শাহবাগীদের এত এত অনৈতকতাকে সরকারী প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা......কিন্তু কেন?
লিখেছেন লিখেছেন সাজাদ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৪৮:৫০ রাত
১. কতিপয় ব্লগার যুবক যাদের ব্লগিং ছিল কেবল মাত্র আল্লাহ, নবী মুহাম্মাদ সাঃ, কুরআন এবং কুরআনী আদর্শে সমুন্নত ব্যক্তি বর্গকে অবমাননা করা তারা আদালতের রায় মানিনা মানবনা বলে আদালত অবমাননা দিয়ে জনবহুল যাতায়াতের গুরত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে বসে পড়ল দিনের পর দিন।
২. সরকার, মেডিয়া, এবং একদল সুশিল সমাজ নির্দ্ধিধায় এর সাথে একত্বতা ঘোষনা করলো কারণ এই তরুনরা তো কেবল জামায়াত এবং ইসলাম সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলীর বিরোদ্ধে জংগীপনা দেখাচ্ছে যা তাদের সকলের সমন্বিত ইচ্ছা।
৩. চত্বরে দাপুটে মন্ত্রী সাজেদা, মহা ক্ষমতাধর হাইব্রিড নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ, বাচাল কামরুল, তোফায়েলরা বোতল ছোড়া, জুতা ছোড়া খেয়ে নিজেদের গর্বিত বোধ করল। অথচ শুধু শিবিরের মিছিলের সামনে আইন প্রতি মন্ত্রির গাড়ী ( খালি গাড়ী) থাকায় অনেক গুলো ভয়ংকর মামলায় পড়তে হয়েছে তাদের।
৪. আদালত অবমাননা কারীদের সাথে সয়ং প্রধানমন্ত্রীর একাত্বতা ঘোষনা এবং নিদারুন ব্যাকুলতা দেখানো শুধু তারা জামায়াত ও ইসলামের বিরোদ্ধে চরম প্রতিক্রিয়াশীল জংগীপনা দেখাতে পারছে তাই।
৫. ইসলামকে এডাপ্ট করে যেসব ইসলামিক আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠান সমাজে উন্নতির বিপ্লব এনে দিয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরোদ্ধে তারা উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে তবুও জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পোষা ফোর্সকে তাদের সেবায় নিয়োজিত রেখেছে সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে নিজেই একজন কুখ্যাত রাজাকার।
৬. বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ন্ত্রন আইনের কারণে সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময় পরে যেখানে হলে ফিরতে হয় সেখানে বাংলাদেশের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত শাহবাগ জুড়ে রাতভর যুবক-যুবতিদের অবস্থানকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ-রাজাকারের আবেগ দিয়ে একটি প্রজন্মের এই নৈতিক স্খলন কোনভাবে মানতে পারছেনা সচেতন অভিভাবকবৃন্দ।
৭. দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সরকারী এই আন্দোলনটি মূলত সরকারেরই নৈতিক ভন্ডামী প্রকট করেছে। তারাই ট্রাইবুনাল সাজিয়েছেন, তারাই বিচারক বসিয়ে রায় দেওয়াইছেন, আবার তারাই সেই আদালতের জাজমেন্টের বিরোদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন বিচার মানিনা বলে। এই অদ্ভুত ভেদটি যারা ধরতে পারলেন না তারাই শাহবাগ মোড়ে ভীড় জমিয়েছেন।
৮. মেডিয়ার পক্ষপাতমুলক অবস্থান এবং তাদের নয়কে নয়শ বানানোর প্রানন্তকর চেষ্টা মূলত শাহবাগের গ্যাদারিংকে টিকিয়ে রেখেছে। যেদিন শাহবাগ মোড়ে হাজার খানেক লোকের সমাগম হয়নি সেদিন চট্রগ্রামে ৪ জন নিহত শিবির কর্মির জানাজায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হলো। কিন্তু সুশিল মেডিয়া গুলো লক্ষ ফেলে কেবল হাজারে মেতে থাকলো। যাদের রাজাকার বানিয়ে ফাসী ফাসী করে চিল্লাচ্ছে তাদের কোন একজন কে ছেড়ে দিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে একটি সভা বা মাহফিল আহবান করতে দিন দেখবেন ওরকম শাহবাগ স্কয়ার কতটির জন্ম দিতে পারে তারা।
৯. আন্দোলনের কর্মিদের মধ্যে তিনবেলা সপাদেয় খাবার, মিনারেল পানি সাপ্লাই, উন্নত সেনিটারী সুবিধা প্রদান সহ অনেক ক্ষেত্রে মাথাপিছু মজুরী প্রদানের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তা করতে বিপুল এ অর্থের কারা যোগান দিচ্ছে এবং কেন দিচ্ছে তার জবাব জনগণকে দিতে হবে।
১০. সাংবিধানিক বিচার কাঠামো ও বিচার ব্যাবস্থা থাকতে কেবল ফাঁসী চায় যে জংগীরা তারা কিভাবে তরুণ প্রজন্মের কন্ঠস্বর হতে পারে? যে তরুণ প্রজন্ম আগের চেয়ে শিক্ষায়, বিবেচনায়, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে তারা কোনদিন এমন ফেস্সিট দাবীতে স্বোচ্চার হতে পারেনা। বিচার তার নিজস্ব গতিতে কাওকে ফাসীঁ দিলে দিক কিন্তু যাকে তাকে রাজাকার বানিয়ে অপ্রমানিত অপরাধে ও কেবল ফাঁসীই দিতে হবে এ দাবী শুধু অন্যায় নয় বরং চরম মানবতা বিরোধী।
১১. ইসলামের নিদর্শন গুলো মুসলমানদের চরম আবেগের বিষয়। দাড়ী, টুপি আমাদের নবীর সুন্নাত। রাজাকার কে ঘৃনা করতে সে দাড়ী টুপি যদি কুকুরের মাথায় দিতে হয় তবে সকল মুসলিমের কলিজায় লাগে। আজ আমরা দেখলাম বাবার বয়েসী একজন অশিতিপর বৃদ্ধের দাড়ী ধরে পুলিশের সাথে সাথে একজন শাহবাগী কর্মী নির্মম ভাবে টানাটানি করছে। যেন মনে হচ্ছে তাদের সমস্থ রাগ নবীর সুন্নাত দাড়ীটাতেই।
১২. সবমিলে হাজার ও অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠোষকতা দিয়ে সরকার তাদের রাজনৈতিক ভন্ডামী প্রকাশ করেছে। ইসলামী ব্যক্তিত্বে ও ইসলামী প্রতিষ্ঠানে যাদের গাত্রদাহ সরকার তাদের সাথে একাকার করে ফেলেছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন