মানুষের চেয়ে বৃক্ষের মূল্য অনেক বেশী, আসুন বৃক্ষ অধিকার রক্ষা করি
লিখেছেন লিখেছেন পিন পয়েন্ট ০৭ মে, ২০১৩, ০৭:১৯:০৯ সন্ধ্যা
বৃক্ষ মানে গাছ। গাছের জীবন আছে এটি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু অনেক আগেই প্রমান করে গেছেন তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। যার জীবন আছে তার বেঁচে থাকার অধিকারও আছে। তাহলে বৃক্ষের সেই অধিকার রক্ষার কমিটিও থাকা উচিৎ, কী বলেন
অনেকদিন যাবৎ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল ‘হিউম্যান রাইটস’ নামের ভুরি ভুরি সংস্থা থাকলেও ‘ট্রি রাইটস’ নামের কোন সংস্থা পৃথিবীতে নেই কেন?
জিজ্ঞেস করতে পারেন ট্রি নিয়ে আমার মাথা ব্যাথার কারন কী?
হ্যাঁ, সেইটারো একটা কারন আছে। পড়েছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ে। কৃষক ও বৃক্ষের প্রতি আলাদা একটা টান সব সময় কাজ করে। কী বুঝলেন তো ব্যাপার টা?
যাক, আমার সেই চিন্তার অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া। মাঝে মাঝে ভাবি বাংলাদেশ যে কি অদ্ভুত একটা দেশ! কত কিছুই যে এখানে আবিষ্কার হয়!
হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম, বৃক্ষ অধিকার। ইদানিং বাংলাদেশের পলিটিক্সে বৃক্ষ নিধন একটি অনুষঙ্গ। হরতাল হলেই বৃক্ষ নিধন করে রাস্তা ব্লক করে কিছু বেয়াদপ পোলাপান!
বলেন এটা কী সহ্য করা যায়? আমাদের ‘নাড়াচাড়া মন্ত্রী’ থাকতে এটা কক্ষনও সম্ভব নয়। তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই বৃক্ষের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে কিছু রাবার বুলেট (!) ছুড়ে।
এই হারামি রাবার বুলেট করে কী বন্দুক থেকে বের হওয়া মাত্রই স্টিলের হয়ে যায়! ফাঁকা আওয়াজ করলেও ঠিক ঐ বেয়াদপ পোলাপানের ‘বুক বরাবর’ গিয়ে লাগে! বলেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন দোষ আছে এখানে?
তবে এটার একটা কারন আমি খুজে পেয়েছি। রাবার বুলেট তৈরী হয় রাবার গাছের নির্যাস দিয়ে। বৃক্ষ নিধন করলে এই রাবার কী চুপ করে বসে থাকতে পারে?
না। তাই সে ‘নারাচাড়া মন্ত্রীর’ হুকুম পাওয়া মাত্রই রাবার থেকে হঠাৎ স্টিলের বুলেট হয়ে যায়।
তার পর কিছু উটপাখি সুশীল মিডিয়া এসে দেখে বৃক্ষরা রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছে আর কান্নাকাটি করছে! সাথে শ শ মানুষের বুকে যাদের রাবার বুলেট (!) লেগেছে তারাও রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছে আর কান্নাকাটি করছে। শ শ এমন কি হাজার হাজার মানুষ মারা গেলেও পরের দিন তাদের পত্রিকার রেড হেডিং ‘হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন!’
ইন্টারেস্টিং বিষয় কী জানেন, এই মিডিয়াগুলো কিন্তু মানুষের কান্না শুনতে পায়না, শুধু বৃক্ষের কান্নাই তারা অনুধাবন করতে পারে।
তবে, সব মিডিয়াই কিন্তু বৃক্ষের এই কান্না শুনতে পায়না! বিশেষ বিশেষ মিডিয়া! সে টিরও একটা কারন আমি আবিস্কার করেছি।
আমার ধারনা, চতুস্পদ যন্তু যাকে ‘পশু’ বা ‘হাইওয়ান’ বলে তার প্রধান খাদ্য হলো বৃক্ষের লতা পাতা। এই পশুরা লতাপাতা খেতে খেতে বৃক্ষের ভাষা রপ্ত করেছে। বৃক্ষদের এই দূর্দিনে সে সব ‘পশু ও পশুর বাচ্চারা’ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
জয় হোক বৃক্ষ প্রেমীদের, জয় হোক বৃক্ষাধিকার।
বিষয়: বিবিধ
১৯২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন