ঘরের কাজে সাহায্য করা কি ছেলেদের জন্য মহাপাপ!
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ২৭ মে, ২০১৪, ০১:৫৪:৫৭ দুপুর
একদিন হোজ্জা আর তার বউয়ের মাঝে ব্যাপক ঝগড়া হোল।
হোজ্জা রাগে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন। রাতে ফিরে রাগ ভুলে ২ জন একসাথে খেতে বসলেন। বউ সেদিন বুড়া কে শাস্তি দিতে আচ্ছা ঝাল দিয়েছেন তরকারিতে। কিন্তু বউ খাওয়ার সময় ভুলেই গেলো তরকারী যে ঝাল!
খেয়ে নিজেই কাঁদতে শুরু করলো। তখন হোজ্জা জানতে চাইলো- কাঁদছ কেন বউ?
বউ বলল- আমার মায়ের কথা ভেবে কাঁদছি!
তরকারিতে ঝাল যে ইচ্ছা করেই দেওয়া তা তো আর স্বীকার করা যাবে না।
একটু পর হোজ্জা ও কাঁদতে লাগলো!
বউ জানতে চাইলো সে কেন কাঁদছে। হোজ্জা বলল-
ভাবছি আমার শাশুড়ির কথা যে এমন বজ্জাত মেয়ে আমার ঘাড়ে রেখে গেছেন!
যা বলছিলাম, রান্নায় অতিরিক্ত ঝাল দিলে, শরীরের জন্য অতি উপকারি রসুন কাটতে কষ্ট হলে তা যদি মেয়েরা তরকারিতে না দেয়, না দেয় সিদ্ধ পানি, শাক যদি ঠিক মতো না ধোয়, ২ দিন পর পরই ছেলেদের হসপিটালে দৌড়াতে হবে । কিন্তু , মেয়েরা তা করেনা। সবার স্বাস্থ্য ভালো রাখার মহান দায়িত্ব নিজের ইচ্ছায় পালন করেন, বিনা প্রশংসায়, বিনা পারিশ্রমিকে।
আবার কেউ কেউ রান্নার ছবিতে কালো কালো তেলাপোকা ও দেখতে পান। আরে ভাই, তেলাপোকা যদি বেটে রান্নায় কেউ দিয়ে দেয় বুঝার উপায় আছে? যদি দিয়ে দেয় ময়লা পানি ও? তাও খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তো ঠিক ই তুলবেন!
কিন্তু আপনার মা বোন কিংবা বউ কখনোই সেটা করবে না। করলে করবে আপনাদের স্বজাতিরা, যারা হোটেল এ রান্না করে। আপনার মা বোন আপনার কথা ভাবে, আর আপনাকে ভালোবেসেই রান্না করে।
অনেক ছেলেই ভাবেন , রান্না করাটা মেয়েদের একদম ফরজ দায়িত্ব!
সৃষ্টিগত ভাবে এটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু , ছেলে বলেই সে ঘরের কোন কাজ করতে পারবে না, রাঁধতে পারবে না, কাপড় গুছাতে পারবে না, এই ধারনা টা একদম আদিম যুগীয় ধারনা বলেই মনে হয় আমার কাছে।
আমরা যখন সারাদিন পড়া লিখা করতাম, আবার নিজেদের কাপড় গুছিয়ে রাখা, ঘরটা গুছিয়ে রাখা, আম্মুকে সাহায্য করা, আবার মাঝে মাঝে বাসায় কেউ না থাকলে কিছু আনতে বাহিরে যাওয়ার কাজটা ও করেছি।
কিন্তু আমার ছোট ভাই, যার ঠিক আমার মতোই ২ টা হাত, ২ টা পা, ২ টা চোখ , একটা মাথা আছে, সে নিজে স্কুল থেকে এসে ড্রেসটা মাটিতে ফেলে দিতো, আবার সপ্তাহে একদিন তাহার সমস্ত ফ্যাশন এক্সেসরিস ধুয়ে সেসব গুছানোর কথা বললে ও লাভ হতো না। বলতো- আমার জিনিষ আমি গুছাব না, তোমাদের কি!
কিন্তু , বাসায় একটা রুম আওলা ঝাউলা থাকলে মেহমান এসে আমাদের লজ্জা দিবে, এই ভয়ে নিজেরাই গুছিয়ে ফেলতাম।
আবার আম্মুর কাছে বিচার দিলে আম্মু বলতো- ছেলেরা এসব করে ন!
আচ্ছা!
ছেলেরা এসব করে না তো করে টা কি?
সারাদিন মোবাইল তো ঠিকই টিপতে পারে, ফাও ফাও এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারে, আয়েশ করে খেলা ও দেখতে পারে, আবার এক্সট্রা একটা কাজ করতে বললে ভাব ও দেখাতে পারে!
খালি পারে না কি?
নিজের জন্য ডিম টা ভেজে খেতে! পারে না শুধু নিজের ঘরটা গুছিয়ে রাখতে!
কারন?
কারন , ছোট বেলা থেকেই শিখেছে যে ওটা মেয়েদের কাজ ! ওটা করা যাবে না
একদম রান্নার ব্যাপারটা ও ঠিক তেমন। কয়দিন আগে বছর খানেক পরে একটা রান্নার পিক দিয়েছিলাম। তাতে অনেকের কমেন্ট পড়ে খুব অবাক হয়েছিলাম। ছেলেরা এমন কেন!
ঠিক আছে! আপনারা চাকরি করবেন , আপানারা টাকা কামাবেন! আপনাদের পার্ট সব সময় ই বেশী বেশী থাকবে। কিন্তু তাই বলে কোন কাজ শিখা যাবে না, বা করলে পাপ হবে এটা আবার কেমন ধারনা?
কোনদিন এক ঘণ্টা চুলার সামনে দাড়িয়ে দেখেছেন কতো মজা লাগে? অফিসে এসিতে বসে ও যেই আপনারা গরমে সিদ্ধ হয়ে যান, একবার কি ভাবেন সেই সময়টা গৃহিণী কি দাবদাহে রান্না ঘরে চুলা গুতাচ্ছে?
একটা তরকারী, যার রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে সময় লাগবে, কিংবা চুলায় হয়তো ডিজিটাল সরকারের গ্যাস নেই, কতো টা ধৈর্য থাকলে সেই আধা নিভু চুলার পানে চেয়ে থাকা যায় একবার ভাবেন কি?
কিংবা, যেদিন গৃহিণী জ্বর শরীরে, অসুস্থ অবস্থায় নিজের খাওয়াটা খেতে পারছেন না, তারপরও আপনার খাবারের ব্যবস্থা করছেন, একবার ভেবেছেন কতোটা মমতা থাকলে এটা করা যায়!
আমরা কেউ কেউ আবার খাবার মুখে নিয়েই মন্তব্য করে ফেলি , আজকের রান্নায় লবন হয়নি! চিনি বেশী হয়েছে! আবার কেউ কেউ স্বামীর চিল্লাচিল্লির ভয়ে রোজা মুখে ও লবন চেক করেন। যদি স্বামী রাগ হওন!
আমাদের এক স্যারের বউ বছরের ৬ মাস বাপের বাড়ি থাকতেন। রান্না আর কয়দিনের করে দেওয়া যায়! তাই, স্যার নিজেই রান্নার কাজটা শিখে নেন।
তিনি বলতেন- শোন! এতো কষ্ট করে যে মা রান্না করে, তার একটু উনিশ বিশ হলেই তো তোরা দোষ ধরিস! ভাত জাও হলে মুখে দিস না!
কোনদিন কি একবার থ্যানক্স দিসিস! এই বিনা পয়সার পরিশ্রমের জন্য?
আসলেই! আমি জানি রান্না করতে কতো কষ্ট। তাই, কোনদিন কোন রান্না খারাপ হলেও ভালো বলার চেষ্টা করি। মনের দুয়া টাই তো আসল তাই না?
কথায় কথায় ইসলাম ইসলাম করেন। রাসুল (সা) কি রান্নায় দোষ ধরতেন? জানেন সেই সুন্নত?
আবার কেউ কেউ সারাদিন পর এসে বউকে ঝাড়েন- সারাদিন কি করছ বাসায়! খালি খাও দাও আর ঘুমাও!
জী ভাই , আপনাকেই বলছি! যতদিন রান্না না শিখবেন, ততদিন আসলেই বুঝবেন না সারাদিন বউ বাসায় কি কষ্ট করে আর কি কাজ করে!
এই রান্নাই হোটেল এ যেয়ে খান! কষ্টের দাম কড়ায় গণ্ডায় আদায় করা হবে
আর মেয়েরা তো বিনা পয়সায় শ্রম দেয় তাই তাদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা এতো সোজা! রান্নার দোষ ধরা ও সোজা!
একটা বাবুর্চি রেখেই দেখেন কেমন মজা লাগে!।খুব শীঘ্রই হয়তো আমার নাম পুরুষ বিদ্বেষীদের তালিকায় লেখা হবে। যদিও কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর আমার কোন বিদ্বেষ নাই।
আর অবশ্যই অনেক ছেলে ও অনেক ভালো রান্না করেন, না করতে পারলেও কষ্ট গুলো বুঝেন , অনেক ভালো তাদের মানসিকতা। যারা এই লিখার উপরে। কিন্তু যারা এখনো এমন ভাবেন, তারা সাবধান হয়ে গেলে ভবিষ্যতে সুখে থাকবেন। কাউকে সম্মান করতে টাকার দরকার হয়না। সম্মান মন থেকে আসে।
বিষয়: বিবিধ
৪৫৮৬ বার পঠিত, ১১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রান্নাটা শিখে ফেলতে দেখছি !
ভালো লাগল ।শেষের কথাগুলো -
খুব শীঘ্রই হয়তো আমার নাম পুরুষ বিদ্বেষীদের তালিকায় লেখা হবে। যদিও কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর আমার কোন বিদ্বেষ নাই।
আর অবশ্যই অনেক ছেলে ও অনেক ভালো রান্না করেন, না করতে পারলেও কষ্ট গুলো বুঝেন , অনেক ভালো তাদের মানসিকতা। যারা এই লিখার উপরে। কিন্তু যারা এখনো এমন ভাবেন, তারা সাবধান হয়ে গেলে ভবিষ্যতে সুখে থাকবেন। কাউকে সম্মান করতে টাকার দরকার হয়না। সম্মান মন থেকে আসে।
তবে কিছু কথা আছে ভগিনী। কিছু ব্যতিক্রম বাদে অন্তত ইসলামিস্টরা নারীদের সম্মান করে, তারা নারীবিদ্বেষী নন। তবে বেশিরভাগ নারী এমনকি ইসলামিস্ট নারীরাও পুরুষবিদ্বেষী(আরেকটু সফট শব্দ খুঁজছিলাম, কিন্তু এ মুহুর্তে মনে পড়ছেনা।)
আরেকটু ব্যাখ্যা করি- নারীর অধিকার, কর্তব্য, মর্যাদা, নারী নির্যাতন এসব নিয়ে অনেক পুরুষও লেখালেখি করেন, প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
কিন্তু এমন আমার কখনো চোখে পড়েনি যে, কোন নারী পুরুষের সমস্যা, পুরুষ নির্যাতন নিয়ে লিখেন বা প্রতিবাদ করেন। বড় জোর নিজের ঘরের পুরুষের ঢোল বাজান কিন্তু সামষ্টিকভাবে কিছু করেননা তাঁরা।
পুরুষরা কি এক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার নন?
সবকিছু স্বামীর উপর চাপিয়ে দিয়ে , স্বামীরটা খেয়ে , স্বামীরটা পড়ে, আবার স্বামীর উপর ফাঁপড়বাজি করে কি আরামসে চলার মতলব আটছেন ?
বসে বসে খাবার দিন শেষ আপু। বসে বসে খেলে রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যায় ।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা , আর মেয়েরা/স্ত্রীরা একটু সুযোগ পেলেই বা জোট পাকালেই পরছিদ্রন্বেষন করা শুরু করে দেয় । যা সমাজের ক্ষতি ছাড়া লাভ করে না ।
অনেকেই আমাকে নারি বিদ্বেষি খেতাব দিয়ে দিয়েছেন এরই মধ্যে।
তবে আমি কিন্তু আমার বেী এর থেকে ভাল রান্না করতে পারি। বিশেষ করে গরুর গোস্ত আর খিচুড়ি।
০ আপনি রান্নার দোকান খুলে বসেন । বছর খানেকের মধ্যে ফখরুদ্দিনের ব্যবসা লাটে উঠবে আপনি মাঠে নামলে।
সংসারের কি শুধু্ই ছেলেদের?
ছেলেরা তো বলে না সমপরিমাণ টাকা দাও সংসারে।
যদি বলা হয় যে, এই সফরের সব খরচ তুমিই বহন করবে - তখন কি উনাদের উচ্ছাস আগের মতই থাকবে ?
এসবের মূল্য কি কোনভাবেই নির্ধারন করা যায় ? এসবের মূল্য কি শুধু রান্না দিয়েই চুকানো সম্ভব ?
যদিও আমার বউ নাই। তবে আমি মনে কেরি এটিই ঠিক।
কিছু কিছু ভাই আছেন স্ত্রৈন মানসিকতার , এটা দেখলাম ।
হোজ্জার চুটকি বলি তাহলে একটা।
অনেকদিন ভাল মন্দ খাওয়া হয়না হোজ্জার। একদিন বাজার হতে ভাল দেখে এককেজি গরুর গোশত এনে গিন্নীকে রাঁধতে বললেন। গিন্নী রান্না শেষে চেখে দেখেন অনেক মজা হয়েছে। এত মজা হয়েছে যে, গিন্নী চাখতে চাখতে সবটুকু খেয়ে সাবাড়। হোজ্জা কাজ শেষে ঘরে খেতে আসলেন। হাঁক ছাড়লেন, কইগো গিন্নী? খাবার দাও জলদি।
গিন্নী তাঁকে খেতে দিলেন, আলু ভর্তা আর ডিমভাজি।
গরুর গোশত কই?- হোজ্জার প্রশ্ন।
তোমার বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে।- গিন্নীর জবাব।
বিড়ালটি পাশেই ছিল। হোজ্জা খপ করে ধরলেন। মেপে দেখেন-বরাবর এক কেজি।
এটা যদি আমার বিড়াল হয় তাহলে আমার এক কেজি গোশত কোথায়? আর এটাই যদি এক কেজি গোশত হয় তাহলে আমার বিড়াল কোথায়?- হোজ্জার এমনতরো প্রশ্নে ধরা পড়ে গেলেন গিন্নী।
মহিয়সীর এত সময় কোথায় রান্না করার ! পাছে উনার সিরিয়াল যদি মিস হয়ে যায় !
''অফিসে একজন পুরুষ যে কাজ করতে পারে তিনজন মেয়ে ও তা করতে পানে না। ''
০ অথচ বেতন কিন্তু পুরুষের সমানই নেয় ।
আবার তাদের বিভিন্ন অজুহাতও খুব সহজেই একসেপটেড হয় মহিলা বলে , যেটা পুরুষের বেলায় কখনই হয় না ।
দূরে , দূর্গম অন্চলে পোস্টিংয়ে পাঠান । বাচ্চা-স্বামীর , শশুড়-শাশুড়ির ( ) অজুহাত আসবে । পুরুষের সেই সুযোগ নেই।
কিন্তু উনারাই দাবী করেন যে উনারা পুরুষের সমান বা কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশী দক্ষতা দেখান ।
আর আপনারা শুধু আরাম কেদারায় বসে দু পা নাচাবেন আপু।
অনেক পুরুষই নিজের সংসারের কাজ মনে করে এসব স্বাচ্ছন্দ্যে করার চেষ্টা করেন। বউকে একটু সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বর্তমানের বেশিরভাগ নারীকূল এর মাঝে এ নিয়ে প্লিজড হওয়ার উদারতা নেই। ভাবটা এমন- সংসারের কাজ সে করছে, এ নিয়ে প্লিজড হওয়ার কি আছে। ধন্যবাদ দিলে, খুশি হওয়ার ভান করলে পাছে স্বামী নিজের কাজ মনে না করে শুধু আমার কাজ মনে করে!
আর স্বামীরা স্ত্রীদের কাজে যতটা সহায়তা করে স্ত্রীরা কি ততটা করে?
ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। আমাকে আবার নারীবিদ্বেষী আখ্যা দিবেননা। ব্যক্তিগতভাবে আমি বউকে খুব হেল্প করি। বউয়ের উচ্চশিক্ষাটাও আমার পয়সায়, তাও আবার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ নিয়ে অবশ্য আমার অভিযোগ নেই।
তাই বলে প্রয়োজনে তা করবে না বা করা যাবেনা--এটার যুক্তিও নেই। মানবিক কারণেও পুরুষকে রান্নাছাড়াও ঘরের অনেক কাজ কএরতে হয়। যাদের মানসিকতা এমন--তারা প্রিয়তম স্ত্রী-সন্তানদের জন্যও কখনো রাধতে চাইবেনা--তারা অসুখে মরে গেলেও।
ইসলাম এটাকে সমর্থন করেনা। এককথায় চমৎকার!!
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন...
রেগুলার হতে দেখে কি যে ভাল্লাগছে...
আর ঘরের কাজও খুব ভালো পারি, সো নো বউ....নো টেনশন।
Ok, Jokes apart. পুরোপুরি সহমত প্রকাশ ছাড়া উপায় নেই। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, "তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ" (২:২৮৭)। সুতরাং, একত্রে মিলে মিশে সব দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিলে সেটারও একটা আলাদা তৃপ্তি থাকবে। আর দুটি পাতিল পাশাপাশি থাকলে একটু ঠোকাঠুকি তো হবেই, কিন্তু এই একটু ঠোকাঠুকি কিন্তু সম্পর্ককে আরো মধুর করে তোলে।
ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ
তবে একটা কথা সত্য উনি ছাড়া অন্য কেউ আমার কাজ করে তাও আমি পছন্দ করি না ।
মায়ের শরীরটা কিছুটা দুর্বল। তাই আমাদের কাপড় ধোয়ার কাজটাও বাবা করতেন। আমার মায়ের বয়স ৫০ বাবার ৬০।
আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। তারা এখনো বাড়ির কাজে একে অন্যকে সাহায্য করেন।
সম্পর্কের যত্ন নেওয়া উচিৎ।
আরুআপুর ভাষায়, যারা বিয়ে করেছেন তারা নাকি “শহীদ”
ব্যক্তিগতভাবে আমি শুধু এটা যোগ করতে চাই, মোহাম্মদ সঃ বলেছেন, স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের গার্মেন্টস স্বরূপ। ইসলাম আমাদের শেখায় - একে অপরকে সাহায্য-সহযোগীতা করতে, একে অপরকে আপ্যায়ন করতে ইত্যাদি। এবং সে সাথে বলছে এর মাধ্যমে সওয়াব পাওয়া যায়। আরো বলেছে কেয়ামতের দিন একটি সওয়াবের জন্য আমাদের মধ্যে পেরেশানী বাড়বে এবং আমরা এর তার কাছে দৌড়াবো। সো এবিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা একে অপরকে সাহায্য করবো, তা সে রান্না ঘরে হোক আর অফিসের কাজ হোক। সওয়াবের আশায়।
কটাক্ষ করে এক জন একজনকে দোষারোপ দেওয়া, একজনকে অন্যজন ছোট করা, একজন অন্যজনকে ঠেস দেওয়া এবং পাবলিকলী হীন করার প্রচেষ্টা দজ্জালের শিক্ষা, একচোখা নারীবাদীদের শিক্ষা, লেজ কাটা শেয়াল টাইপ মহিলাদের ও পুরুষদের শিক্ষা।
আমরা এই জাতীয় ঠেসাঠেসির কারনে পাশ্চাত্যে এরি মধ্যে পরিবার প্রথার প্রায় বিলুপ্তি ও বিকৃতি দেখছি এবং বাংলাদেশে ও যে তা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে তার প্রমান মিডিয়ায় দেখছি। আশা করি আমরা সচেতন থাকবো এবং ইসলামের আলোকে বিচার বিশ্লেষন করবো।
ধন্যবাদ আপু আপনাকেস্টিকি পোস্টে অভিনন্দন
জাজাকাল্লাহু খায়রান।
তবে কিছু ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনা করে তাকে সাহার্য্য করা যেতে পারে,
যখন আমার স্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তখন তার কষ্টের সীমা থাকেনা, এই অসুস্থ্য নিয়েই ঘরের কাজ কর্ম করতে হয়, তাই আমি তাকে সম্পর্ণ মানবিক দিয়ে বিবেচনা করেই তাকে সাহার্য্য করে থাকি
এই যেমন পূণ্যের কাজ তেমনি স্ত্রীর ভালবাসাও আদায় করা যায়
মাঝে মাঝে কৌতুহল বসত আজিব আজিব রান্না করতে মন চায়।
এবারের টার্গেট ঢেরস দিয়ে গরুর গোস্ত।
পুরুষদের অবশ্যই উচিৎ তাদের বউদেরকে ঘরের টুকটাক কাজে সাহায্য করা। তবে বিনাশ্রমে যাদের আয়-রোজগার চলে তারা যেভাবে বউদেরকে ঘরোয়া কাজে সাহায্য করে থাকেন সেরকম অন্য স্বামীদের নিকট থেকে আশা করা ঠিক নয়,যারা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অফিসে এবং ব্যবসায় সময় দেন। বিনা শ্রমে আয় যাদের, তাঁরা হলেন মসজিদের ইমাম এবং মুয়াজ্জিন। তাঁদের বউকে সাহায্য করে সুন্নাত পালনের উদাহরণ অন্য কারো জন্য খাটে না।
তবে আমি নিয়মিত না হলেও মাঝেমাঝে স্ত্রীকে রান্নার কাজে সাহায্য করি।
ধন্যবাদ আপুকে।
ভালো লাগলো
নারী পুরুষের সীমারেখা টানা এখানে অনুচিত। তবে মেয়েরাই সাধারণত ঘরের কাজ গুলো করে সে জন্য পুরুষরা একেবারে হাত ধুয়ে বসে থাকবে সেটাও ঠিকনা।
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ।
ছোটবেলা থেকে-ই গৃহস্থালীর কিছু কিছু কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে উঠলে বিয়ের পর সেটা ইতিবাচক ফলাফল এনে দিতে বাধ্য ।
সময়, সুযোগ ও মেজাজ বুঝে গৃহস্থালীর কিছু ধরণের কাজে রোল রিভার্সাল (Role Reversal) করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহমর্মিতা গড়ে উঠার সম্ভাবনা-ই বেশী থাকবে। যে সব সিংহ পুরুষরা এতে স্ত্রৈণ হয়ে যাবার আশংকায় ভোগেন, তারা কিন্তু আবার বিছানার সেবা নিতে যে প্রতিবার-ই মেনি বিড়ালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তা খেয়াল করেন না !
আধুনিক প্রযুক্তি, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী ও জীবনযাত্রা প্রণালী গৃহস্থালীর অনেক কাজ সম্পাদন করা উভয়ের জন্য-ই বেশ সহজ করে দিয়েছে । হরেক রকমের মসলার প্যাকেট, ছোট-ছোট করে কাটা মাংস (diced meat), কাঁটাবিযুক্ত মাছের টুকরো (fillet), সুবিধাজনক উচ্চতায় বসানো গ্যাস বা ইলেকট্রিক চুলো বা গ্রীল, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, কাপড় ধোয়ার মেশিন, ভ্যাকিউম ক্লিনার, বাচ্চাদের ডাইপার / প্র্যাম ইত্যাদি অনেক ব্যস্ত ও অনভ্যস্ত পুরুষদেরকে গৃহস্থালীর কাজগুলো করতে দরকার অনুযায়ী স্ত্রীদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করে তোলার-ই কথা । পাশ্চাত্যে বসবাস করে অনভ্যস্তরা-ও তো দিব্যি গৃহস্থালীর অনেক কাজে-ই পরিবারের সদস্যদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করে দেন । দেশে মানুষের মধ্যে এই দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন গড়ে উঠতে হয়তো আরো কিছুটা সময় নেবে ।
পোষ্টদাত্রী যে সব যন্ত্রণাময় অবস্থা তুলে ধরেছেন আশা করি তিনি বাস্তব জীবনে ঐ ধরণের অবস্থার শিকার নন । আর যদি হয়ে-ই থাকেন, তবে তাঁর জন্য আন্তরিক দোয়া রইলো যেন আল্লাহপাক তাঁর জন্য সব কিছু সহজ করে দেন । ধন্যবাদ ।
একজন আলেক আরেকজন আলেমের দোষ ধরতে গিয়ে প্রথমে পাচ লাইন প্রশংসা করলেন। এর পর দুই লাইন সমালোচনা করলেন এবং সর্বশেষে আবার প্রশংসা করলেন। এভাবেই শ্রদ্ধার সাথে সমালোচনা করলেন।
কিন্তু উপরের পোস্টে কিভাবে সমালোচনা করলেন পুরুষদের? এক লাইন প্রশংসা আর বিশ লাইন সমালোচনা। অথচ অনেক ছেলেই কিন্তু স্ত্রীদের হেল্প করে।
অথচ এমন উদাহরণ আনলেন যা পোস্টের সাথে যায় না-যেমন স্ত্রী চাইলে পচা পানি খাওয়াতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি । এবার বলেন এই যে উদাহরণ টানলেন এই মেয়ে কি মানুষ হওয়ার যোগ্য ???? স্ত্রী তো অনেক পর-আর মুসলিম নাইবা বললাম।
উপরের বেশিরভাগ লোকেই সমালোচনা করেছে- কতজন পোস্ট পড়েছে সেটা দিয়ে বিচার না করে যৌক্তিক সমালোচনা দেখা উচিত আমাদের। যা আগে বলছিলাম-দুই লাইন প্রশংসা আর বিশ লাইন সমালোচনা - তাহলে সমালোচনাই ত হল না- এতে আবার সমালোচনা থামবে কিভাবে?
সবকিছু স্বামীর উপর চাপিয়ে দিয়ে , স্বামীরটা খেয়ে , স্বামীরটা পড়ে, আবার স্বামীর উপর ফাঁপড়বাজি করে কি আরামসে চলার মতলব আটছেন ?
বসে বসে খাবার দিন শেষ আপু। বসে বসে খেলে রাজার ভান্ডারও ফুরিয়ে যায় ।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা , আর মেয়েরা/স্ত্রীরা একটু সুযোগ পেলেই বা জোট পাকালেই পরছিদ্রন্বেষন করা শুরু করে দেয় । যা সমাজের ক্ষতি ছাড়া লাভ করে না ।
জীবনে কোনো দিন রান্না করতে হবে তা ভাবি নি,কিন্তু আজ ৪টা বছর নিজে রান্না করতে হচ্ছে।
আর বাড়ীতে যেদিন মা বোনের রান্না খারাপ হতো তখন কত ভাব দেখাতাম।
আজ যখন নিজের রান্না খারাপ হয়, তখন নিজের ROOM MATE এর কথা শুনতে হয় ,তখন খুব ভাল লাগে, এবং নিজের মা বোনের কথা স্মরণ হয়।
ছোট্ট মেয়েটি এসে বাবাকে জিজ্ঞেস করল, ‘বাবা, আম্মু কি আমার যত্ন নেয়?’
চোখ বড় বড় করে বাবা খুব আদুরে গলায় বলল, ‘অবশ্যই! আম্মু তোমার অনেক যত্ন নেয়।
তোমাকে খাইয়ে দেয়। অসুখ হলে তোমার সেবা-যত্ন করে। তোমাকে গান গেয়ে শোনায়।’
‘দাদুভাই কি আমার যত্ন নেয়?’
‘অবশ্যই! দাদুভাই তোমাকে গল্প শোনায়। তোমার জন্য সুন্দর সুন্দর গিফট, চকলেট নিয়ে আসে।’
‘আর দাদুমণি?’
‘দাদুমণিও।’
‘আর ফুপি?’
‘ফুপি তো তোমার জন্য পাগল। ছুটি পেলেই তোমাকে দেখতে চলে আসে।’
‘আ…র রহিমার মা?’
‘ও, ও তোমার অনেক যত্ন নেয়। তোমার কাপড় ধুয়ে দেয়, বিছানা ঠিক করে দেয়, ঘুম পাড়িয়ে দেয়।’
সবকিছু শুনে ছোট্ট মেয়েটি সন্তুষ্ট হয়ে বললো, ‘তাহলে তো আম্মু ঠিকই বলেছে। এ বাসায় একমাত্র তুমিই কোনো কাজের না।’
মোরাল: নারীর কাছেই সবার স্বামীই যোগ্য নিজেরটা ছাড়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন