যারা তালকপ্রাপ্ত তাদের যে অধিকাংশের খাসলতের দোষ সেটি কখনও স্বীকার করবেন না এটি জানা কথা।
আমার দেখা হাজার খানেক কেস স্টাডি দেখাতে পারবে যেখানে মেয়েদের খাসলত দোষে ডিভোর্স প্রাপ্ত তারা।
কবে যে বিয়ে নামের দিল্লিকা লাড্ডুর দেখা পাই আল্লাহ জানেন।
আর তার আগেই যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলেতো আর যাক দুঃখ বেশি বাড়িয়ে লাভ নেই।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন আপনাকে...
আমি দেখেছি সাধারণ মানুষ তাদের স্ত্রীকে নির্যাতন করে আর হুজুরেরা বউ নির্যাতন করে না। হুজুরদের উপমা না দিয়ে পোষ্ট লেখা যায় না? লাখ লাখ উপমা ফেলে কোথায় হুজুরের ঘরে ব্যাতিক্রক কিছু হয়েছে কিনা তা তুলে ধরতে এতো মজা লাগার কারণ কি?
এর উত্তর আমার বন্ধু আরমান ভাই ভালই দিয়েছে, সে বলল যেসব মেয়ে ইচ্ছা থাকা সত্বেও হুজুরকে স্বামী হিসেবে পায়নি তারাই হুজুরের দুর্নাম করে।
তাদের সম্পূর্ণ পরিবারই সুখে থাকে যদিও অভাব অনটন দুর হয়না ঘড় থেকে।
তারপরেও তারা সুখী।
সমাজে কিছু বাবা-মা আছেন যারা বাসায় ব্যাচেলার ভাড়া দেয়না ঘৃনা
পোস্ট দিয়ে গেলেন কৈ ? আপনার পোস্ট তো স্টিকি হয়েছে !
হাদীসে পড়েছিলাম আল্লাহ যে সংসারের মঙ্গল চান সেই সংসারের সবার অন্তরকে নরম করে দেন।
ফলে সেই সংসারে অশান্তি হবার চান্স নাই। তবে পৃথিবীটা একটা পরীক্ষার স্থান। সেখানে যে ধয্য ধরবে সে জিতবে। সেটা পুরুষ হোক বা মেয়ে।
ছেলেরা জদি খারাপ পথে যায় তখন কিন্তু অনুসরণ যোগ্য হবে না। ধন্যবাদ।
হুজুরদের স্ত্রীরাই বেশী সুখী!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন