জামায়াত নয়, সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি কর্মীরাই হামলা চালিয়েছে : সৈয়দ আশরাফ

লিখেছেন লিখেছেন শিপন চৈাধুরী ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০৯:০০:২১ রাত



সরকার যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। সরকারের আলোচনার দুয়ার খোলা। আপনিও প্রস্তুত থাকুন। সরকার যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে।’

আজ শনিবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে কে নাস্তিক, কে আস্তিক, তার বিচার হবে হাশরের দিনে। কে ধর্ম পালন করে, কে ধর্ম পালন করে না, কে আস্তিক, কে নাস্তিক তা দেখার জন্য উনাকে (খালেদা জিয়া) আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঢালাওভাবে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেখানে শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীর সব শ্রেণীর মানুষ গিয়েছে। তাহলে কি ওই পাঁচ বছরের শিশুও নাস্তিক? খালেদা জিয়ার এমন ঢালাও বক্তব্যের জন্য আমরা শাহবাগের কাছে লজ্জিত যে, মতায় যাওয়ার জন্য আমরা রাজনীতিকরা কতটা নিচে নামতে পারি।’

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার দায় জামায়াতের চেয়ে বেশি খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী জামায়াতের চেয়ে বেশি বিএনপির নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আর জামায়াত-শিবিরের এত বড় শক্তি নেই যে তারা এতবড় তাণ্ডব চালাবে।’

বিরোধী দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এ সরকার স্বৈরাচারী সরকার নয় যে ফুঁ দিয়ে সরাতে পারবেন। জনগণ রায় দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। জনগণের রায়ের এক মিনিট আগেও ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সংখ্যালঘুদের সাথে দেখা করে একটি নাটক করেছেন। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নাকি বৌদ্ধমন্দিরে হামলা করেছে। হিন্দুদের মূর্তিও নাকি আওয়ামী লীগ ভেঙেছে। এভাবে তিনি আওয়ামী লীগের ওপর একের পর এক দায় চাপাচ্ছেন। এখন হয়তো তিনি কোনো না কোনো মসজিদে আগুন লাগিয়ে আওয়ামী লীগের দায় চাপাবেন এবং এই দোষ চাপানোর ক্ষেত্র তিনি তৈরি করছেন। নিশ্চয়ই খালেদা জিয়ার পরিকল্পনা আছে কোনো মসজিদে আগুন দেওয়ার বা হামলা করার।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের পর পুরনো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নতুন অ্যারেঞ্জমেন্ট হতে পারে। কিন্তু অনির্বাচিতদের দ্বারা সম্ভব নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=140702

বিষয়: বিবিধ

১৪৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File