গর্জে উঠি আর একবার..।
লিখেছেন লিখেছেন নীল পানকৌড়ি ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৩৬:০৪ রাত
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন বাংলার মাটিতে রাজাকারের বিচার হতে হবে... বাংলার মাটিতে রাজাকারের বিচার না হলে জাতির কলংকমুক্তি অসম্ভব। ৭১ যুদ্ধ আমরা দেখিনি, কিন্তু ৪২ বছর পরে এসে কেন রাজাকার দেখলাম?
কেন আমাদের জাতির শত্রু কুলাংকার রাজাকার দের বিচার ৪২ বছরেও হলো না? এবার আসুন গোলাম আযম, নিজামি, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, বাচ্চু রাজাকারদের সাথে সরকারি দলে ঘাপটি মেরে থাকা সব রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠি...
ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের গোপন তালিকা :
...১) খন্দকার মোশাররফ হোসেন - লেবার মিনিষ্টার এবং হাসিনার বিয়াই, ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। এই মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।
২) খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাবা খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া - ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিল। সূত্রঃ
http://on.fb.me/12BkodN
৩) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর - ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন। (বলেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকার জন্য বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত)।
৪) কবি সুফিয়া কামাল - কায়েদে আযমের নামে অগণিত কবিতা রচনা করে এবং ইসলাম দরদী সেজে পাকিস্তানের সরকারের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাকিস্তান সরকারের আশ্রয়ে ঢাকায় তার মেয়ে সুলতানা কামালকে নিয়ে আরাম আয়েশে জীবন কাটিয়েছে। স্বাধীনতার পড়ে মা ও মেয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ’ এর শক্তি সেজে মুজিবের বন্দনা গেয়ে অর্থ হাতিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মির অর্থে প্রতিপালিত সুলতানা কামাল চক্রবর্তী তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাও হয়েছিল। যত বড় রাজাকারই হোক না কেন ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললেই মুক্তিযোদ্ধায় পরিণত হওয়া এদেশের রীতিতে পরিণত হয়েছে।
[সূত্রঃ আমার দেখা ব্যর্থ সেনা অভ্যুথান ’৯৬, মেজর জেনারেল এম. এম. মতিন, মুক্তিযুধে তাঁর ভূমিকার জন্য বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত, পিএসসি, http://on.fb.me/XZV4s1 ]
৫) এইচ এন আশিকুর রহমান - আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপি এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি.. ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।
৬) সাজেদা চৌধুরী - সংসদ উপনেতা ও শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের আস্থা অর্জনকারী ৮৮ জনের মধ্যে ৮৪ নম্বরে তার নাম ছিল। সূত্রঃ
http://prothom-aloblog.com/posts/8/141843
৭) ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলো হাসিনা।
৮) দিলিপ বড়ুয়া ৭১ এ পাকিস্থানের পক্ষে ছিল, সে বলেছিল “৭১এর যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুত্তার কামড়-কামড়ি”। সূত্রঃ
https://www.facebook.com/video/video.php?v=471515582913104
৯) এছাড়াও ‘আমাদের সময়’ প্রকাশীত আরও কিছু যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা দেখুন এখান থেকে
http://on.fb.me/Z1FfWM
শুধু জামাত শিবিরসহ এসব রাজাকারেরও বিচার হওয়া উচিত । আওয়ামীলিগ করে বলে এদের বিচার না করার যৌক্তিকতা কি?????
তাই আসুন জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে পোষ্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন এবং দলমত নির্বিশেষে সব রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে গর্জে উঠি আরেক বার
সূত্র-হিডেন ট্রুথ)
বিষয়: বিবিধ
১০৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন