চোখের পানি আটকাবে সাধ্য কার?
লিখেছেন লিখেছেন নো কমেন্ট ০৭ মে, ২০১৩, ১১:১৮:৪০ সকাল
না,পারলাম না।চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।বিএনপি কিংবা জামায়াতপন্থী কোন পত্রিকা নয়,কিংবা বাঁশেরকেল্লার পোষ্ট পড়ে না দৈনিক যুগান্তরের রিপোটর্টা পড়ে চোখে পানি কোন ভাবেই আটকাতে পারলাম না।কি নারকীয় ভাবে ক্ষুদার্ত্ব,অসহায়,নিরস্ত্র মানুষগুলোর উপর হামলা চালানো হয়েছে দেখুন।
রাত সোয়া ২টায় অত্যাধুনিক অস্ত্র, হ্যান্ড গ্রেনেড ও সজ্জিত ক্র্যাকডাউন মিশনের দায়িত্বরত শেখ মারুফ হাসান হেফাজতের কর্মীদের চলে যেতে বললে সমাবেশের মাইক থেকে বলা হয় '' আল্লাহ ও রাসূলের (রা.) জন্য আমরা শহীদ হতে প্রস্তুত আছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শাপলা চত্বরে অবস্থান করছি। এখান থেকে যাব না। পুলিশ ভাইয়েরা আপনেরা আমাদের ভাই। আমরা মুসলমান। আপনারাও মুসলমান। আমাদের এখানে কোন দুর্বৃত্ত অবস্থান করছে না। হেফাজতের কোন নেতা-কর্মী ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত না।''
রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথমবারের মতো অপারেশন চালানোর চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা আগুন জ্বালিয়ে ‘আল্লাহু আকবর হে আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা কর’ বলে চিৎকার করতে থাকে।কর্মী সমর্থকদের আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে কর্মীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপারেশন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে স্তব্ধতা চলে আসে এলাকায়।হঠাৎ করে সুনসান নিরবতায় পুরো এলাকা স্তব্দ হয়ে যায়।
১০মিনিট পর ২টা ৩১মিনিটে হঠাৎ করে 'ফায়ার' বলে উদ্বর্তন কর্মকর্তা।শুরু হয় নির্বিচারে গুলি ।মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল ও হ্যান্ড গ্রেনেডের আঘাতে জর্জরিত শাফলা চত্বরের হেফাজতের সমাবেশ থেকে শুধু কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল।লাশের পর লাশ পড়ছিল।
সারাদিন যে পুলিশকে রুটি,কলা,শুকনা খাবার খাইয়েছে সে পুলিশরাই হেফাজতের নিরস্ত্র কর্মীদের নরপিশাচের মত রক্ত ঝরাতে লাগল।
অনেক মিডিয়া,ফেসবুকে বাকশালীরা বলেছে হেফাজতের কর্মীরা নাকি চোরের মত পালিয়েছে । না ওরা চোরের মত পালায় নি ।যুগান্তর লিখেছে '' নেতা-কর্মীরা সর্বশক্তি দিয়ে পুলিশ-র্যাবকে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু চারদিক থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নির্বিচারের গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসসহ অপারেশন চালালে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পক্ষে কুলিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছিল না।হেফাজতের সমাবেশ থেকে শুধু কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।'
বিষয়: বিবিধ
১১১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন