আপনি দুই চারজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতেই পারেন !!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন দূর্বার ০৭ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪০:৫০ সকাল
আপনি দুই চারজন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতেই পারেন। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতেও পারেন। কিন্তু এতে জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ করতে পারবেন না। আপনি জামায়াতের ২০ টা নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলালেও জামায়াতকে নেতৃত্বশুন্য করতে পারবেন না।
কারণ এদের মধ্যে ঐক্য এবং চেইন ইন কমান্ড সেনাবাহিনীর চেয়েও অধিক মজবুত। এদের মধ্যে কখনও দলীয় কোন্দল সৃষ্টি হয় না। যিনি যে পদের যোগ্য সেই পদটি অটোমেটিকভাবে পেয়ে থাকেন।কেউ পদের জন্য ছোটে না।পদ যোগ্য ব্যক্তির জন্য ছোটে। আর সবার মধ্যেই নীতিচর্চা করা হয় নিয়মিত। এদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন নিজের সহোদরদের চেয়েও উত্তম। তাই এদের মধ্যে কখনও নেতৃত্ব সংকট হবে না।
আজকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে কালকে তারা অন্য নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবেন।তখন কোন অজুহাতে নিষিদ্ধ করবেন? যাদের ৭১ এর পর জন্ম বা যাদের বয়স ৫০ বা এর আশে পাশে তারা যখন নেতৃত্ব দিবে তখন তাদেরকে কিভাবে ফাঁসি দিবেন?
এটা প্রমাণিত যে ৭১ পরবর্তি সময়ে জামায়াত শিবিরের নামে সন্ত্রাসবাদ ছাড়া অন্য কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু আপনারা এদের কোনদিকটাকে সন্ত্রাসবাদ বলছেন তাকি আপনারা কি জানেন? এদের আত্মরক্ষাকেই সন্ত্রাসবাদ বলছেন। সংবাদ মাধ্যমে এদের নামে কোন ধরণের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ এধরণের কোন অভিযোগ আসে না। আসে শুধু এদের সাথে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, মারামারি। কিন্তু এসবের জন্য দায়ীকে? পত্র পত্রিকায় নিশ্চয় দেখবেন কোন সংগঠনগুলোর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি,কোপাকুপি,মারামারি হয়। যারা নিজেদের মধে মারামারি করে তারা যখন অন্য কোন সংগঠনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত তখন আর বুঝার উপায় থাকে না যে কে এইসব সংঘর্ষের জন্য দায়ী।
জামায়ত ও ছাত্রশিবির ইস্পাতকঠিন মনোবল ও নৈতিকতার কারণে তারা আজ কয়েক লক্ষাধিক ছাত্রযুবকের সংগঠণে পরিণত হয়েছে। এই জামায়াত বা শিবিরকে এই দেশ থেকে নির্মূল করার চিন্তা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা। এই প্রজন্মের অনেকেই সরাসরি ছাত্রশিবির বা জামায়েতের সাথে জরিত না জামায়াতের ৭১ সালের স্বাধীনত বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে। কিন্তু জামায়াত শিবিরের কর্মকান্ড তাদেরকে জামায়ত শিবিরকে মনে মনে ভালবাসতে বাধ্য করেছে।
অনেকে বলে জামায়াতে ইসলামী নাকি ইসলামী দল নয়। এটা নাকি মওদুদীর ধর্ম। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। জামায়াত শিবির সম্বন্ধে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। যে দলটি তাদের মূলনীতি হিসেবে আল কুরআন ও হাদীসকে ধারণ করে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই দলটিকে ইসলামী দল বলতে হবে। এরা কর্মীদের কর্মকান্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে। নিয়মিত কুরআন ও হাদিস অনুশীলন করায়। আল কুরআন কি এবং কেন সেটাতো অনেক মুসলমানও এখনও জানেই না।
আল কুরআন শুধু রিডিং পড়ার কোন বই না। এটা আমাদের সংবিধান। এটা আমাদের জীবন চলার পথের দিক নির্দেশিকা।এটি আমাদের জানায় কোন কাজটি করা উচিৎ কোনটি অনুচিত।
প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিৎ কুরআনের আইন বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করা।আজ এই কাজটি করার জন্য নাস্তিকদের প্রধান টার্গেট জামায়াত শিবির ও এর দলের নেতারা। তারা ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে দিবে না। তারা জানে এই ৯০ শতাংশ মুসলিম দেশে জামায়াত যেকোন সময় ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই তারা জামায়াতকে নিশ্চিন্ন করে দিতে চায়। শুধু জামায়াত কেন সবধরণের ইসলামভিত্তিক দলই তারা নিষিদ্ধ করতে চায়। এসব করার সুযোগ পায় বাংলার মুসলমানদের দূর্বল ঈমানের জন্য। আজকে যে পন্থায় বলুন না কেন, হোক গণতান্ত্রিক কিংবা ইসলামিক কিংবা খেলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দলের ক্ষমতায় আসা ছিল অকল্পনীয় চিন্তা। আজকে আমরা আল্লাহ্ ও তার প্রিয়নবী মুহাম্মদ(স) এর অবমাননায় রাস্তায় নামি, প্রতিবাদ জানাই কিন্তু কোন ইসলামী দলকে ক্ষমতায় আনি না। ইসলামকে খাঁচায় বন্দি করে রেখেছি।
যার কারণে ইসলামের চরম দুশমনেরা আজ টিভি চ্যানেল খুলে দূর্দন্ড প্রতাপে ইসলামের ক্ষতি করেই যাচ্ছে। যার কারণে আজ যুব সমাজ বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। তাই এই বাংলাদেশ ইসলামকে রক্ষার জন্য, ইসলাম বিদ্বেষীদের নির্মূল করার জন্য ইসলামী আন্দোলন করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ঈমানী দায়িত্বপালন করি।
কে সুন্নী কে শিয়া, কে কোন মাহযাবের অনুসারী সব ভেদাভেদ ভুলে আল্লাহ্ ও রাসূল(স) এর সম্মান রক্ষা করি এবং বাংলাদেশকে জালিম ও ধর্মবিদ্বেষীদের হাত থেকে রক্ষা করি ।
আল্লাহু আকবার।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন